ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

সরকার জানে সমাবেশ করতে দিলে তারা ক্ষমতায় টিকবে না : জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ২৮ তারিখ সমাবেশ ডেকেছিলাম। আমরা বিরোধী দলগুলো সরকারের পদত্যাগ দাবিতে এক দফা দাবিতে সমাবেশ ডেকেছি। আমরা যতবারই সমাবেশ নিয়ে কথা বলেছি ততবারই পরিষ্কার করেছি, আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু সরকার জানে সমাবেশ করতে দিলে তারা ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। সেজন্য জনগণের মনে ভয় সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিকে অভিবাদন জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানাই সরকার ও তার সন্ত্রাসী পেটুয়া বাহিনীকে রুখে দেওয়ার জন্য।

জনসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আগামীকাল (রোববার) থেকে আমাদের চূড়ান্ত লড়াই শুরু হবে। আমাদের সেই চূড়ান্ত লড়াইয়ে আমরা সবাই শরিক হবে। আপনারা দেখেছেন আওয়ামী লীগের তাণ্ডবলীলা, আইয়ুব-মোনায়েমকেও হার মানিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। আমাদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আগামীকাল দিনব্যাপী সারাদেশে হরতাল। সবাই হরতাল পালন করুন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি, আগামীকাল সারাদিন প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আগামীকাল ঘোষণা করব। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের লড়াই শুরু হয়ে গেছে। এই লড়াই চূড়ান্ত লড়াই। আজ এখানে আপনাদের বলতে চাই, এখান থেকে এই সরকারের পতনের কর্মসূচি ঘোষণা করব।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা বিএনপিসহ বারবার বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব। কিন্তু সরকার এবং সরকারি দল সকাল থেকে এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। সাপ মাঝে মাঝে মানুষকে ছোবল দেয়, সাপ কখন ছোবল দেয়? যখন ভয় পায় তখন ছোবল দেয়। বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাবেশে জনতার ঢল দেখে তাদের বুকে কাঁপন ধরে গেছে। আর ভয় পেয়ে তারা সকাল থেকে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ মোকাবিলা করতে গিয়ে রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। বহু লোককে সরকারি যন্ত্র ব্যবহার করে আহত করেছে। কেউ মারা গেছে কি না তাও আমরা জানি না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়নি, মঞ্চ নাকি ভাঙচুর করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে হ্যান্ড মাইকে কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয়েছে। আপনাদের পতন নিকটে এসেছে।

এসময় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহিদুল্লা কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শহিদুদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফরিদুল হক প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

সরকার জানে সমাবেশ করতে দিলে তারা ক্ষমতায় টিকবে না : জোনায়েদ সাকি

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ২৮ তারিখ সমাবেশ ডেকেছিলাম। আমরা বিরোধী দলগুলো সরকারের পদত্যাগ দাবিতে এক দফা দাবিতে সমাবেশ ডেকেছি। আমরা যতবারই সমাবেশ নিয়ে কথা বলেছি ততবারই পরিষ্কার করেছি, আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু সরকার জানে সমাবেশ করতে দিলে তারা ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। সেজন্য জনগণের মনে ভয় সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জনগণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিকে অভিবাদন জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানাই সরকার ও তার সন্ত্রাসী পেটুয়া বাহিনীকে রুখে দেওয়ার জন্য।

জনসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আগামীকাল (রোববার) থেকে আমাদের চূড়ান্ত লড়াই শুরু হবে। আমাদের সেই চূড়ান্ত লড়াইয়ে আমরা সবাই শরিক হবে। আপনারা দেখেছেন আওয়ামী লীগের তাণ্ডবলীলা, আইয়ুব-মোনায়েমকেও হার মানিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। আমাদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আগামীকাল দিনব্যাপী সারাদেশে হরতাল। সবাই হরতাল পালন করুন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি, আগামীকাল সারাদিন প্রতিরোধ গড়ে তুলব। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আগামীকাল ঘোষণা করব। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের লড়াই শুরু হয়ে গেছে। এই লড়াই চূড়ান্ত লড়াই। আজ এখানে আপনাদের বলতে চাই, এখান থেকে এই সরকারের পতনের কর্মসূচি ঘোষণা করব।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা বিএনপিসহ বারবার বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব। কিন্তু সরকার এবং সরকারি দল সকাল থেকে এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে। সাপ মাঝে মাঝে মানুষকে ছোবল দেয়, সাপ কখন ছোবল দেয়? যখন ভয় পায় তখন ছোবল দেয়। বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাবেশে জনতার ঢল দেখে তাদের বুকে কাঁপন ধরে গেছে। আর ভয় পেয়ে তারা সকাল থেকে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ মোকাবিলা করতে গিয়ে রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। বহু লোককে সরকারি যন্ত্র ব্যবহার করে আহত করেছে। কেউ মারা গেছে কি না তাও আমরা জানি না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়নি, মঞ্চ নাকি ভাঙচুর করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে হ্যান্ড মাইকে কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয়েছে। আপনাদের পতন নিকটে এসেছে।

এসময় আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শহিদুল্লা কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক শহিদুদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণসংহতি আন্দোলনের যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফরিদুল হক প্রমুখ।