ইরান-সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত এবং তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান লড়াই চালিয়ে যাবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দিয়েছেন হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম। গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার পর এই প্রথমবার জনসম্মুখে এলেন কাসেম।
ভাষণে তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ তাদের প্রয়াত প্রধানের পরিকল্পনা অনুযায়ী বিকল্প কৌশল গ্রহণ করছে এবং শিগগির নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে।
প্রয়াত নেতার স্মরণে শোক প্রকাশ করে নাইম কাসেম বলেন, আমরা একজন প্রিয় ভাই ও নেতাকে হারিয়েছি, যিনি ধর্মযোদ্ধাদের প্রতি গভীর ভালোবাসা পোষণ করতেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে।
হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কাসেম জানান, গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ১৫০ কিলোমিটার গভীরে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, হিজবুল্লাহর সামরিক কার্যক্রম আগের মতোই চালু রয়েছে এবং প্রয়াত প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পরও এই তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ যে কোনো স্থল অভিযান মোকাবিলায় প্রস্তুত। দীর্ঘ যুদ্ধের জন্যও মানসিকভাবে তারা প্রস্তুত। নতুন নেতৃত্ব প্রসঙ্গে কাসেম বলেন, আমরা শিগগির নতুন নেতা নির্বাচন করবো।
গোষ্ঠীটির মূল লক্ষ্য সম্পর্কে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান বলেন, গাজার প্রতি সমর্থন এবং লেবাননের সুরক্ষা অব্যাহত থাকবে।
বক্তৃতার শেষাংশে তিনি ২০০৬ সালের ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা ২০০৬ সালের মতোই বিজয়ী হবো।