ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন Logo হাসিনার পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় এখনও আসেনি: হাসনাত Logo গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপ খাদে, নিহত ৩ Logo শেখ হাসিনার ভাষণের সময় গণহত্যার ভিডিও-ছবি দেখাবে বৈষম্যবিরোধীরা Logo নিয়মবহির্ভূত ভাবে অর্থ আদায়ের অভিযোগ নোবিপ্রবি হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে Logo আজ আখেরি মোনাজাতে মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপ Logo সারসহ ট্রলি আটক, অভিযোগ ইউনিয়ন বিএনপি সহসভাপতি ও সেক্রটারির দিকে Logo আবারও আগরতলা মিশনে ভিসা সেবা চালু করল বাংলাদেশ Logo আন্দোলনের মুখে জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিল Logo পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার

সাভারে শ্রমিক-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১

সাভারের আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে কাউসার হোসেন খান (২৭) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত কাউসার হোসেন খান ম্যাংগো টেক্স লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিক বলে জানা যায়। গুলিবিদ্ধরা হলেন—নয়ন, রাসেল, নাজমুল ও ওবায়দুল মোল্লা।

জানা যায়, মন্ডল পোশাক কারখানায় কয়েকজন শ্রমিককে গুম হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়া জিরাবো এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় ন্যাচারাল ও ম্যাংগো টেক্স পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মণ্ডলের শ্রমিকদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ তিনটি পোশাক কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং পুলিশ সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, কাউসার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ ছাড়াও গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এনামুল হক মিয়া বলেন, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার তলপেটে গুলিবিদ্ধ ছিল। এ ছাড়াও নয়ন নামে একজনের বুকের ডান পাশে গুলি লেগে বের হয়ে যায় ও রাসেলের পেটেও গুলি লেগে বের হয়ে গিয়েছে। নয়ন ও রাসেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ওই চিকিৎসক।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সঙ্গে একাধিকবার মুটোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না: সালাহউদ্দিন

সাভারে শ্রমিক-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১

আপডেট সময় ০৪:২২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাভারের আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে কাউসার হোসেন খান (২৭) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত কাউসার হোসেন খান ম্যাংগো টেক্স লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিক বলে জানা যায়। গুলিবিদ্ধরা হলেন—নয়ন, রাসেল, নাজমুল ও ওবায়দুল মোল্লা।

জানা যায়, মন্ডল পোশাক কারখানায় কয়েকজন শ্রমিককে গুম হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়া জিরাবো এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় ন্যাচারাল ও ম্যাংগো টেক্স পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মণ্ডলের শ্রমিকদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ তিনটি পোশাক কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং পুলিশ সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, কাউসার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ ছাড়াও গুলিবিদ্ধ চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এনামুল হক মিয়া বলেন, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার তলপেটে গুলিবিদ্ধ ছিল। এ ছাড়াও নয়ন নামে একজনের বুকের ডান পাশে গুলি লেগে বের হয়ে যায় ও রাসেলের পেটেও গুলি লেগে বের হয়ে গিয়েছে। নয়ন ও রাসেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ওই চিকিৎসক।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সঙ্গে একাধিকবার মুটোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।