ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
দখল-চাঁদাবাজি

দেড় মাসে বিএনপি’র পাঁচ শতাধিক নেতা কর্মীকে শাস্তি

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 112

আজকের প্রত্রিকা

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

মানবজমিন:

দখল-চাঁদাবাজি
দেড় মাসে বিএনপি’র পাঁচ শতাধিক নেতা কর্মীকে শাস্তিচাঁদাবাজি, দখলবাজি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। এমন অভিযোগ আসাদের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ আসামাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে বহিষ্কার বা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকার পরিবর্তনের পর এ পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫০০’র অধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার ও পদ স্থগিতসহ নানা শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের শেল্টার দেয়ার অভিযোগ। সর্বশেষ শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করেছে দলটি। যদিও বিবৃতিতে কমিটি ভেঙে দেয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ এই কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া উত্তরের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়ও সামনে এসেছে। থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয় বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বিলুুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে গত ৭ই জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আড়াই মাসের ব্যবধানে এ কমিটি ভেঙে দিলো দলটি

 

যুগান্তর:

সীমান্ত পার হতে কোটি টাকার চুক্তি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী দোসরদের অনেকেই দেশ ছাড়তে মরিয়া। দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় কেউ কেউ ভারতে ঢুকতে কোটি টাকাও দিয়েছেন। তবে ২০ লাখের নিচে কেউ ঢুকতে পারেননি। কেউ আবার খুইয়েছেন মোটা অঙ্কের নগদ টাকা ও ডলার। কাউকে দিতে হয়েছে জীবনও। তবু ভারতে পালানোর মিছিল থামছে না। এ সুবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা চিহ্নিত দালালদের পোয়াবারো।

অভিযোগ আছে, ভিআইপিদের অনেকে পার হওয়ার সময় দুদেশের প্রশাসনের লোকজনের সহায়তা নিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আওয়ামী দোসরদের সাজানো প্রশাসন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অনেকে তাদের নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন।

এদিকে যারা ইতোমধ্যে ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন তাদের থাকা-খাওয়ার খরচ নিয়ে তেমন কোনো টেনশন নেই। দেশ থেকেই হুন্ডিতে দেদার যাচ্ছে টাকা। আবার কারও কারও মোটা অঙ্কের অর্থ তৃতীয় পক্ষ পুরোটাই গায়েব করে দিয়েছেন। এ রকম কিছু খবরও যুগান্তরের হাতে এসেছে। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী ভিআইপিদের অনেকে ভারত থেকে দালালের মাধ্যমে নেপাল হয়ে পাড়ি জমিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত দেশে। কেউ কেউ ভারত থেকে সরাসরি চলে গেছেন ইউরোপের কোনো দেশে। যেখানে আগে থেকেই তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। কারও কারও স্ত্রী-সন্তানও নাগরিকত্ব নিয়ে আছেন বহাল তবিয়তে।

প্রথম আলো:

ভঙ্গুর পুলিশ, প্রতি ধাপে প্রয়োজন সংস্কার
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে পুলিশে নিয়োগ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। এই সময়ে বরাদ্দ বেড়েছে ৪৩৩ শতাংশ। কিন্তু পুলিশকে পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কার্যকর কোনো উদ্যোগ ছিল না; বরং পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের অতিরিক্ত পুলিশ নির্ভরতায় বাহিনীটির প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দেড় মাসেও পুলিশ কার্যকর ভূমিকায় যেতে পারছে না। মহাপরিদর্শক (আইজি) থেকে শুরু করে সব শীর্ষ পদে পরিবর্তন এনেও পুলিশের ভঙ্গুর পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় পুলিশি ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কারের দাবি উঠেছে। এ জন্য বাহিনী পরিচালনায় পুলিশ কমিশনের পাশাপাশি সদস্যদের অপরাধ তদন্তে পুলিশ অভিযোগ কমিশন গঠনেরও দাবি উঠেছে।

পুলিশের বর্তমান ও সাবেক সদস্য, সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বাহিনীর সংস্কারের বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ ও ধারণা পাওয়া গেছে। তাঁরা মূলত দুই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, পুলিশ সদস্যদের বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ, কার্যক্রম পরিচালনা ও সঠিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, পুলিশকে সেবামুখী করতে এবং মামলা ও এর তদন্ত, গ্রেপ্তার এবং অভিযানসহ সব ক্ষেত্রে জবাবদিহির আওতায় আনতে শক্ত কাঠামো তৈরি করতে হবে। এ জন্য পুলিশ-সংক্রান্ত কিছু আইন ও বিধান যুগোপযোগী করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অতীতে পুলিশের পেশাদার হতে না পারার পেছনে জনবল–সংকট, বাজেটস্বল্পতা ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতাকেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হতো। তবে ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৩) এই ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। এই সময়ে পুলিশে ৮৩ হাজার ৭০টি পদ সংযোজন করা হয়। ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য উচ্চপর্যায়ের ১৭৮টি পদ সৃষ্টি করা হয়। ১ লাখ ২০ হাজার জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। এই জনবলের বড় অংশই নেওয়া হয় দলীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনায়। জননিরাপত্তা বিভাগের গত নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে পুলিশের মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার।
২০০৯-১০ অর্থবছরে পুলিশের বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৩৩১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সর্বাত্মক যুদ্ধের মুখে মধ্যপ্রাচ্য!
লেবাননের পর ইয়েমেন ও সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলা হিজবুল্লাহপ্রধানকে হত্যার বদলার ঘোষণা ইরানের
হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। ইরান এ হত্যাকান্ডের জন্য ইসরায়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে। তারা এ হত্যার বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে লেবাননে বোমা হামলার পাশাপাশি সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। গতকালও ইসরায়েল সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে ১২ জন ইরানপন্থি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। হামলা চালানো হয়েছে ইয়েমেনেও। লেবাননে আরেক হিজবুল্লাহ নেতা আবু আলী রিদাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সবমিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা।

শনিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মেডিকেল ও নিরাপত্তার একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছেন, লাশে আঘাতের চিহ্ন নেই এবং এটি অক্ষত আছে। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, অথবা কখন তাকে দাফন করা হবে- সে বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার পর ‘ব্লান্ট ট্রমায়’ নাসরুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। ব্লান্ট ট্রমা হলো- কোনো কিছুর আঘাতে শরীরের বাইরে বড় ধরনের কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় না। কিন্তু শরীরের ভিতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরেক খবরে বলা হয়েছে, গতকাল লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সর্বশেষ জীবিত সিনিয়র সামরিক কমান্ডার আবু আলী রিদাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। নতুন করে লেবাননের রাজধানী বৈরুত দখলদার ইসরায়েলের হামলায় কেঁপে ওঠে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, হামলার লক্ষ্য ছিলেন আবু আলী রিদা। তিনি হিজবুল্লাহর বদর ইউনিটের কমান্ডারের দায়িত্বে আছেন। এ ইউনিটটি দক্ষিণ লেবাননের সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্সের দায়িত্বে আছে। এ ইউনিটের সেনারা সীমান্ত অঞ্চল থেকে একটু দূরে অবস্থান করেন। হিজবুল্লাহর যত সিনিয়র সামরিক কমান্ডার আছেন তাদের মধ্যে জীবিত ছিলেন শুধু আবু আলী রিদা। যদি এ হামলায় রিদার মৃত্যু হয় তাহলে হিজবুল্লাহর সিনিয়র কোনো সামরিক কমান্ডার আর বেঁচে থাকবেন না।

কালের কন্ঠ:

তিস্তার চরে দরবেশের ‘জমির খনি’
► ৬৫০ বিঘার কথা বলে দখল ৮৫০ বিঘা ► জমি, টাকা কিছুই পাচ্ছেন না ৫০ মালিক ► অবিলম্বে জমির ন্যায্য দাম শোধের দাবি ► বেক্সিমকোর শাস্তিসহ ৭ দফাব্যাংক, পুঁজিবাজার খাওয়াদাওয়া শেষ। ঋণখেলাপিতে বিতর্কিত বেক্সিমকো গ্রুপের বদ নজর থেকে রক্ষা পায়নি তিস্তাপারের আবাদি জমিও। উত্তর জনপদের

সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষকের ওই জমিতে বেক্সিমকো গ্রুপ শেষ কোপ মারে জমি দখলের আড়ালে নেওয়া এর তিস্তা সোলার প্রকল্পটির মাধ্যমে। আবাদি জমিকে অনাবাদি দেখিয়ে কখনো নামমাত্র টাকা দিয়ে, কখনো বা না দিয়ে ৬৫০ বিঘা জমির নামে গ্রুপটি অবৈধভাবে দখলে নেয় ৮৫০ বিঘা জমি।

জমির টাকা না পেয়ে এখনো অন্তত ৫০ জন জমির মালিক প্রায় দিশাহারা। সোলার প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সরকারের কাছ থেকে ঠিকই টাকা বুঝে নিচ্ছে কম্পানিটি। কিন্তু জমির মালিকদের টাকা না দিয়ে বছরের পর বছর ধরে ঘোরাচ্ছে। অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে দখলে নেওয়া ওই সব জমির ন্যায্য দাম দেওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে প্রকল্পটিতে প্রশাসক নিয়োগসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরেছে স্থানীয়রা।

তিস্তাপারের প্রকল্প এলাকা ঘুরে জানা যায়, ২০১৭ সালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তাপারের তারাপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর লাটশালা ও চর খোর্দা এলাকায় নির্মাণকাজ শুরু হয় তিস্তা সোলার লিমিটেডের। বেক্সিমকো গ্রুপের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়, পরবর্তী ২০ বছর ১৩ টাকা ৯০ পয়সা করে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনা হবে। পাঁচ বছর ধরে টানা কাজ করে বসানো হয় সাড়ে পাঁচ লাখ সোলার প্যানেলসহ ইনভার্টার।
২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন। প্রথমে ডিসি বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর এসিতে রূপান্তরিত হয়ে তা চলে যায় মেইন কন্ট্রোলরুমে।
সরেজমিনে কাউনিয়া উপজেলার তিস্তার দুই চর এবং তারাপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর লাটশালা ও চর খোর্দা এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দুই স্তরের কাঁটাতারের বেড়া। পূর্বানুমতি ছাড়া কারো ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নেই। পাশের জমিতে আবাদ হচ্ছে ধান, বাদামসহ নানা ফসল।

নয়াদিগন্ত:

সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে জাপানের আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এনএইচকে (ঘঐক)-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে যোগদান শেষে গতকাল দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ছাত্র বিক্ষোভের কারণে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এনএইচকের সাথে সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার কাজ শেষ করা এবং সরকার প্রস্তুত হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। তিনি বলেন, ব্যর্থতা এমন কিছু নয় যা আমরা মেনে নিতে পারি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনে প্রধান ভূমিকা পালনকারী শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিপ্লব’ এর জন্য তরুণরা তাদের জীবন দিয়েছিল। তাই সরকারের নীতিনির্ধারণে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করার বিষয়ে নিজের অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এই সঙ্কটময় সময়ে বাংলাদেশ তার সবচেয়ে বড় দাতা জাপানের কাছ থেকে সহায়তার জন্য উন্মুখ।’ এ সময় তিনি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্রের ভিত স্থায়ী করার জন্য জাপানের সহযোগিতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

আশঙ্কাজনক ভাবে দেশে ব্যাপক আকারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ॥ একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের এবারও আশঙ্কাজনক রূপ নিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের সর্বোচ্চ এক হাজার ২২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় নতুন করে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিও এ বছরে সর্বোচ্চ। একদিনে মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। এছাড়া ঢাকা উত্তর, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৮ জনে।

দেশে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। একইসঙ্গে এসময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২২১ জন, যা চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৬৭, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৬, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২২৮, খুলনা বিভাগে ১৩৪ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৮ জন এবং রংপুর বিভাগে ২৮ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদিকে, গত এক দিনে সারাদেশে ১০৯০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৩১ জন।

সমকাল:

অকাল বন্যায় উত্তরে ডুবল লোকালয়

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তাপাড়ে অসময়ে দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদি পশুসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নদনদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে সকালে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, উজানে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানিপ্রবাহ কমলেও ভাটি এলাকা কাউনিয়ায় আরও বাড়তে পারে। গতকাল দুপুরে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার সন্ধ্যায় পানি ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ১১টায় বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাইয়ে। এ বছর তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা হয়েছে। জুলাইয়ের পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অতিবৃষ্টির কারণে মৌসুম ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হয়েছে। বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময়ের বন্যা বড় চিন্তার কারণ।

সরেজমিন দেখা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার চরগ্রাম তলিয়ে পানিবন্দি অন্তত চার হাজার পরিবার। গ্রামীণ রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন

দখল-চাঁদাবাজি

দেড় মাসে বিএনপি’র পাঁচ শতাধিক নেতা কর্মীকে শাস্তি

আপডেট সময় ০৭:৩৫:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

মানবজমিন:

দখল-চাঁদাবাজি
দেড় মাসে বিএনপি’র পাঁচ শতাধিক নেতা কর্মীকে শাস্তিচাঁদাবাজি, দখলবাজি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। এমন অভিযোগ আসাদের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ আসামাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা মিললে বহিষ্কার বা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকার পরিবর্তনের পর এ পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫০০’র অধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার ও পদ স্থগিতসহ নানা শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের শেল্টার দেয়ার অভিযোগ। সর্বশেষ শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করেছে দলটি। যদিও বিবৃতিতে কমিটি ভেঙে দেয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ এই কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া উত্তরের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়ও সামনে এসেছে। থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয় বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বিলুুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। সাইফুল আলম নিরবকে আহ্বায়ক ও আমিনুল হককে সদস্য সচিব করে গত ৭ই জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আড়াই মাসের ব্যবধানে এ কমিটি ভেঙে দিলো দলটি

 

যুগান্তর:

সীমান্ত পার হতে কোটি টাকার চুক্তি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী দোসরদের অনেকেই দেশ ছাড়তে মরিয়া। দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় কেউ কেউ ভারতে ঢুকতে কোটি টাকাও দিয়েছেন। তবে ২০ লাখের নিচে কেউ ঢুকতে পারেননি। কেউ আবার খুইয়েছেন মোটা অঙ্কের নগদ টাকা ও ডলার। কাউকে দিতে হয়েছে জীবনও। তবু ভারতে পালানোর মিছিল থামছে না। এ সুবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা চিহ্নিত দালালদের পোয়াবারো।

অভিযোগ আছে, ভিআইপিদের অনেকে পার হওয়ার সময় দুদেশের প্রশাসনের লোকজনের সহায়তা নিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আওয়ামী দোসরদের সাজানো প্রশাসন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অনেকে তাদের নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন।

এদিকে যারা ইতোমধ্যে ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন তাদের থাকা-খাওয়ার খরচ নিয়ে তেমন কোনো টেনশন নেই। দেশ থেকেই হুন্ডিতে দেদার যাচ্ছে টাকা। আবার কারও কারও মোটা অঙ্কের অর্থ তৃতীয় পক্ষ পুরোটাই গায়েব করে দিয়েছেন। এ রকম কিছু খবরও যুগান্তরের হাতে এসেছে। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী ভিআইপিদের অনেকে ভারত থেকে দালালের মাধ্যমে নেপাল হয়ে পাড়ি জমিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত দেশে। কেউ কেউ ভারত থেকে সরাসরি চলে গেছেন ইউরোপের কোনো দেশে। যেখানে আগে থেকেই তাদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। কারও কারও স্ত্রী-সন্তানও নাগরিকত্ব নিয়ে আছেন বহাল তবিয়তে।

প্রথম আলো:

ভঙ্গুর পুলিশ, প্রতি ধাপে প্রয়োজন সংস্কার
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে পুলিশে নিয়োগ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। এই সময়ে বরাদ্দ বেড়েছে ৪৩৩ শতাংশ। কিন্তু পুলিশকে পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কার্যকর কোনো উদ্যোগ ছিল না; বরং পুলিশ বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের অতিরিক্ত পুলিশ নির্ভরতায় বাহিনীটির প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দেড় মাসেও পুলিশ কার্যকর ভূমিকায় যেতে পারছে না। মহাপরিদর্শক (আইজি) থেকে শুরু করে সব শীর্ষ পদে পরিবর্তন এনেও পুলিশের ভঙ্গুর পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় পুলিশি ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কারের দাবি উঠেছে। এ জন্য বাহিনী পরিচালনায় পুলিশ কমিশনের পাশাপাশি সদস্যদের অপরাধ তদন্তে পুলিশ অভিযোগ কমিশন গঠনেরও দাবি উঠেছে।

পুলিশের বর্তমান ও সাবেক সদস্য, সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বাহিনীর সংস্কারের বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ ও ধারণা পাওয়া গেছে। তাঁরা মূলত দুই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, পুলিশ সদস্যদের বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ, কার্যক্রম পরিচালনা ও সঠিক কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, পুলিশকে সেবামুখী করতে এবং মামলা ও এর তদন্ত, গ্রেপ্তার এবং অভিযানসহ সব ক্ষেত্রে জবাবদিহির আওতায় আনতে শক্ত কাঠামো তৈরি করতে হবে। এ জন্য পুলিশ-সংক্রান্ত কিছু আইন ও বিধান যুগোপযোগী করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অতীতে পুলিশের পেশাদার হতে না পারার পেছনে জনবল–সংকট, বাজেটস্বল্পতা ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতাকেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হতো। তবে ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৩) এই ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। এই সময়ে পুলিশে ৮৩ হাজার ৭০টি পদ সংযোজন করা হয়। ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য উচ্চপর্যায়ের ১৭৮টি পদ সৃষ্টি করা হয়। ১ লাখ ২০ হাজার জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। এই জনবলের বড় অংশই নেওয়া হয় দলীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনায়। জননিরাপত্তা বিভাগের গত নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে পুলিশের মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার।
২০০৯-১০ অর্থবছরে পুলিশের বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৩৩১ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

সর্বাত্মক যুদ্ধের মুখে মধ্যপ্রাচ্য!
লেবাননের পর ইয়েমেন ও সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলা হিজবুল্লাহপ্রধানকে হত্যার বদলার ঘোষণা ইরানের
হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। ইরান এ হত্যাকান্ডের জন্য ইসরায়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে। তারা এ হত্যার বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে লেবাননে বোমা হামলার পাশাপাশি সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। গতকালও ইসরায়েল সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়ে ১২ জন ইরানপন্থি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। হামলা চালানো হয়েছে ইয়েমেনেও। লেবাননে আরেক হিজবুল্লাহ নেতা আবু আলী রিদাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সবমিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা।

শনিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মেডিকেল ও নিরাপত্তার একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছেন, লাশে আঘাতের চিহ্ন নেই এবং এটি অক্ষত আছে। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, অথবা কখন তাকে দাফন করা হবে- সে বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার পর ‘ব্লান্ট ট্রমায়’ নাসরুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। ব্লান্ট ট্রমা হলো- কোনো কিছুর আঘাতে শরীরের বাইরে বড় ধরনের কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় না। কিন্তু শরীরের ভিতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরেক খবরে বলা হয়েছে, গতকাল লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সর্বশেষ জীবিত সিনিয়র সামরিক কমান্ডার আবু আলী রিদাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। নতুন করে লেবাননের রাজধানী বৈরুত দখলদার ইসরায়েলের হামলায় কেঁপে ওঠে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, হামলার লক্ষ্য ছিলেন আবু আলী রিদা। তিনি হিজবুল্লাহর বদর ইউনিটের কমান্ডারের দায়িত্বে আছেন। এ ইউনিটটি দক্ষিণ লেবাননের সেকেন্ড লাইন অব ডিফেন্সের দায়িত্বে আছে। এ ইউনিটের সেনারা সীমান্ত অঞ্চল থেকে একটু দূরে অবস্থান করেন। হিজবুল্লাহর যত সিনিয়র সামরিক কমান্ডার আছেন তাদের মধ্যে জীবিত ছিলেন শুধু আবু আলী রিদা। যদি এ হামলায় রিদার মৃত্যু হয় তাহলে হিজবুল্লাহর সিনিয়র কোনো সামরিক কমান্ডার আর বেঁচে থাকবেন না।

কালের কন্ঠ:

তিস্তার চরে দরবেশের ‘জমির খনি’
► ৬৫০ বিঘার কথা বলে দখল ৮৫০ বিঘা ► জমি, টাকা কিছুই পাচ্ছেন না ৫০ মালিক ► অবিলম্বে জমির ন্যায্য দাম শোধের দাবি ► বেক্সিমকোর শাস্তিসহ ৭ দফাব্যাংক, পুঁজিবাজার খাওয়াদাওয়া শেষ। ঋণখেলাপিতে বিতর্কিত বেক্সিমকো গ্রুপের বদ নজর থেকে রক্ষা পায়নি তিস্তাপারের আবাদি জমিও। উত্তর জনপদের

সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষকের ওই জমিতে বেক্সিমকো গ্রুপ শেষ কোপ মারে জমি দখলের আড়ালে নেওয়া এর তিস্তা সোলার প্রকল্পটির মাধ্যমে। আবাদি জমিকে অনাবাদি দেখিয়ে কখনো নামমাত্র টাকা দিয়ে, কখনো বা না দিয়ে ৬৫০ বিঘা জমির নামে গ্রুপটি অবৈধভাবে দখলে নেয় ৮৫০ বিঘা জমি।

জমির টাকা না পেয়ে এখনো অন্তত ৫০ জন জমির মালিক প্রায় দিশাহারা। সোলার প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সরকারের কাছ থেকে ঠিকই টাকা বুঝে নিচ্ছে কম্পানিটি। কিন্তু জমির মালিকদের টাকা না দিয়ে বছরের পর বছর ধরে ঘোরাচ্ছে। অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে দখলে নেওয়া ওই সব জমির ন্যায্য দাম দেওয়ার পাশাপাশি অবিলম্বে প্রকল্পটিতে প্রশাসক নিয়োগসহ সাত দফা দাবি তুলে ধরেছে স্থানীয়রা।

তিস্তাপারের প্রকল্প এলাকা ঘুরে জানা যায়, ২০১৭ সালে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তাপারের তারাপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর লাটশালা ও চর খোর্দা এলাকায় নির্মাণকাজ শুরু হয় তিস্তা সোলার লিমিটেডের। বেক্সিমকো গ্রুপের এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর সরকারের সঙ্গে চুক্তি হয়, পরবর্তী ২০ বছর ১৩ টাকা ৯০ পয়সা করে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কেনা হবে। পাঁচ বছর ধরে টানা কাজ করে বসানো হয় সাড়ে পাঁচ লাখ সোলার প্যানেলসহ ইনভার্টার।
২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন। প্রথমে ডিসি বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর এসিতে রূপান্তরিত হয়ে তা চলে যায় মেইন কন্ট্রোলরুমে।
সরেজমিনে কাউনিয়া উপজেলার তিস্তার দুই চর এবং তারাপুর ইউনিয়নের দুর্গম চর লাটশালা ও চর খোর্দা এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দুই স্তরের কাঁটাতারের বেড়া। পূর্বানুমতি ছাড়া কারো ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নেই। পাশের জমিতে আবাদ হচ্ছে ধান, বাদামসহ নানা ফসল।

নয়াদিগন্ত:

সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে জাপানের আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এনএইচকে (ঘঐক)-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে যোগদান শেষে গতকাল দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ছাত্র বিক্ষোভের কারণে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী একমাত্র বাংলাদেশী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এনএইচকের সাথে সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার কাজ শেষ করা এবং সরকার প্রস্তুত হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। তিনি বলেন, ব্যর্থতা এমন কিছু নয় যা আমরা মেনে নিতে পারি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনে প্রধান ভূমিকা পালনকারী শিক্ষার্থীদের উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিপ্লব’ এর জন্য তরুণরা তাদের জীবন দিয়েছিল। তাই সরকারের নীতিনির্ধারণে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করার বিষয়ে নিজের অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এই সঙ্কটময় সময়ে বাংলাদেশ তার সবচেয়ে বড় দাতা জাপানের কাছ থেকে সহায়তার জন্য উন্মুখ।’ এ সময় তিনি দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্রের ভিত স্থায়ী করার জন্য জাপানের সহযোগিতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

আশঙ্কাজনক ভাবে দেশে ব্যাপক আকারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী ॥ একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরের এবারও আশঙ্কাজনক রূপ নিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের সর্বোচ্চ এক হাজার ২২১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় নতুন করে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এটিও এ বছরে সর্বোচ্চ। একদিনে মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ জন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। এছাড়া ঢাকা উত্তর, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৮ জনে।

দেশে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। একইসঙ্গে এসময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২২১ জন, যা চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৬৭, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৬, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২২৮, খুলনা বিভাগে ১৩৪ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৮ জন এবং রংপুর বিভাগে ২৮ নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদিকে, গত এক দিনে সারাদেশে ১০৯০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩৩১ জন।

সমকাল:

অকাল বন্যায় উত্তরে ডুবল লোকালয়

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তাপাড়ে অসময়ে দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদি পশুসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নদনদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে সকালে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, উজানে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানিপ্রবাহ কমলেও ভাটি এলাকা কাউনিয়ায় আরও বাড়তে পারে। গতকাল দুপুরে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার সন্ধ্যায় পানি ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ১১টায় বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাইয়ে। এ বছর তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে এ মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা হয়েছে। জুলাইয়ের পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অতিবৃষ্টির কারণে মৌসুম ছাড়াই দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হয়েছে। বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময়ের বন্যা বড় চিন্তার কারণ।

সরেজমিন দেখা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার চরগ্রাম তলিয়ে পানিবন্দি অন্তত চার হাজার পরিবার। গ্রামীণ রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ।