ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় নারী নিহত , সড়ক অবরোধ Logo উমামা ফাতিমার সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা Logo ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের ইশতেহারে যা থাকছে Logo সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে আমিরুল ও আবিদ Logo অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতার সেনাবাহিনী -ওয়াকার-উজ-জামান Logo ক্যান্সার হাসপাতালে ১ কোটি টাকার অনুদান দিলো জামায়াত Logo ‘যারা কালো অতীতকে ফিরিয়ে আনতে চায়, তারাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনে বাধা দিচ্ছে’ Logo ডাকসু নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার Logo ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই,হাইকোর্টের রায় স্থগিত, Logo ডাকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়ার বিষয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য

‘সাইবার নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি বাতিল করা উচিত হবে না’

আইন

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন অচিরেই সংশোধন বা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কার্যালয়ে তথ্য অধিকার ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার: এনজিওদের সহায়ক ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিগত সরকারের আমলে তথ্য অধিকার আইন হয়েছে আবার তথ্য অধিকার বিনাশ করারও আইন হয়েছে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি বাতিল করা উচিত হবে না। কারণ এটি মূলত দুই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘কম্পিউটার ওফেন্স’ (কম্পিউটার ব্যবহার করে অপরাধ সংঘটন) এবং অন্যটি ‘স্পিচ ওফেন্স’। ‘স্পিচ ওফেন্স’ বাতিল করা সম্ভব হলেও ‘কম্পিউটার ওফেন্স’ বাতিল করা সঠিক হবে না। সাইবার নিরাপত্তা আইন অচিরেই সংশোধন বা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে ব‌লেও জানান তি‌নি।

আসিফ নজরুল বলেন, তথ্য অধিকার নিয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। এ অধিকারটা কিন্তু অন্যান্য অধিকারের মতো নয়। তথ্য অধিকার ছাড়া সব অধিকার মূল্যহীন। প্রত্যেকটা অধিকারের সঙ্গেই এই অধিকারটা সংযুক্ত। তাই তথ্য অধিকার নিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ যদি ঠিক না থাকে তাহলে তথ্য কমিশন বা মানবাধিকার কমিশনের কিন্তু কোনও কার্যক্ষমতা থাকবে না। যারা তথ্য অধিকারের কথা বলেন, তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলতে হবে, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলতে হবে। জনগণ জানেন, বিগত সরকার বিচার বিভাগকে কীভাবে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছিল, সংসদকে লুটপাটের, অন্যায়-অবিচারের ফোরাম হিসেবে তৈরি করেছিল। আমাদের উচিত এসব বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।

আমরা একটা সময় প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে পারতাম না। আমাদের বলা হতো যে, সব বলা যাবে প্রধানমন্ত্রীর নামটি উল্লেখ করা যাবে না… এভাবে উল্লেখ করতে হতো। উনি (শেখ হাসিনা) একটা অত্যাচারী দানবে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কি তার প্রতিবাদ করেছিলাম? করিনি। আমরা যখন প্রতিবাদ করেছিলাম তখন ১০-১২ জনের বেশি লোক পেতাম না। সুতরাং, এ বিষয়গুলো ভুলে গেলে চলবে না। দুঃশাসনের সময়ে প্রতিবাদ করাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। প্রতিবাদটা সব সময়ই বজায় রাখতে হবে। এমনকি, আমাদেরও যদি কোনও ভুল হয় তারও প্রতিবাদ জানাতে হবে’, ব‌লেন আইন উপ‌দেষ্টা।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় নারী নিহত , সড়ক অবরোধ

‘সাইবার নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি বাতিল করা উচিত হবে না’

আপডেট সময় ০৮:২৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন অচিরেই সংশোধন বা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কার্যালয়ে তথ্য অধিকার ফোরাম ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্য অধিকার: এনজিওদের সহায়ক ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিগত সরকারের আমলে তথ্য অধিকার আইন হয়েছে আবার তথ্য অধিকার বিনাশ করারও আইন হয়েছে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি বাতিল করা উচিত হবে না। কারণ এটি মূলত দুই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘কম্পিউটার ওফেন্স’ (কম্পিউটার ব্যবহার করে অপরাধ সংঘটন) এবং অন্যটি ‘স্পিচ ওফেন্স’। ‘স্পিচ ওফেন্স’ বাতিল করা সম্ভব হলেও ‘কম্পিউটার ওফেন্স’ বাতিল করা সঠিক হবে না। সাইবার নিরাপত্তা আইন অচিরেই সংশোধন বা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে ব‌লেও জানান তি‌নি।

আসিফ নজরুল বলেন, তথ্য অধিকার নিয়ে আমাদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। এ অধিকারটা কিন্তু অন্যান্য অধিকারের মতো নয়। তথ্য অধিকার ছাড়া সব অধিকার মূল্যহীন। প্রত্যেকটা অধিকারের সঙ্গেই এই অধিকারটা সংযুক্ত। তাই তথ্য অধিকার নিয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ যদি ঠিক না থাকে তাহলে তথ্য কমিশন বা মানবাধিকার কমিশনের কিন্তু কোনও কার্যক্ষমতা থাকবে না। যারা তথ্য অধিকারের কথা বলেন, তাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলতে হবে, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধেও কথা বলতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলতে হবে। জনগণ জানেন, বিগত সরকার বিচার বিভাগকে কীভাবে নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করে ফেলেছিল, সংসদকে লুটপাটের, অন্যায়-অবিচারের ফোরাম হিসেবে তৈরি করেছিল। আমাদের উচিত এসব বিষয়ে সোচ্চার হওয়া।

আমরা একটা সময় প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করতে পারতাম না। আমাদের বলা হতো যে, সব বলা যাবে প্রধানমন্ত্রীর নামটি উল্লেখ করা যাবে না… এভাবে উল্লেখ করতে হতো। উনি (শেখ হাসিনা) একটা অত্যাচারী দানবে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কি তার প্রতিবাদ করেছিলাম? করিনি। আমরা যখন প্রতিবাদ করেছিলাম তখন ১০-১২ জনের বেশি লোক পেতাম না। সুতরাং, এ বিষয়গুলো ভুলে গেলে চলবে না। দুঃশাসনের সময়ে প্রতিবাদ করাটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। প্রতিবাদটা সব সময়ই বজায় রাখতে হবে। এমনকি, আমাদেরও যদি কোনও ভুল হয় তারও প্রতিবাদ জানাতে হবে’, ব‌লেন আইন উপ‌দেষ্টা।