ঢাকা ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল টাইগাররা Logo নারী শিক্ষার্থীকে দুই ঘণ্টা আটকে হয়রানির অভিযোগ ছাত্রদলকর্মীর বিরুদ্ধে Logo জামায়াতের আমিরের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জকসু নীতিমালা পাশের দাবি জবি শিবিরের Logo আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ল টাইগাররা Logo মৌলভীবাজারে অগ্নিকাণ্ডে সব হারানো সেই হিন্দু পরিবারের পাশে জামায়াত নেতা Logo ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯ হাজার ২০২ কোটি টাকা Logo বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ Logo আজ থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন আসর Logo বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে টাইগাররা

নিহত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রদল নেতা, ফুটেজ আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিহত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রদল নেতা, ফুটেজ আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে ডিউটিরত অবস্থায় পারভেজ (৩২) নামে এক কনস্টেবল পুলিশ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নিহত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক ছাত্রদল নেতা। তার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।

ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৩০ জন এ পর্যন্ত ঢাকা মে‌ডি‌কে‌লে চি‌কিৎসা নি‌তে এ‌সে‌ছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি র‌য়ে‌ছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার অস্ত্রোপচার করা হ‌বে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগে থেকেই ঘোষণা দিয়েছিল আজ তারা ১০ লাখ লোক সমাবেশে আনবে। তারা (বিএনপি) প্রধান বিচারপতির বাসভবন পর্যন্ত সমাবেশ ছড়িয়ে গেছে। ঘটনার সূত্রপাত সেখানে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল সেই মিছিলে বিএনপি হামলা করে। শুধু হামলা করেই বিএনপি ক্ষান্ত হয়নি তারা দুটি পিকআপে আগুন দেয়। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এসময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না? পুলিশ আইনানুযায়ী তার কাজ করেছে। তাদের সরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলন, ক্ষণে ক্ষণে বিএনপি ঢিল মারছিল এবং আগুন ধরে দেয়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সমাবেশে তারা লাঠি এনেছিল। ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমার তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় তারা।

পুলিশ অনেক ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। একপর্যন্ত রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের ছোট বড় স্থাপনায় আগুন দেয়। এছাড়া কয়েকটি সরকারি স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়। জাজেজ কমপ্লেক্সও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।

মন্ত্রী আরও বলেন, সবাই দেখেছেন- একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে হত্যা করেছে। পুলিশ সদস্য পড়ে যাওয়ার পরেও একজন ছাত্রদল নেতা তাকে কুপিয়ে তার মাথা ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। তার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। সেই পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। এ দৃশ্য সবার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। বিএনপি বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়েছে। ২০১৪ সালে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি করেছিল সেই পরিস্থিতি আবারও করার পায়তারা করেছে বিএনপি।

আগামীকাল বিএনপি হরতাল ডেকেছে। তারা গাড়ি-বাস পুড়িয়েছে। যেই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করবে গাড়ি ভাঙচুর করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো আমরা। এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল টাইগাররা

নিহত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রদল নেতা, ফুটেজ আছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:২৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে ডিউটিরত অবস্থায় পারভেজ (৩২) নামে এক কনস্টেবল পুলিশ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নিহত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক ছাত্রদল নেতা। তার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।

ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৩০ জন এ পর্যন্ত ঢাকা মে‌ডি‌কে‌লে চি‌কিৎসা নি‌তে এ‌সে‌ছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি র‌য়ে‌ছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার অস্ত্রোপচার করা হ‌বে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগে থেকেই ঘোষণা দিয়েছিল আজ তারা ১০ লাখ লোক সমাবেশে আনবে। তারা (বিএনপি) প্রধান বিচারপতির বাসভবন পর্যন্ত সমাবেশ ছড়িয়ে গেছে। ঘটনার সূত্রপাত সেখানে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল সেই মিছিলে বিএনপি হামলা করে। শুধু হামলা করেই বিএনপি ক্ষান্ত হয়নি তারা দুটি পিকআপে আগুন দেয়। এরপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এসময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না? পুলিশ আইনানুযায়ী তার কাজ করেছে। তাদের সরিয়ে দিয়েছে। তিনি বলন, ক্ষণে ক্ষণে বিএনপি ঢিল মারছিল এবং আগুন ধরে দেয়। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সমাবেশে তারা লাঠি এনেছিল। ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমার তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় তারা।

পুলিশ অনেক ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। একপর্যন্ত রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগিয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের ছোট বড় স্থাপনায় আগুন দেয়। এছাড়া কয়েকটি সরকারি স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়। জাজেজ কমপ্লেক্সও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।

মন্ত্রী আরও বলেন, সবাই দেখেছেন- একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে হত্যা করেছে। পুলিশ সদস্য পড়ে যাওয়ার পরেও একজন ছাত্রদল নেতা তাকে কুপিয়ে তার মাথা ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। তার ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। সেই পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। এ দৃশ্য সবার হৃদয়ে দাগ কেটেছে। বিএনপি বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ছুড়েছে। ২০১৪ সালে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি করেছিল সেই পরিস্থিতি আবারও করার পায়তারা করেছে বিএনপি।

আগামীকাল বিএনপি হরতাল ডেকেছে। তারা গাড়ি-বাস পুড়িয়েছে। যেই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করবে গাড়ি ভাঙচুর করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো আমরা। এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।