হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত সাত হাজার ৭০৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিন হাজার ৫৯৫ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯ হাজার ৭৩৪ জন আহত হয়েছে। ২০০৫ সালে ইসরায়েল একতরফাভাবে ভূখণ্ড থেকে প্রত্যাহারের পর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে গাজায় সর্বাধিকসংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ জোরদার করেছে। সেনাবাহিনী বলেছে, হামাসের কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে, বিশেষ করে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলোতে আঘাত করেছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, বিমান ও কামান হামলার বিস্ফোরণে শত শত ভবন ও হাজার হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা নিরলস বিমান হামলার অধীনে রয়েছে। আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলো বলেছে, ইসরায়েল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার পর তারা গাজায় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে। ইসরায়েলের ব্যাপক বোমাবর্ষণ ও অঞ্চলটিতে সম্পূর্ণ অবরোধের কারণে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দা খাদ্য, পানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অবিলম্বে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, ১২০টি দেশ জর্দানের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।ইসরায়েল অবশ্য তা প্রত্যাখ্যান করেছে।