ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo এবার একসঙ্গে মাঠে নামছে জামায়াতসহ সমমনা ৮ দল Logo প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা Logo ‘সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই’ Logo রাকসুতে হেরে যাওয়া ছাত্রদল প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শিবিরের সঙ্গীতকে কটাক্ষ করে নাচ Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo দ্য নিউজের সাংবাদিক ইমরানকে প্রাণনাশের হুমকি Logo দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল Logo চট্রগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন কাচামাল নিয়ে জাহাজডুবি Logo রিশাদের রেকর্ড বোলিংয়ে মিরপুরে বাংলাদেশের বড় জয় Logo মৌলভীবাজারে এম নাসের রহমানের নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু

‘গুগলে সার্চ করলে রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে’

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৫০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 331

‘গুগলে সার্চ করলে রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে’

ছাত্রশিবিরের নামে রগ কাটার যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো নথি নেই। বরং গুগলে সার্চ করলে রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় কিছু প্রধান বাধা মনে করে। সেকারণে প্রথমে তারা সেনাবাহিনীকে হত্যা করে। তারপর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী বাধা মনে করে ছাত্রশিবিরকে। এমনও হয়ছে যে, কেউ নামাজ পড়ছে এমন অবস্থায় তুলে নিয়েও বলেছে ‘অস্ত্রসহ আটক’।

তিনি বলেন, সরকার আমাদের বিষয়ে একটা ভীতি তৈরি করেছে, আমাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের আত্মপ্রকাশের পর তা একেবারেই ভেঙ্গে গেছে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সাথেই ছিলাম। দীর্ঘ ৫ বছর আমাদের যারা পর্যালোচনা করেছেন, তারা এখন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

গত কয়েকবছর কেন গোপনে রাজনীতি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছিল। এরপরও যেখানে সম্ভব হয়েছে, সেখানে প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছে।

কিন্তু ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে ৫৬ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়, বিভিন্ন শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে গুম করা হয়, ক্রসফায়ার দেয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমাণ্ডে দেয়; কেউ কিছু বলে না। এমন পরিস্থিতিতে ‘তুমি কেন পরিচয় দিচ্ছো না, এই প্রশ্ন যৌক্তিক নাকি ‘তোমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই’ প্রশ্নটি যৌক্তিক?’

তিনি বলেন, আমাদের শত শত দায়িত্বশীলকে এখনো গুম রয়েছে। আমাদের পূর্ববর্তী কয়েকটি কমিটির সদস্যদের ক্রয়ফায়ার দেওয়া হবে এবং পরের কেউ হত্যার ভয়ে পরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না- (এমন পরিস্থিতিতে) একটি মজলুম সংগঠনকে এই প্রশ্ন করা আরও বড় জুলুম।

৯ দফার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলনটা সকল মানুষের ছিল। বিভিন্ন নেতাকর্মীরা নিজেদের দলের পরিচয় ভুলে গিয়ে সামর্থ অনুযায়ী এখানে শামিল হয়েছেন। ছাত্রশিবিরও তার রিসোর্স নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। কোনটা কার পরিকল্পনা, কীভাবে তা বাস্তবায়ন হয়েছে- এসব কৃতিত্ব নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিটের সাথে যায় না। এখানে ছাত্রদল, বাম ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ কায়েমে ছাত্রলীগ যে ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে, তার প্রত্যেকটির বিচার হওয়া দরকার। শিক্ষার্থীরা সবাই আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা মনে করি। কেউ যদি আইনি সহায়তা চায়, আমরা ছাত্রশিবির থেকে তা প্রদান করব।

পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো বিষয়ে হ্যা বা না বলার অধিকার কেবল সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের রয়েছে। সেখানে পরিবেশ পরিষদ কারও বিষয়ে একমত হলে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, আপনি রগ কাটা লিখে গুগলে সার্চ করলে দেখবেন সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে। শিবিরের নামে কোনো নথি আপনি পাবেন না। ফ্যাসিবাদ যে বয়ান তৈরি করেছে, তার বিরোধিতা কেউ করতে পারেনি।

আমাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। আপনি জরিপ করলে ছাত্রশিবিরের বিষয়ে ৯০ শতাংশ ইতবাচক প্রতিক্রিয়া পাবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার একসঙ্গে মাঠে নামছে জামায়াতসহ সমমনা ৮ দল

‘গুগলে সার্চ করলে রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে’

আপডেট সময় ০৭:৫০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্রশিবিরের নামে রগ কাটার যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো নথি নেই। বরং গুগলে সার্চ করলে রগ কাটার সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরহাদ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় কিছু প্রধান বাধা মনে করে। সেকারণে প্রথমে তারা সেনাবাহিনীকে হত্যা করে। তারপর তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী বাধা মনে করে ছাত্রশিবিরকে। এমনও হয়ছে যে, কেউ নামাজ পড়ছে এমন অবস্থায় তুলে নিয়েও বলেছে ‘অস্ত্রসহ আটক’।

তিনি বলেন, সরকার আমাদের বিষয়ে একটা ভীতি তৈরি করেছে, আমাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের আত্মপ্রকাশের পর তা একেবারেই ভেঙ্গে গেছে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের সাথেই ছিলাম। দীর্ঘ ৫ বছর আমাদের যারা পর্যালোচনা করেছেন, তারা এখন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

গত কয়েকবছর কেন গোপনে রাজনীতি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছিল। এরপরও যেখানে সম্ভব হয়েছে, সেখানে প্রকাশ্যে রাজনীতি করেছে।

কিন্তু ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে ৫৬ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়, বিভিন্ন শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে গুম করা হয়, ক্রসফায়ার দেয়, মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমাণ্ডে দেয়; কেউ কিছু বলে না। এমন পরিস্থিতিতে ‘তুমি কেন পরিচয় দিচ্ছো না, এই প্রশ্ন যৌক্তিক নাকি ‘তোমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই’ প্রশ্নটি যৌক্তিক?’

তিনি বলেন, আমাদের শত শত দায়িত্বশীলকে এখনো গুম রয়েছে। আমাদের পূর্ববর্তী কয়েকটি কমিটির সদস্যদের ক্রয়ফায়ার দেওয়া হবে এবং পরের কেউ হত্যার ভয়ে পরিচয় প্রকাশ করতে পারবে না- (এমন পরিস্থিতিতে) একটি মজলুম সংগঠনকে এই প্রশ্ন করা আরও বড় জুলুম।

৯ দফার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, এই আন্দোলনটা সকল মানুষের ছিল। বিভিন্ন নেতাকর্মীরা নিজেদের দলের পরিচয় ভুলে গিয়ে সামর্থ অনুযায়ী এখানে শামিল হয়েছেন। ছাত্রশিবিরও তার রিসোর্স নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। কোনটা কার পরিকল্পনা, কীভাবে তা বাস্তবায়ন হয়েছে- এসব কৃতিত্ব নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিটের সাথে যায় না। এখানে ছাত্রদল, বাম ছাত্র সংগঠনের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ কায়েমে ছাত্রলীগ যে ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে, তার প্রত্যেকটির বিচার হওয়া দরকার। শিক্ষার্থীরা সবাই আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা মনে করি। কেউ যদি আইনি সহায়তা চায়, আমরা ছাত্রশিবির থেকে তা প্রদান করব।

পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো বিষয়ে হ্যা বা না বলার অধিকার কেবল সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের রয়েছে। সেখানে পরিবেশ পরিষদ কারও বিষয়ে একমত হলে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, আপনি রগ কাটা লিখে গুগলে সার্চ করলে দেখবেন সব অপরাধ ছাত্রলীগের নামে। শিবিরের নামে কোনো নথি আপনি পাবেন না। ফ্যাসিবাদ যে বয়ান তৈরি করেছে, তার বিরোধিতা কেউ করতে পারেনি।

আমাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। আপনি জরিপ করলে ছাত্রশিবিরের বিষয়ে ৯০ শতাংশ ইতবাচক প্রতিক্রিয়া পাবেন।