ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা Logo টানা ৪১ দিন নামাজ আদায়কারী শিশুদের সাইকেল উপহার দিলো জামায়াত Logo ‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’ Logo গোয়াইনঘাটে বাজার দখল নিয়ে আওয়ামী-বিএনপির সংঘর্ষ; আহত ১৫ Logo তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ Logo ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি হয়নি ইরান: ট্রাম্প Logo তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ Logo থানায় হামলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মাহমুদুর রহমানের Logo আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক নিপীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য : তারেক রহমান Logo সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

শেখ পরিবারের নামে দেশের ১৩ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 213

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক-চতুর্থাংথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নাম জড়িয়ে আছে। এর মধ্যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা ও স্বয়ং শেখ হাসিনার নামেও দেশের একাধিক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাবলিক ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ১৩টি শেখ পরিবারের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে ফজিলাতুন নেসা মুজিব ও দুইটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। এর বাইরে মেহেরপুরে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে, যা মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম অনুমোদন দিয়েছে। তবে, সেখানকার বর্তমান কর্মকর্তারা বলছেন, একই নাম ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। বরং এই নাম পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফয়েজ বলেন, এ বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুনছি। উচ্চপর্যায় থেকে চিন্তা-ভাবনা চলছে। একই নাম কীভাবে এত বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। তবে, তখন আমি ছিলাম না। সে কারণে কীভাবে হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি বলতে পারছি না। নাম পরিবর্তনের যদি কোনো বিষয় আসে, সেটি অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে যে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ।

এছাড়া, রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জানায়, জেলা পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলার নামে হওয়াই সমীচীন। যেমন রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। একই নামে ওই জেলায় একাধিক কলেজ আছে। এতে নামের বিভ্রাট তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধুর নামের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

নামের বিষয়ে এ দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, স্ব-স্ব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংসদে ওঠার পর সেখানে নাম প্রস্তাব করা হয়। সেখান থেকেই আইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। নাম পরিবর্তনের জন্যও একই পদ্ধতিতে অর্থাৎ সংসদে উত্থাপনের পর পরিবর্তন করতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা

শেখ পরিবারের নামে দেশের ১৩ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট সময় ০৫:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক-চতুর্থাংথে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নাম জড়িয়ে আছে। এর মধ্যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা ও স্বয়ং শেখ হাসিনার নামেও দেশের একাধিক জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাবলিক ৫৫টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ১৩টি শেখ পরিবারের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে ফজিলাতুন নেসা মুজিব ও দুইটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। এর বাইরে মেহেরপুরে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে, যা মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম অনুমোদন দিয়েছে। তবে, সেখানকার বর্তমান কর্মকর্তারা বলছেন, একই নাম ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। বরং এই নাম পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফয়েজ বলেন, এ বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুনছি। উচ্চপর্যায় থেকে চিন্তা-ভাবনা চলছে। একই নাম কীভাবে এত বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। তবে, তখন আমি ছিলাম না। সে কারণে কীভাবে হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি বলতে পারছি না। নাম পরিবর্তনের যদি কোনো বিষয় আসে, সেটি অবশ্যই সরকারের দায়িত্ব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে যে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ।

এছাড়া, রয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জানায়, জেলা পর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জেলার নামে হওয়াই সমীচীন। যেমন রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। একই নামে ওই জেলায় একাধিক কলেজ আছে। এতে নামের বিভ্রাট তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধুর নামের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

নামের বিষয়ে এ দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, স্ব-স্ব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংসদে ওঠার পর সেখানে নাম প্রস্তাব করা হয়। সেখান থেকেই আইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। নাম পরিবর্তনের জন্যও একই পদ্ধতিতে অর্থাৎ সংসদে উত্থাপনের পর পরিবর্তন করতে হবে।