ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশের জ্বালানি তেল অবাধে ভারতে পাচার!

তরুণেরাই গড়বেন নতুন বাংলাদেশ

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:১৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 70

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

প্রথম আলো:

তরুণেরাই গড়বেন নতুন বাংলাদেশ
বাংলাদেশের তরুণেরাই নতুন বাংলাদেশ গড়বেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আন্দোলন খুব পরিকল্পিতভাবে (গোছানোভাবে) চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছুই হঠাৎ হয়নি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন ড. ইউনূস। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রতিষ্ঠান ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’-এর একটি আয়োজনে অংশ নেন তিনি। সেখানেই ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বিল ক্লিনটনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও সম্পর্কের প্রথম দিনের গল্প, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরুর কাহিনি এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নানা বিষয় তুলে ধরেন।

এ সময় ড. ইউনূস তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু বিল ক্লিনটনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলার ফাঁকে সফরসঙ্গী তাঁর বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথিকে পরিচয় করিয়ে দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলমকে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের আন্দোলনের কারিগর হিসেবে উল্লেখ করেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

বাংলাদেশের জ্বালানি তেল অবাধে ভারতে পাচার!

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করছে সরকার। কিন্তু তারপরও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে থাকছে বিশাল ব্যবধান। বর্তমানে ভারতের কলকাতা ও বাংলাদেশের মধ্যে ডিজেল ও পেট্রল লিটার প্রতি পার্থক্য থাকছে ২২ থেকে ২৫ টাকা। আর এই ব্যবধানের কারণে বাংলাদেশের জ্বালানি তেল অবাধে ভারতে পাচার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ডলার সংকটে আমদানি করা জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে ভারতে অবাধে পাচার হয়ে যাচ্ছে জ্বালানি তেল। এতে দেশের চাহিদা পূরণে সরকারকে বাড়তি তেল আমদানি করতে হচ্ছে। যার চাপ বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। খাত সংশ্লিষ্টরা দুই দেশের দামের পার্থক্য ৫ টাকার মধ্যে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতে ডিজেলের দাম বাংলাদেশের বাজারদরের চেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে চোরাচালান বাড়াটাই স্বাভাবিক। তাই দুই দেশের মধ্যে তেলের দামের পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে, এতে তেল পাচারের ঝুঁকিটাও কমবে। একইসঙ্গে বাড়তি তেল আমদানির চাপও জ্বালানি তেল পাচার বন্ধ করা গেলে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে সরকারকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে। প্রতিবছর জ্বালানি তেল আমদানি ব্যয় মেটাতে সরকারকে প্রায় ৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন হচ্ছে, তার ৭৩-৭৫ শতাংশই ডিজেল আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে। চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে অবাধে জ্বালানি তেল পাচারের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে সরকারকেও।

জানা গেছে, বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারে সক্রিয় একটি অসাধু চক্র। বিভিন্ন স্থলবন্দর ও সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অলিখিতভাবে বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ভোটার তালিকার পর ভোটের তারিখ

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য ও ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে উপনীত হওয়ার পাশাপাশি ভোটার তালিকা তৈরি হলেই নির্বাচনের তারিখ বলা হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফিরে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন ড. ইউনূস। ওই সময়ই এ সরকার জানিয়ে দেয়, দেশে আগে সংস্কার দরকার, তারপর নির্বাচন। এর মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি বলেছে, প্রয়োজনীয় সংস্কারে তারা সরকারকে সময় দিতে প্রস্তুত, তবে সেটি ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়’।

কালের কন্ঠ:

সামান্য চাল ব্যবসায়ী থেকে অঢেল সম্পদের মালিক
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার টাকা, পেশি আর প্রভাবে নওগাঁর নিজ নির্বাচিনী এলাকায় রাতারাতি অলিখিত সম্রাটে পরিণত হয়েছিলেন। চালের ব্যবসার আড়ালে রাজনীতিকেই টাকা কামানোর প্রধান হাতিয়ার বানিয়ে গড়ে তোলেন সাম্রাজ্য। ভাইলীগ ও সিন্ডিকেটলীগই লাঠিয়াল হিসেবে তাঁর ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। তাঁর তৈরি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেই প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর সঙ্গে সরকারি সব দপ্তরের নির্মাণকাজের ২০ শতাংশ কমিশনও চালু ছিল। বিভিন্ন সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ক্ষমতার পালাবদলের পর সেই প্রভাবশালী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এখন ফেরার। তাঁকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, ১৯৫০ সালে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর বলদাহঘাট গ্রামে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হয় সাধন চন্দ্র মজুমদারের। বাবা মৃত কামিনী কুমার মজমুদার ছিলেন শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

নয়াদিগন্ত:

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান না হলে পুরো অঞ্চল সমস্যায় পড়বে

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আমাদের সতর্ক হতে হবে, এই সঙ্কটের সমাধান না হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র অঞ্চল সমস্যায় পড়বে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে গত মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের এক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন, শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, আইসিসি প্রসিকিউটর করিম এ এ খান, আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে নতুন করে ভাবার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, প্রথমত আমরা চাই জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সব পক্ষের উপস্থিতিতে একটি সম্মেলনের আয়োজন করুক।
সম্মেলনে সঙ্কটের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক নতুন এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সমাধানের উপায় কী হতে পারে, তেমন প্রস্তাব আসতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

যুগান্তর:

বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে গচ্চা ৮ হাজার কোটি টাকা

গ্যাসের জোগান নিশ্চিত না করেই খুলনায় ৩টি পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ গচ্চা দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রগুলো থেকে কখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, তা সংশ্লিষ্ট কেউ বলতে পারছে না। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, কেন্দ্রগুলো চালানোর জন্য যে জ্বালানি (গ্যাস) লাগবে, তা এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তালিকায় নাম না থাকার পরও দেশের প্রভাবশালী ৪ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিককে গ্যাস দিতে গিয়ে সরকারি তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ক্ষমতা ছাড়ার কিছুদিন আগে এ ৪টি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। একটি কেন্দ্রে গ্যাস দেওয়া হয় ২০২৩ সালের শেষদিকে। চারটি কেন্দ্রই ছিল গ্যাস পাইপলাইনের অগ্রভাগে। এ কারণে পাইপলাইনে গ্যাস থাকলে, তা আগেই দ্রুত ওই কেন্দ্রগুলো টেনে নিত। ফলে তালিকায় থাকলেও সংকট দেখিয়ে খুলনার তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রূপসাসহ ৩ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভবিষ্যৎ। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। কারণ, রূপসার ৮০০ মেগাওয়াটসহ আরও ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে তৈরি হয়েছে। খোদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন

মানবজমিন:

ইউনূসকে আলিঙ্গন, আপ্লুত পিটার হাস্‌
জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনকে ঘিরে নিউ ইয়র্কে বসেছে বিশ্বনেতাদের মিলনমেলা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে কে নেই সেখানে? ১৯১ সদস্য-রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা তো বটেই, সেই মেলায় জড়ো হয়েছেন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনের পদস্থ কর্মকর্তারাও। জাতিসংঘ আসরকে ফলো করছে বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা, ভয়েস অব আমেরিকাসহ পাঠকনন্দিত দুনিয়ার প্রায় সব মিডিয়া। ওয়ার্ল্ড ক্যাপিটাল খ্যাত নিউ ইয়র্কের সেই মঞ্চে নতুন এক পরিচয়ে উপস্থিত নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘে তার পদচারণা বহু বছরের। কিন্তু এবারে বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসাবে অভিষেক হয়েছে তার। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। অবশ্য বিশ্বমঞ্চে বিরল সম্মাননাও পাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, এবারের জাতিসংঘ অধিবেশন ইউনূসময়। সেইসঙ্গে গৌরবের আসনে বাংলাদেশ। ৫৪ বছরের ইতিহাসে যা ঘটেনি এবার এমন সব ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশকে ঘিরে। আরও খোলাসা করে বলছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে। বিশ্ব রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ড. ইউনূস। সবখানেই তার সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে। অনেককেই লাইন ধরে তার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্‌। ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে আলিঙ্গন করেন তিনি। সেইসঙ্গে আপ্লুত পিটার হাস্‌ হাসিমুখে ছবিও তোলেন। স্মরণ করা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালেই বাংলাদেশ মিশন সম্পন্ন হয় পিটার হাসের। তার পূর্ব-নির্ধারিত ফ্লাইটের দু’দিন আগে অর্থাৎ ২১শে জুলাই ছিল কূটনৈতিক ব্রিফিং। যেখানে তিনি ছাত্র-জনতার ওপর শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। জাতিসংঘের লোগোযুক্ত এপিসি থেকে নিরীহ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ নিয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে তিনিও প্রশ্ন তুলেছিলেন

বনিক বার্তা:

জুলাইয়ে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও সুদ পরিশোধ হয় ব্যাংক থেকে ঋণ করে
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল গোটা দেশ। আন্দোলন ও সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার প্রভাবে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য। এ অবস্থায় পরিচালন ব্যয় মেটাতে সরকারকে দ্বারস্থ হতে হয় ব্যাংক ঋণের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুলাইয়ে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১২ হাজার ৭১১ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে সরকার। মূলত সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতেই এ অর্থ নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে ব্যাংক থেকে নেয়া সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এ অনুযায়ী গত জুলাইয়ে সরকারের ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ গুণেরও বেশিতে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাধারণত অর্থবছরের প্রথম মাস হিসেবে জুলাইয়ে সরকারি ব্যয়ের চাপ সেভাবে থাকে না। ফলে এ সময়ে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার পরিমাণ এত বেশি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক।

সমকাল:

লুকোচুরিতেও পার পাচ্ছেন না বিতর্কিত ১২ কর্মকর্তা
কেউ ধরেছেন অসুস্থতার ভান! কেউ কারণ ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত। কেউ আবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নিয়ে লাপাত্তা। কোনো কর্মকর্তা ছেড়েছেন সরকারি বাসা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকেই জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ‘বিতর্কিত’ ১২ কর্মকর্তা এমনই নানা কীর্তি করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে সংসদ সচিবালয়।

এই ১২ কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে রয়েছে নানা গলদ, আছে সমালোচনা। গত দেড় দশকে মন্ত্রী এমপির পিএস পদসহ পছন্দের পদায়ন, বিদেশ সফর, সরকারি প্লট বরাদ্দসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বাগিয়েছেন তারা। ‘অপরিহার্য কর্মকর্তা’ হিসেবে আত্তীকরণ করা হলেও সংসদের কাজে কখনোই তাদের একাগ্রতা ছিল না। অথচ তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে একাধিকবার নিয়োগ বিধি সংশোধন করা হয়েছে। হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করলেও আপিল বিভাগের রায়ে তারা চাকরিতে টিকে আছেন। তবে আপিল বিভাগের ওই রায় নিয়েও আছে বিস্তর অভিযোগ। সর্বশেষ সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতদিন তারা স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে বেতন ভাতা নিয়েছেন। মামলায় হারলে বেতন ভাতা ফেরত দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন এই ১২ কর্মকর্তা। ব্যাপারটি আঁচ করতে পেরে তারা প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও তুলে নিয়েছেন।

কালবেলা:

বিমানে পুরোনো ‘পঞ্চরত্ন’ সিন্ডিকেটের চতুরঙ্গ
রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ১৫ বছর ধরে লুটপাট ও নানা অপকর্মে জড়িত সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্য পাঁচজন কর্মকর্তা। তাদের বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘পঞ্চরত্ন’ হিসেবে চেনেন। কেনাকাটা, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি-পদায়ন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেছেন তারা। তাদের সিদ্ধান্তই ছিল ‘শেষ কথা।’

বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারী সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এই পঞ্চরত্ন সিন্ডিকেট চরম শক্তিশালী ছিল। প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে আসা বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে পরিচালক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিচালনা বোর্ডও তাদের কাছে জিম্মি ছিল।

সূত্রগুলো বলছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও এই পঞ্চরত্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেই রয়েছেন। সরকার পতনের পর একজনকে অপেক্ষাকৃত শাস্তিমূলক পদে বদলি করা হলেও দেড় মাসের মধ্যেই তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে চলে এসেছেন। কিছুদিন চুপচাপ থাকলেও সময় পার হওয়ার পর সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে এই সিন্ডিকেট। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভেতর ক্ষোভ ও অস্বস্তি বাড়ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

৪ মাস আগে ইসকন থেকে বহিষ্কার হন চিন্ময় দাশ

বাংলাদেশের জ্বালানি তেল অবাধে ভারতে পাচার!

তরুণেরাই গড়বেন নতুন বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৭:১৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

প্রথম আলো:

তরুণেরাই গড়বেন নতুন বাংলাদেশ
বাংলাদেশের তরুণেরাই নতুন বাংলাদেশ গড়বেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আন্দোলন খুব পরিকল্পিতভাবে (গোছানোভাবে) চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিছুই হঠাৎ হয়নি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন ড. ইউনূস। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রতিষ্ঠান ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ’-এর একটি আয়োজনে অংশ নেন তিনি। সেখানেই ড. ইউনূস এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস বিল ক্লিনটনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও সম্পর্কের প্রথম দিনের গল্প, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরুর কাহিনি এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নানা বিষয় তুলে ধরেন।

এ সময় ড. ইউনূস তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু বিল ক্লিনটনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলার ফাঁকে সফরসঙ্গী তাঁর বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথিকে পরিচয় করিয়ে দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলমকে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের আন্দোলনের কারিগর হিসেবে উল্লেখ করেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

বাংলাদেশের জ্বালানি তেল অবাধে ভারতে পাচার!

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ করছে সরকার। কিন্তু তারপরও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দামের মধ্যে থাকছে বিশাল ব্যবধান। বর্তমানে ভারতের কলকাতা ও বাংলাদেশের মধ্যে ডিজেল ও পেট্রল লিটার প্রতি পার্থক্য থাকছে ২২ থেকে ২৫ টাকা। আর এই ব্যবধানের কারণে বাংলাদেশের জ্বালানি তেল অবাধে ভারতে পাচার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে ডলার সংকটে আমদানি করা জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে ভারতে অবাধে পাচার হয়ে যাচ্ছে জ্বালানি তেল। এতে দেশের চাহিদা পূরণে সরকারকে বাড়তি তেল আমদানি করতে হচ্ছে। যার চাপ বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। খাত সংশ্লিষ্টরা দুই দেশের দামের পার্থক্য ৫ টাকার মধ্যে নিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভারতে ডিজেলের দাম বাংলাদেশের বাজারদরের চেয়ে বেশি। এমন পরিস্থিতিতে চোরাচালান বাড়াটাই স্বাভাবিক। তাই দুই দেশের মধ্যে তেলের দামের পার্থক্য কমিয়ে আনতে হবে, এতে তেল পাচারের ঝুঁকিটাও কমবে। একইসঙ্গে বাড়তি তেল আমদানির চাপও জ্বালানি তেল পাচার বন্ধ করা গেলে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে সরকারকে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে। প্রতিবছর জ্বালানি তেল আমদানি ব্যয় মেটাতে সরকারকে প্রায় ৫ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন হচ্ছে, তার ৭৩-৭৫ শতাংশই ডিজেল আমদানিতে ব্যয় হচ্ছে। চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে অবাধে জ্বালানি তেল পাচারের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে সরকারকেও।

জানা গেছে, বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারে সক্রিয় একটি অসাধু চক্র। বিভিন্ন স্থলবন্দর ও সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন অলিখিতভাবে বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ভোটার তালিকার পর ভোটের তারিখ

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য ও ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে উপনীত হওয়ার পাশাপাশি ভোটার তালিকা তৈরি হলেই নির্বাচনের তারিখ বলা হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে ফিরে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন ড. ইউনূস। ওই সময়ই এ সরকার জানিয়ে দেয়, দেশে আগে সংস্কার দরকার, তারপর নির্বাচন। এর মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি বলেছে, প্রয়োজনীয় সংস্কারে তারা সরকারকে সময় দিতে প্রস্তুত, তবে সেটি ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য নয়’।

কালের কন্ঠ:

সামান্য চাল ব্যবসায়ী থেকে অঢেল সম্পদের মালিক
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার টাকা, পেশি আর প্রভাবে নওগাঁর নিজ নির্বাচিনী এলাকায় রাতারাতি অলিখিত সম্রাটে পরিণত হয়েছিলেন। চালের ব্যবসার আড়ালে রাজনীতিকেই টাকা কামানোর প্রধান হাতিয়ার বানিয়ে গড়ে তোলেন সাম্রাজ্য। ভাইলীগ ও সিন্ডিকেটলীগই লাঠিয়াল হিসেবে তাঁর ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। তাঁর তৈরি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেই প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এর সঙ্গে সরকারি সব দপ্তরের নির্মাণকাজের ২০ শতাংশ কমিশনও চালু ছিল। বিভিন্ন সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ক্ষমতার পালাবদলের পর সেই প্রভাবশালী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এখন ফেরার। তাঁকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, ১৯৫০ সালে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর বলদাহঘাট গ্রামে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম হয় সাধন চন্দ্র মজুমদারের। বাবা মৃত কামিনী কুমার মজমুদার ছিলেন শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

নয়াদিগন্ত:

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান না হলে পুরো অঞ্চল সমস্যায় পড়বে

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আমাদের সতর্ক হতে হবে, এই সঙ্কটের সমাধান না হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র অঞ্চল সমস্যায় পড়বে।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে গত মঙ্গলবার রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের এক আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন, শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, আইসিসি প্রসিকিউটর করিম এ এ খান, আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে নতুন করে ভাবার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, প্রথমত আমরা চাই জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সব পক্ষের উপস্থিতিতে একটি সম্মেলনের আয়োজন করুক।
সম্মেলনে সঙ্কটের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক নতুন এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সমাধানের উপায় কী হতে পারে, তেমন প্রস্তাব আসতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

যুগান্তর:

বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে গচ্চা ৮ হাজার কোটি টাকা

গ্যাসের জোগান নিশ্চিত না করেই খুলনায় ৩টি পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ করে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ গচ্চা দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রগুলো থেকে কখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে, তা সংশ্লিষ্ট কেউ বলতে পারছে না। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, কেন্দ্রগুলো চালানোর জন্য যে জ্বালানি (গ্যাস) লাগবে, তা এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তালিকায় নাম না থাকার পরও দেশের প্রভাবশালী ৪ বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিককে গ্যাস দিতে গিয়ে সরকারি তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ক্ষমতা ছাড়ার কিছুদিন আগে এ ৪টি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। একটি কেন্দ্রে গ্যাস দেওয়া হয় ২০২৩ সালের শেষদিকে। চারটি কেন্দ্রই ছিল গ্যাস পাইপলাইনের অগ্রভাগে। এ কারণে পাইপলাইনে গ্যাস থাকলে, তা আগেই দ্রুত ওই কেন্দ্রগুলো টেনে নিত। ফলে তালিকায় থাকলেও সংকট দেখিয়ে খুলনার তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস দেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে রূপসাসহ ৩ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভবিষ্যৎ। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। কারণ, রূপসার ৮০০ মেগাওয়াটসহ আরও ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে তৈরি হয়েছে। খোদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন

মানবজমিন:

ইউনূসকে আলিঙ্গন, আপ্লুত পিটার হাস্‌
জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনকে ঘিরে নিউ ইয়র্কে বসেছে বিশ্বনেতাদের মিলনমেলা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে কে নেই সেখানে? ১৯১ সদস্য-রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা তো বটেই, সেই মেলায় জড়ো হয়েছেন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনের পদস্থ কর্মকর্তারাও। জাতিসংঘ আসরকে ফলো করছে বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা, ভয়েস অব আমেরিকাসহ পাঠকনন্দিত দুনিয়ার প্রায় সব মিডিয়া। ওয়ার্ল্ড ক্যাপিটাল খ্যাত নিউ ইয়র্কের সেই মঞ্চে নতুন এক পরিচয়ে উপস্থিত নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘে তার পদচারণা বহু বছরের। কিন্তু এবারে বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসাবে অভিষেক হয়েছে তার। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। অবশ্য বিশ্বমঞ্চে বিরল সম্মাননাও পাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের ভাষ্যমতে, এবারের জাতিসংঘ অধিবেশন ইউনূসময়। সেইসঙ্গে গৌরবের আসনে বাংলাদেশ। ৫৪ বছরের ইতিহাসে যা ঘটেনি এবার এমন সব ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশকে ঘিরে। আরও খোলাসা করে বলছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে। বিশ্ব রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন ড. ইউনূস। সবখানেই তার সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে। অনেককেই লাইন ধরে তার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস্‌। ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে আলিঙ্গন করেন তিনি। সেইসঙ্গে আপ্লুত পিটার হাস্‌ হাসিমুখে ছবিও তোলেন। স্মরণ করা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালেই বাংলাদেশ মিশন সম্পন্ন হয় পিটার হাসের। তার পূর্ব-নির্ধারিত ফ্লাইটের দু’দিন আগে অর্থাৎ ২১শে জুলাই ছিল কূটনৈতিক ব্রিফিং। যেখানে তিনি ছাত্র-জনতার ওপর শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। জাতিসংঘের লোগোযুক্ত এপিসি থেকে নিরীহ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণ নিয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে তিনিও প্রশ্ন তুলেছিলেন

বনিক বার্তা:

জুলাইয়ে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও সুদ পরিশোধ হয় ব্যাংক থেকে ঋণ করে
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল গোটা দেশ। আন্দোলন ও সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ার প্রভাবে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য। এ অবস্থায় পরিচালন ব্যয় মেটাতে সরকারকে দ্বারস্থ হতে হয় ব্যাংক ঋণের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুলাইয়ে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১২ হাজার ৭১১ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে সরকার। মূলত সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতেই এ অর্থ নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে ব্যাংক থেকে নেয়া সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এ অনুযায়ী গত জুলাইয়ে সরকারের ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ গুণেরও বেশিতে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাধারণত অর্থবছরের প্রথম মাস হিসেবে জুলাইয়ে সরকারি ব্যয়ের চাপ সেভাবে থাকে না। ফলে এ সময়ে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেয়ার পরিমাণ এত বেশি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বাভাবিক।

সমকাল:

লুকোচুরিতেও পার পাচ্ছেন না বিতর্কিত ১২ কর্মকর্তা
কেউ ধরেছেন অসুস্থতার ভান! কেউ কারণ ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত। কেউ আবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নিয়ে লাপাত্তা। কোনো কর্মকর্তা ছেড়েছেন সরকারি বাসা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকেই জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ‘বিতর্কিত’ ১২ কর্মকর্তা এমনই নানা কীর্তি করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে সংসদ সচিবালয়।

এই ১২ কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে রয়েছে নানা গলদ, আছে সমালোচনা। গত দেড় দশকে মন্ত্রী এমপির পিএস পদসহ পছন্দের পদায়ন, বিদেশ সফর, সরকারি প্লট বরাদ্দসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বাগিয়েছেন তারা। ‘অপরিহার্য কর্মকর্তা’ হিসেবে আত্তীকরণ করা হলেও সংসদের কাজে কখনোই তাদের একাগ্রতা ছিল না। অথচ তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে একাধিকবার নিয়োগ বিধি সংশোধন করা হয়েছে। হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করলেও আপিল বিভাগের রায়ে তারা চাকরিতে টিকে আছেন। তবে আপিল বিভাগের ওই রায় নিয়েও আছে বিস্তর অভিযোগ। সর্বশেষ সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতদিন তারা স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে বেতন ভাতা নিয়েছেন। মামলায় হারলে বেতন ভাতা ফেরত দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন এই ১২ কর্মকর্তা। ব্যাপারটি আঁচ করতে পেরে তারা প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও তুলে নিয়েছেন।

কালবেলা:

বিমানে পুরোনো ‘পঞ্চরত্ন’ সিন্ডিকেটের চতুরঙ্গ
রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ১৫ বছর ধরে লুটপাট ও নানা অপকর্মে জড়িত সিন্ডিকেট এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্য পাঁচজন কর্মকর্তা। তাদের বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘পঞ্চরত্ন’ হিসেবে চেনেন। কেনাকাটা, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি-পদায়ন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেছেন তারা। তাদের সিদ্ধান্তই ছিল ‘শেষ কথা।’

বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারী সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে এই পঞ্চরত্ন সিন্ডিকেট চরম শক্তিশালী ছিল। প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে আসা বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে শুরু করে পরিচালক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিচালনা বোর্ডও তাদের কাছে জিম্মি ছিল।

সূত্রগুলো বলছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও এই পঞ্চরত্ন গুরুত্বপূর্ণ পদেই রয়েছেন। সরকার পতনের পর একজনকে অপেক্ষাকৃত শাস্তিমূলক পদে বদলি করা হলেও দেড় মাসের মধ্যেই তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে চলে এসেছেন। কিছুদিন চুপচাপ থাকলেও সময় পার হওয়ার পর সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে এই সিন্ডিকেট। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভেতর ক্ষোভ ও অস্বস্তি বাড়ছে।