ভারতের তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্র রাজ্য থেকে ১১ বাংলাদেশিকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছয় বাংলাদেশিকে তামিলনাড়ু থেকে এবং বাকি পাঁচজনকে মহারাষ্ট্র থেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ ও বসবাসের অভিযোগ আনা হয়েছে। পৃথক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু ও ইন্ডিয়া টুডে এই খবর জানিয়েছে।
দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুপপুর জেলা থেকে ছয়জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তরা করা হয়েছে। শহরের একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে স্থানীয় পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স তাদের আটক করে। এনআইডি কার্ড ও অন্যান্য নথিপত্র যাচাই করে। আটককৃতদের মধ্যে ছয়জনকে বাংলাদেশি বলে শনাক্ত করেছে তারা।
আটককৃতদের একটি নিটওয়্যার কারখানায় চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে মুধালিপালায়ামে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে দ্য হিন্দু। আটক ছয়জনই বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।
তারা হলেন—ধনবীর (৩৯), রাশিব গাভুন (৪৩), মোহাম্মদ আসলাম (৪১), মোহাম্মদ আল ইসলাম (৩৭), মোহাম্মদ রাগুল আমিন (৩০) ও শাভুমুন শেখ (৩৮)।
অন্যদিকে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেআইনিভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) মহারাষ্ট্রের পালঘার জেলা থেকে পাঁচজন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র পুলিশের ইন্সপেক্টর সৌরভী পাওয়ার বলেছেন, একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং সেল (এএইচটিসি) নালা সোপাড়ার একটি বস্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন—আরশাদ রহমতুল্লাহ গাজী (৫২), আলী মোহাম্মদ দিনমোহাম্মদ মণ্ডল (৫৬), মিরাজ সাহেব মণ্ডল (১৯), সাজাদ কাদির মণ্ডল (৪৫) ও সাহেব পঞ্চানন সরদার (৪৫)।