ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে প্রান গেলে মা-মেয়ের

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে প্রান গেলে মা-মেয়ের

পাবনা সদর উপজেলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলার থানার আতাইকুলা ইউনিয়নের কাচারপুর পুর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুজন ওই গ্রামের মো. নবাব উদ্দিন খানের স্ত্রী ও মেয়ে। মেয়ে অরশা খাতুন কাচারপুর দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির টিনের ঘরের টিনের নিচে বৃষ্টির পানিতে গোসল করতেছিল মেয়ে অরশা খাতুন। গোসল করে গোয়াল ঘরে উঠতে বসে লোহার দরজায় লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পুরো গোয়ালঘর বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে মা আরজিনা খাতুন এগিয়ে গেলে মেয়েসহ তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতের স্বামী নবাব উদ্দিন খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে মাদ্রাসায় পড়াচ্ছিলাম। মেয়ে আমার খুব মেধাবী ছিল। কিন্তু আজকে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মেয়ের সঙ্গে স্ত্রীও চলে যাওয়াতে আমার সর্বনাশ হয়ে গেল। একদম এতিম হয়ে গেলাম আমি। আল্লাহ দুজনকে যেন জান্নাতবাসী করেন।

আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে গোসল করে গোয়াল ঘরে উঠতে গিয়ে প্রথমে মেয়ে বিদ্যুতায়িত হোন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গেলে মাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ে মারা গেছে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে প্রান গেলে মা-মেয়ের

আপডেট সময় ০৮:৪৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাবনা সদর উপজেলায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলার থানার আতাইকুলা ইউনিয়নের কাচারপুর পুর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুজন ওই গ্রামের মো. নবাব উদ্দিন খানের স্ত্রী ও মেয়ে। মেয়ে অরশা খাতুন কাচারপুর দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির টিনের ঘরের টিনের নিচে বৃষ্টির পানিতে গোসল করতেছিল মেয়ে অরশা খাতুন। গোসল করে গোয়াল ঘরে উঠতে বসে লোহার দরজায় লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পুরো গোয়ালঘর বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে মা আরজিনা খাতুন এগিয়ে গেলে মেয়েসহ তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতের স্বামী নবাব উদ্দিন খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে মাদ্রাসায় পড়াচ্ছিলাম। মেয়ে আমার খুব মেধাবী ছিল। কিন্তু আজকে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মেয়ের সঙ্গে স্ত্রীও চলে যাওয়াতে আমার সর্বনাশ হয়ে গেল। একদম এতিম হয়ে গেলাম আমি। আল্লাহ দুজনকে যেন জান্নাতবাসী করেন।

আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে গোসল করে গোয়াল ঘরে উঠতে গিয়ে প্রথমে মেয়ে বিদ্যুতায়িত হোন। পরে তাকে উদ্ধার করতে গেলে মাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ে মারা গেছে।