আজকের প্রত্রিকার প্রধান প্রধান খবর
নয়াদিগন্ত:
মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণ হলে রাজনৈতিক দল ১০ বছর নিষিদ্ধের প্রস্তাব
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সংশোধনে আটটি খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। খসড়া সংশোধনীতে এ আইনের ৪এ, ১৩এ ও ২০এ নামে ৩টি নতুন ধারা এবং ৩(৩) ও ১২(২) নামে ২টি নতুন উপধারা যুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ধারা ৩(২)(এ), ৪(২) ও ১৯ ধারায় সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া খসড়া সংশোধনীর প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি এ আইনের অধীন কোনো অপরাধ করে তাহলে সে দলকে ১০ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার বিধান রাখা হয়েছে।’
গতকাল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সংশোধনবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ আইনের প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমরা প্রথম দিন থেকে বলছি এখানে প্রতিশোধ বা কোন প্রতিহিংসা, এটা না। আমরা সুবিচার চাই। আমরা সুবিচার নিশ্চিত করতে চাই। তিনি বলেন, আপনারা নিজের চোখে দেখেছেন কি ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আমরা কখনো বিশ্বাস করতে পারতাম না যে একটা দেশের একটি বৃদ্ধ প্রজন্ম দেশের একটি তরুণ প্রজন্মকে উন্মত্তভাবে খুনের নেশায় নেমেছিল। আমাদের চোখের সামনে সব দেখেছি। যত বেদনা বুকের ভিতর থাক, যত ক্ষোভ বুকের ভেতর থাক, আমরা এই চ্যালেঞ্জটা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন আছি যে আমাদের এই বিচারটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আমার বুকের ভিতর যত কষ্ট থাক, যত ক্ষোভ থাকুক, যত ক্রন্দন থাকুক বিচারটাকে অবশ্যই আমাদের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আমরা সচেতন আছি। আমরা সচেতন আছি এ দেশে বিচারের নামে কী ধরনের অবিচার হয়েছে অতীতে। আমরা সব কিছু জানি। এজন্য আমরা সচেতন আছি যে এটার প্রতিফলন আমাদের বিচারকার্যের মধ্য দিয়ে দেখবেন। আমরা চেষ্টা করব আন্তর্জাতিক বিশে^র কাছে এবং বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের কাছে এই বিচার গ্রহণযোগ্য হয়। যেসব নেতা বা যেসব ব্যক্তি এখানে বিচারকার্যে সম্মুখীন হবে তাদের যারা সমর্থক আছে তাদেরও যাতে মনে হয়, হ্যাঁ সত্যি উনি অন্যায় করেছেন বা অন্যায় করেন নাই। তারাও যেন কনভিন্স থাকে।
ড. আসিফ নজরুল আরো বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমকে সচল করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রসিকিউশন ও ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করা হয়েছে। এখন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আদালতকে (ট্রাইব্যুনাল) পুনর্গঠন করা। কারণ ট্রাইব্যুনালে এখন কোনো বিচারক নেই। আমরা এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সংস্কার কার্যক্রম এখানেই থেমে থাকবে না। যারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তাদের সবার মতামত নিয়ে এই আইন সংশোধন করা হবে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি আমাদের সক্ষমতা আছে বিচার করার। আর প্রথমে যদি বলি আমাদের সক্ষমতা নেই তাহলে বিচার বিভাগকে ছোট করা হয়।
সমকাল:
সিন্ডিকেটের কবলে ইলিশ, ধরাছোঁয়ার বাইরে দাম
ইলিশের ভরা মৌসুম এখন। পাঁচ বছর ধরে উৎপাদনও বাড়ছে আড়াই শতাংশ হারে। তবু ইলিশের স্বাদ নিতে পারছে না সাধারণ ক্রেতারা। কারণ উচ্চমূল্য। ভোক্তারা এজন্য অসাধু চক্রের কারসাজিকে দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ, অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। এ চক্র না ভাঙলে ইলিশ সাধারণ মানুষের কাছে অধরা থেকেই যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নদী বা সাগর থেকে ইলিশ আহরণের পর ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে কয়েকটি হাত ঘোরে ইলিশ। প্রথমত জেলের কাছ থেকে যায় মহাজনের হাতে। এরপর আড়তদার হয়ে যায় পাইকারদের কাছে। সর্বশেষ যখন খুচরা ব্যবসায়ী কিংবা পাড়া-মহল্লার বাজারে পৌঁছায় তখন ইলিশের দাম এমন পর্যায়ে ওঠে যে, তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়।
ইলিশ উৎপাদন এলাকার ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বলছেন, প্রতিদিনই অনেক ইলিশবোঝাই ট্রাক খুলনা, যশোর ও বেনাপোলের দিকে যায়। এগুলো শেষ পর্যন্ত সেসব এলাকায় বিক্রি হয়, নাকি পাচার হয়– তা খতিয়ে দেখা দরকার।
দৈনিক সংগ্রাম:
দ্বীন কায়েমের জন্য মানুষের কাছে সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দিন — মিয়া গোলাম পরওয়ার
খুলনা ব্যুরো : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, দ্বীন কায়েমের জন্য সর্বস্তরের মানুষের কাছে সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দিতে দায়িত্বশীলদের ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে দেশ গঠনে জামায়াতের সকল স্তরের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর আল ফারুক সোসাইটিতে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরার বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, সর্বস্তরে মজবুত সংগঠন কায়েম করে সকল শ্রেণীর মানুষের মাঝে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত কুরআন এবং সুন্নাহর নির্দেশনার আলোকে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে দ্বীনের সঠিক জিম্মাদারী পালন করতে হবে। কারণ আজকে নানা ষড়যন্ত্রের কারণে মানুষ ইসলাম হতে বিভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান থেকে মানুষ বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এর মাধ্যমে যুব সমাজ পথ হারাচ্ছে। এমতাবস্থায় জামায়াতে ইসলামীর সকল ভাই-বোনদেরকে দাওয়াতী কাজে আরো বেশি আত্মনিয়োগ করে পথহারা মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
কালবেলা:
তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে কেলেঙ্কারি শেষ হয়নি। সম্প্রতি বিতর্কিত ডিসি নিয়োগকাণ্ডের অন্যতম হোতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের (এপিডি) কক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার একটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে। পদায়ন হওয়া এক জেলা প্রশাসকের পক্ষে ওই যুগ্ম সচিবকে চেকটি দেন এক ব্যবসায়ী। তবে কাঙ্ক্ষিত জেলায় পদায়ন না হওয়ায় চেকের বিপরীতে টাকা জমা দেননি ডিসি। অন্যদিকে, সব কিছু ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চেকদাতা ওই ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। সচিবালয় ও গোয়েন্দা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, এবারের ডিসি নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ডিসি ফিটলিস্ট তৈরির আগেই এসব অর্থের লেনদেন হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুজন যুগ্ম সচিবের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এর অংশ হিসেবে তিন দিন আগে মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ এপিডি অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদের কক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সঙ্গে চেকদাতার এনআইডির ফটোকপিসহ ডিসি নিয়োগ-সংশ্লিষ্ট কিছু কাগজপত্র এবং চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। যেখানে ডিসি নিয়োগ সম্পর্কিত ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু বিষয় রয়েছে
প্রথম আলো:
ডিজিটালের নামে বিপুল ব্যয়, তবু সূচকে পিছিয়ে বাংলাদেশ
ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে সাড়ে ১৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। তবু ডিজিটাল সেবা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্নীতি কমানো, মানবসম্পদ ও দক্ষতা উন্নয়ন, আইসিটি সেবা রপ্তানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
আইসিটি বিভাগের হিসাবে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভাগটি ৫৩টি প্রকল্প ও ৩৪টি কর্মসূচি নিয়েছে। যার মধ্যে ২২টি প্রকল্প এখনো চলমান। বাকিগুলো বাস্তবায়ন শেষ। সব মিলিয়ে ব্যয় প্রায়
ডিজিটালের নামে বিপুল ব্যয়, তবু সূচকে পিছিয়ে বাংলাদে
২৫ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ডিজিটালাইজেশন-সংক্রান্ত প্রকল্প নিয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নেওয়া প্রকল্পের ব্যয় ৪০ হাজার কোটি টাকা।
আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তা ও খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আইসিটি খাতে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেগুলোর তেমন কোনো সুফল নেই। সম্ভাবনার নামে ‘গালগল্প’ শুনিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। তারপর দেখা গেছে, সেই অবকাঠামো তেমন কোনো কাজে লাগছে না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। প্রশিক্ষণের নামে শত শত কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তাতেও সুফল কম।
আইসিটি বিভাগের প্রকল্পগুলোয় অতিরিক্ত ব্যয় ধরা, ঘনিষ্ঠ লোকদের কাজ দেওয়া, চাকরিতে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ও তাঁর কাছের লোকদের যখনই কোনো কিছু মাথায় আসত, তাঁরা সেটাকে প্রকল্প বানিয়ে ফেলতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম দিয়ে নেওয়া হয়েছিল ১১টি প্রকল্প। প্রশ্নহীনভাবে প্রকল্প অনুমোদন করাতে এই কৌশল নেওয়া হতো।
বাংলাদেশ প্রতিদিন:
মাঠ গোছাচ্ছে বিএনপি
নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি, গুরুত্ব তৃণমূলে, ৩১ দফা নিয়ে জেলায় জেলায় নেতারাআগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠ গোছাচ্ছে ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এজন্য গত বছরের ১৩ জুলাই সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফা’ নিয়ে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব সমাবেশে নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ইতোমধ্যে জনগণের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা ৩১ দফাকে কর্মসূচি আকারে আবার মানুষের সামনে নিয়ে যাচ্ছি। জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৃণমূলের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন। বিভিন্ন জেলায় সমাবেশের আয়োজন করে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখছেন। সাংগঠনিকভাবে বিভাগ ও জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন দফায় দফায়। তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। নির্বাচন ঘিরে হাইকমান্ডের এমন তৎপরতা চোখে পড়েছে। তৃণমূল নেতারা বলছেন, তারেক রহমান সবসময় তৃণমূলকে গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। আন্দোলন থেকে শুরু করে যেকোনো কর্মসূচি পালনে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। আন্দোলন কর্মসূচিতে সক্রিয়দের নেতৃত্বের সামনে আনা হচ্ছে। তারা বলেন, তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশেষ করে উৎপাদন উন্নয়নের রাজনীতির প্রতিশ্রুতি বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। তার বক্তব্যে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছেন। জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান তৃণমূলসহ সারা দেশে বিএনপিকে সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বৈরাচার হাসিনাকে হটানোর জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই আন্দোলনের শত শত নেতা-কর্মীর রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতন হলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের শতভাগ সমর্থন রয়েছে। আগামী নির্বাচনের জন্য তারেক রহমান জেলায় জেলায়, বিভাগীয় পর্যায়ে সভাবেশ করে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করছেন।
কালের কন্ঠ:
দুর্নীতি-অনিয়ম: নওফেলের নিয়োগ-বদলি বাণিজ্যে শিক্ষার বারোটা
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মবহির্ভূত প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ, অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ ও বদলির ঘটনা রয়েছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে সাত গুণ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক সরকারে দীর্ঘদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালে শিক্ষার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অর্থায়ন ও নিজস্ব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়টি পাঁচ বছর আগে নিয়ন্ত্রণে নেন নওফেল। অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) শিক্ষক নিয়োগও ছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণে।
যুগান্তর:
১৪৮২ কোটি টাকার সার গায়েব, উদ্ধার হয়নি ৩ বছরেও
গায়েব হওয়া আড়াই লাখ টন সার উদ্ধারে তিন বছরেও অগ্রগতি নেই। সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) থেকে ২০২১ সালে এই সার গায়েব করে পোটন ট্রেডার্স। এর মধ্যে বিএডিসির ১ লাখ ৭৯ হাজার টন এবং বিসিআইসির ৭২ হাজার টন। এই পরিমাণ সারের মূল্য ১ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল আশরাফ খান পোটন।
সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনেরও সভাপতি তিনি। গত ২৭ বছর পর্যন্ত সার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন পোটন। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার পর বর্তমানে তিনি কারাগারে। আর দুদক বলছে, শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
জানতে চাইলে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান সোমবার যুগান্তরকে বলেন, বিএডিসি এবং বিসিআইসি দুটি মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। আশা করছি দ্রুতই প্রতিবেদন দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আরও কয়েকজন বাকি আছে। এছাড়া কিছু ডকুমেন্ট যাচাই দরকার। এরপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত পোটন ট্রেডার্সের সার কেলেঙ্কারি নিয়ে গত বছরের ৩ জানুয়ারি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুগান্তর। এরপর আরও দু-একটি গণমাধ্যম এই রিপোর্টের ফলোআপ করে। এই ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ৫ জানুয়ারি স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন উচ্চ আদালত। কেন পোটন ট্রেডারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না-দুদককে তা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়।
মানবজমিন:
অসন্তোষ কাটছেই না পোশাক শিল্পে
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে আশুলিয়ায় অর্ধশতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পোশাক কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওদিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে চার দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সিজন ড্রেসেস লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। এতে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়। পরে বিকাল ৫টার দিকে অবরোধকারীরা মহাসড়ক থেকে চলে যান।
এদিকে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সাধারণ সভা শেষে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হয়নি।
এখন বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় কীভাবে শিল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়; আর ক্রেতাদের দেয়া কথা রেখে কীভাবে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা যায়; এই দুই বিষয়কে সামনে রেখেই আলোচনা করেন পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা।
বৈঠকে পোশাক শিল্পখাতে বিদ্যমান অস্থিরতা ও সমস্যা নিরসনে সরকারের কাছে ১৮টি দাবি উত্থাপন করেছে শ্রমিক পক্ষ। এদের মধ্যে মজুরি বোর্ড পুনর্গঠন করে মজুরি পুনঃনির্ধারণ ও বাৎসরিক ন্যূনতম ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের (বেতন বৃদ্ধি) দাবি ছিল।
দেশ রুপান্তর:
ঋণের সুফল পেতে চাই শৃঙ্খলা
মহামারী করোনার আগপর্যন্ত বাংলাদেশের জিডিপির বেশ ভালো প্রবৃদ্ধিই ছিল। অর্থনীতিও এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আর্থিক খাতে লুটপাট, দুর্নীতি আর মুদ্রা পাচারে সব ডুবেছে। লুটপাটের প্রভাব স্পষ্ট হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর। বিদেশি মুদ্রায় আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে পণ্য রপ্তানি করে অর্থ দেশে না আনা, আমদানি-রপ্তানিতে মূল্য কমবেশি দেখিয়ে অর্থ পাচার ও ঋণ করে অলাভজনক উন্নয়নের খেসারত হিসেবে এক সময়ের রেকর্ড বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ঝুঁকিতে পড়েছে। ফলে আমদানিনির্ভর বাংলাদেশকে খাদ্য ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।গত ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে কমিশন গঠন করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আর্থিক খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ নয় এমন প্রকল্প বন্ধ রেখে সরকারের ব্যয় কমিয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের পথ গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন সরকারের বিদ্যমান সংকট বিশেষ করে বিদেশি মুদ্রার সংকট কাটাতে এগিয়ে এসেছে উন্নয়ন সহযোগীরা। স্বল্প সময়ে বাজেট সহায়তাসহ বিভিন্ন খাতে সাড়ে ১২ বিলিয়ন ডলারের ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাগুলো। বিপুল এই ঋণ বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সংকট কাটাতে যেমন সহায়তা করবে, তেমনি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও তা ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।