ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শিবির সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনা করে ৯ দফা তৈরি হয়: সমন্বয়ক আব্দুল কাদের Logo বিটিভির নতুন মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম Logo বিএনপির সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায় ভারত: মির্জা ফখরুল Logo বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত: বাণিজ্য উপদেষ্টা Logo রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে সরকারের দুই কমিটি Logo মেট্রোরেলে প্রথম ৬ মাসে আয় ১৮ কোটি, চলতি মাসের ১৮ দিনে ২০ কোটি Logo সেপ্টেম্বরের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১৬৩ কোটি ডলার Logo সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়টি গুজব: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ Logo বাইডেন-মোদি বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা

বাইডেন-মোদি বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা

বাইডেন-মোদি বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা

গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। বরাবরই আওয়ামী সরকারের ওপর প্রতিবেশী দেশটির প্রচ্ছন্ন প্রভাবের অভিযোগ করে আসছিলেন বিরোধীরা। ক্ষমতাচ্যুতির পর হাসিনার ভারতে পলায়ন ও বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠানে হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি ভূমিকা রাখার আহ্বান সেই অভিযোগকে আরও শক্তিশালী ভিত্তি দেয়।

ফলে হাসিনা সরকারের পতনে সীমান্তে অনেকটাই অনিরাপদ হয়ে পরে ভারতের নিরাপত্তা। সম্প্রতি এসব পরিস্তিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে বাইডেনের বাসভবনে ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এ ছাড়াও ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোট কোয়াডের এবারের সম্মেলনের আলোচনায় উঠেছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিও। শনিবার উইলমিংটনে কোয়াডের সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার এই তথ্যও নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব।

রোববার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই ও দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে অনুষ্ঠিত কোয়াড সম্মেলনের আলোচনার একটি মূল বিষয় ছিল ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিও। বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিষয়ে সেখানে মতামত বিনিময় হয়েছে।

কোয়াড নেতাদের আলোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মিশ্রি বলেন, আমি বলেছি, এসব আলোচনা আঞ্চলিক বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্ত। এটা হয়ত একপক্ষ অথবা অন্যপক্ষের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু অঞ্চলের বাইরেও এর তাৎপর্য রয়েছে। আর এই প্রেক্ষাপটে কয়েকটি পরিস্থিতি আলোচনার জন্য এসেছিল। বাংলাদেশও আলোচনায় স্থান পেয়েছে এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে…।

ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত মাসে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছিলেন।

যদিও সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মোদির সাথে বাইডেনের ফোনালাপে বাংলাদেশের বিষয়ে কোনও তথ্যই উল্লেখ করা হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মোদি বলেছিলেন, টেলিফোনে আলাপকালে বাংলাদেশে দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও তাদের মাঝে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মোদি।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবির সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনা করে ৯ দফা তৈরি হয়: সমন্বয়ক আব্দুল কাদের

বাইডেন-মোদি বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা

আপডেট সময় ০৬:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়েছে ভারত। বরাবরই আওয়ামী সরকারের ওপর প্রতিবেশী দেশটির প্রচ্ছন্ন প্রভাবের অভিযোগ করে আসছিলেন বিরোধীরা। ক্ষমতাচ্যুতির পর হাসিনার ভারতে পলায়ন ও বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠানে হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি ভূমিকা রাখার আহ্বান সেই অভিযোগকে আরও শক্তিশালী ভিত্তি দেয়।

ফলে হাসিনা সরকারের পতনে সীমান্তে অনেকটাই অনিরাপদ হয়ে পরে ভারতের নিরাপত্তা। সম্প্রতি এসব পরিস্তিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের উইলমিংটনে বাইডেনের বাসভবনে ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। এ ছাড়াও ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোট কোয়াডের এবারের সম্মেলনের আলোচনায় উঠেছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিও। শনিবার উইলমিংটনে কোয়াডের সম্মেলনে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার এই তথ্যও নিশ্চিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব।

রোববার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই ও দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে অনুষ্ঠিত কোয়াড সম্মেলনের আলোচনার একটি মূল বিষয় ছিল ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিও। বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিষয়ে সেখানে মতামত বিনিময় হয়েছে।

কোয়াড নেতাদের আলোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মিশ্রি বলেন, আমি বলেছি, এসব আলোচনা আঞ্চলিক বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্ত। এটা হয়ত একপক্ষ অথবা অন্যপক্ষের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট। কিন্তু অঞ্চলের বাইরেও এর তাৎপর্য রয়েছে। আর এই প্রেক্ষাপটে কয়েকটি পরিস্থিতি আলোচনার জন্য এসেছিল। বাংলাদেশও আলোচনায় স্থান পেয়েছে এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হয়েছে…।

ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত মাসে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছিলেন।

যদিও সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মোদির সাথে বাইডেনের ফোনালাপে বাংলাদেশের বিষয়ে কোনও তথ্যই উল্লেখ করা হয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মোদি বলেছিলেন, টেলিফোনে আলাপকালে বাংলাদেশে দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়েও তাদের মাঝে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মোদি।