আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:
বনিক বার্তা:
অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশীদের উল্টো ঝুলিয়ে শায়েস্তা করব —অমিত শাহ
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারলে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে শায়েস্তা করা হবে। শুক্রবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক সমাবেশে তিনি এ হুমকি দেন। খবর টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
অমিত শাহ বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের জন্য আমি আপনাদের সবার কাছে আর্জি জানাচ্ছি। আমরা ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশকারী প্রত্যেক বাংলাদেশীকে উল্টো করে ঝুলিয়ে শায়েস্তা করব।’
‘পরিবর্তন যাত্রা’ কর্মসূচি উদ্বোধন উপলক্ষে সাহেবগঞ্জ জেলায় এ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। অমিত শাহ বলেন, ‘এ কর্মসূচির (পরিবর্তন যাত্রা) মাধ্যমে আমরা কী পরিবর্তন ঘটাতে চাই? আমরা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তনের কথা বলছি না। এমনকি বিজেপিকে ক্ষমতায় আনার কথাও বলছি না। আমরা এমন পরিবর্তনের কথা বলছি, যার মাধ্যমে এ রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে সরানো যাবে। আমরা এখানে এমন সরকার চাই, যারা দুর্নীতি মোকাবেলা করতে পারবে।’
নয়াদিগন্ত:
বাইরে থেকে সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র হচ্ছে
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনায় উ™ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পরিদর্শনে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। এ সময় তারা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্টজন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। সভায় উপদেষ্টারা পার্বত্য এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে তার জন্য সকল গোষ্ঠীর প্রতি আহবান জানান। এ ছাড়া তারা মন্তব্য করেন পাহাড়ে সবাই সম্প্রীতি চায়, কিন্তু সেটা নষ্ট করার জন্য বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তারা।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুতেই অবনতি হতে দেয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে বৈঠক শেষে গতকাল তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যারা আইন-শৃঙ্খলা অবস্থার অবনতি করবে তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না। ভবিষ্যতে তারা যদি আবারো অবস্থার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে তাদের হাত ভেঙ্গে দেয়া হবে হুশিয়ারি দেন তিনি। এ সময় স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, পাহাড়ে সবাই সম্প্রীতি চাই কিন্তু সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটির ঘটনা নিয়ে গতকাল স্থানীয়দের সাথে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ে প্রতিনিধি দল। দুপুরে সকালে রাঙ্গামাটি রিজিয়নের প্রান্তিক হলে রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাইনুর রহমানসহ সরকারের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠককে উচ্চপর্যায়ে উপদেষ্টা মণ্ডলী তিন পার্বত্য জেলায় শান্ত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। ঘটনায় যেই জড়িত থাকবে তাদের ছাড়া দেয়া হবে না। পার্বত্য এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে চলমান থাকে তার জন্য পার্বত্য এলাকায় সব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, পাহাড়ের সাম্প্রতিক ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, তা আগামীতে যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য জায়গার ছবি এনে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা বন্ধে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় তিনি নতুন বাংলাদেশ গড়তে একযোগে কাজ করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গতকাল খাগড়াছড়িতে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উদ্ভুত পরিস্থিতি দেখতে এবং করণীয় ঠিক করতে খাগড়াছড়ি পরিদর্শনে এসেছেন সরকারের তিন উপদেষ্টা। তারা বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্টজন ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সভায় জেলার শান্তি-সম্প্রীতির উন্নয়নে মতামত ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, জেলা বিএনপি‘র সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া, সাবেক অধ্যক্ষ বোধিসত্ত দেওয়ান, সুশীল জীবন চাকমা, সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য প্রমুখ। এ সময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: আশরাফুজ্জান ছিদ্দিকী, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো: মাইনুর রহমান, পুলিশের আইজিপি মো: ময়নুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো: আমান হাসান, জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
মানবজমিন:
আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা করা হলে হাত ভেঙে দেয়া হবে
পার্বত্য চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যারা করবে তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টাকারীদের হাত ভেঙে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। রাঙ্গামাটি সেনা রিজিয়নে রাঙ্গামাটির স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আঞ্চলিক দলের নেতাগণসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলোর সংঘটিত করার পেছনে কারা জড়িত সেটা বের করতে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আইনশৃঙ্খলার কোনো অবস্থায় অবনতি করা যাবে না। আমরা কোনো অবস্থায় সন্ত্রাসীদের ছাড় দিবো না। পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে গণমাধ্যকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বেলা সোয়া ১২টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, পুলিশের আইজিপি, দুটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসিসহ নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, রাঙ্গামাটি সেনা রিজিয়নের প্রান্তিক মিলনায়তনে উপস্থিত হন। সাড়ে ১২টার সময় সেখানে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সরকারি অফিসের প্রধানগণ, বিএনপি-জামায়াত ও জেএসএসর নেতৃবৃন্দ, চাকমা সার্কেল চিফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিগণ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরবর্তীতে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই মতবিনিময় সভায় জেএসএস’র পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবেই জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনাটির সঙ্গে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস-এর কোনো সম্পর্ক ছিল না। অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় জানান, পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের রেখে যাওয়া অপশক্তি এবং পার্বত্য চুক্তিবিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ রাঙ্গামাটিতে শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়ে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের সূত্রপাত ঘটায়।
যুগান্তর:
থমথমে তিন পার্বত্য জেলা, বন্ধ যানবাহন চলাচল
সহিংসতায় জড়িত কাউকে ছাড় নয়, শিগগিরই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা * সম্প্রীতি নষ্টে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে-স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
তিন পার্বত্য জেলায় সহিংসতা, উত্তেজনা ও নিহতের ঘটনায় শনিবারও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার’ ডাকে এদিন সকাল থেকে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়। এছাড়া গাড়িতে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহণ শ্রমিকরা। এর প্রভাব বান্দরবানে তেমন না পড়লেও বাকি দুই জেলার জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। বিশেষ করে সংঘাতপ্রবণ এলাকাতে টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে পাহাড়ের পরিস্থিতি দেখতে শনিবার খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ চার উপদেষ্টা। এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাহাড়ে সহিংসতায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলার অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, সহিংসতা তদন্তে শিগগিরই একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ বলেছেন, পাহাড়ে সম্প্রীতি নষ্টের জন্য বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি বিভক্তি তৈরি করে অনেক পক্ষ সুবিধা নিতে চায়। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, উসকানি ও গুজবের ফাঁদে পা দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনা যেন ম্লান না হয়।
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে বৃহস্পতি ও শুক্রবার পাহাড়ি ও বাঙালিদের দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত ও অর্ধশত আহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক দোকানপাট, বাড়িঘর ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
কালের কন্ঠ:
দেশে ফিরে বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়ে কর্মফল ভোগ করুন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনাকে পালাতে বলেছিল কে? আপনি সব সময় বলতেন, দেশের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন, বিচারকরা স্বাধীন। পালিয়ে না গিয়ে দেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারতেন। আপনি দেশে ফিরুন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হয়ে নিজের কর্মের ফল ভোগ করুন।’
গতকাল শনিবার সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।শেখ হাসিনার শাসনামলের সমালোচনা করে জামায়াত আমির বলেন, জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ ১১ নেতাকে ফাঁসি দিয়ে বা জেলে রেখে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা কেউ প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। শুধু তাঁদের পক্ষ থেকে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করানোর জন্য অনেক নাটক হয়েছে, কিন্তু তাঁরা তা করেননি।
ড. শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হয় পাকিস্তান, আমরা হই গর্বিত নাগরিক।
কিন্তু যে স্লোগান বা প্রত্যাশা নিয়ে পাকিস্তান গড়ে উঠেছিল, সরকার সেখান থেকে দূরে সরে গিয়েছিল। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু জুলফিকার আলী ভুট্টো সেই বিজয় মেনে না নিয়ে দুজন প্রধানমন্ত্রী করার যে অন্যায় দাবি করেন, সবার আগে জামায়াতই তার প্রতিবাদ করে।’
অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, বর্তমান সরকারের সমালোচনাও করতে হবে, আবার তাদের সংস্কারের সুযোগও দিতে হবে।
প্রথম আলো:
অবরোধ–ধর্মঘটে জনজীবন প্রায় স্থবির
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি
বান্দরবানে অবরোধের তেমন প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকে সেখানে যান চলাচল করেছে।রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে নতুন করে কোনো সংঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অবরোধ ও পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাবে গতকাল শনিবার এই দুই জেলার জনজীবন ছিল অনেকটাই স্থবির।
এদিকে গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি গেছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাঙামাটিতে বলেছেন, যারা আইনশৃঙ্খলার অবনতি করতে চাইছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত শুক্রবার দুপুরে রাঙামাটিতে জারি করা ১৪৪ ধারা গতকালও বলবৎ ছিল। তবে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে শুক্রবার রাত ৯টার পর ১৪৪ ধারা জারির মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে রাতে জেলা সদরে গোলাগুলিতে ৩ জন নিহত ও ২০ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন শুক্রবার রাঙামাটিতে আয়োজিত প্রতিবাদ মিছিলে ঢিল ছোড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৬০ জন আহত হন।
সহিংসতা–সংঘাতের প্রতিবাদে ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে গতকাল সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড় মোড় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র–জনতার’ ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার এ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন নামের সংগঠন। এ ছাড়া পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টও (ইউপিডিএফ) অবরোধে সমর্থন দেয়।
এদিকে বাস, ট্রাক ও সিএনজি মালিক এবং শ্রমিক সমিতির ডাকে রাঙামাটিতে গতকাল সকাল ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাঙামাটিতে বাস, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন:
বিশ্বমঞ্চে ভিন্ন ভূমিকায় ইউনূস
সরকারপ্রধান হিসেবে যোগ দেবেন জাতিসংঘ অধিবেশনে, কথা বলবেন বাইডেন ব্লিঙ্কেন গুতেরেসসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে
জাতিসংঘে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অপেক্ষায় বিশ্ব নেতারা। সামাজিক ব্যবসা নিয়ে তাঁর বক্তব্য শুনতে এতদিন যারা অধীর আগ্রহে থাকতেন, নিতেন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ, বিভিন্ন দেশের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল যাঁর চিন্তা-দর্শন, এবার নতুন পরিচয়ে সরকারপ্রধান হিসেবে পদার্পণ হচ্ছে ড. ইউনূসের। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে জাতিসংঘে বিশ্ব মোড়লদের তিনি শোনাবেন নতুন বাংলাদেশ, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা। বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন রাষ্ট্র মেরামতের জন্য তাঁর সরকারের গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম। জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে ড. ইউনূস নিউইয়র্কে পা রাখছেন ২৩ সেপ্টেম্বর বিকালে। গত ১৫ বছরে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন বিশ্বনেতারা। দমন-পীড়ন, সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করে সরকারের বৈধতা দিতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে তৎকালীন সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকও ছিল প্রাণহীন, অনেকটা নিয়মরক্ষার। তবে এবার সরকার প্রধান হিসেবে ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত বিশ্বনেতারা। ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ড. ইউনূস। সেখানে সাইড লাইনে এ দুই নেতার কুশলাদি বিনিময় হবে। জাতিসংঘ সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। সদস্য হওয়ার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ বিশেষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। জাতিসংঘে উপস্থিত সব সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানকে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ মিশন আশা করছে, ৫০টি দেশের সরকারপ্রধান বা তাদের প্রতিনিধিরা এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন সেটা নিশ্চিত। অনুষ্ঠানের মধ্যমণি থাকবেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর হতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের জন্য সেখানে অবস্থানকালে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর বক্তৃতা করবেন। প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে আসছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তাঁর সফরসঙ্গীদের দল হবে ছোট আকারের। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত অল্প সংখ্যক প্রতিনিধির দল নিয়ে কোনো সরকারপ্রধান জাতিসংঘে যাননি।
সমকাল:
আন্তঃসীমান্ত ৫৭ নদীতে অধিকারহারা বাংলাদেশ
আন্তঃসীমান্ত নদীর পানির একতরফা নিয়ন্ত্রণের কারণে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আক্ষেপ বহুদিনের। দু’দেশের অনেক সীমান্ত নদীর ভারতীয় অংশের উজানে নির্মাণ করা হয়েছে ড্যাম ও ব্যারাজ। গেল আগস্টে হঠাৎ ভয়াবহ বানে ভাসল বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল। এ জন্য ভারতের বাঁধ খুলে দেওয়াকে দায়ী করছেন অনেকে। কথা নেই, বার্তা নেই হুট করে বাঁধের কপাট খুলে দেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়।
বাংলাদেশে আন্তঃসীমান্ত নদীর সংখ্যা নিয়ে আছে বিভ্রান্তি। স্বীকৃত নদীর সংখ্যা ৫৭ বলা হলেও গবেষকরা দাবি করেছেন, এর বাইরে আরও ৬৯টি আন্তঃসীমান্ত নদী আছে। আন্তঃসীমান্ত নদী হিসেবে কোথাও এর স্বীকৃতি বা নথিভুক্তি নেই। নদীর অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া এবং স্বীকৃতি না মেলায় উজানে বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত। ফলে বাংলাদেশের ভাটি অংশে প্রয়োজনের সময় বিশেষ করে শুকনা মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহিত হয় না। আবার অতিরিক্ত পানি সামলানোর নামে বর্ষা মৌসুমে বাঁধের কপাট খুলে দেওয়ায় ভাটি এলাকা বন্যায় ডোবে।
এ পটভূমিতে নানা আয়োজনে আজ রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব নদী দিবস। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের চতুর্থ রোববার বিশ্ব নদী দিবস পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য ‘আন্তঃসীমান্ত নদীতে বাংলাদেশের অধিকার’।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা নিয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রের নানা বাহানা উজানে থাকা বাংলাদেশকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় শান্তির জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক এবং পারস্পরিক আস্থা থাকা জরুরি।
কালবেলা:
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামের পাঁচ খলিফার তাণ্ডবে আওয়ামী লীগের পুরোটা সময় তটস্থ ছিল লাকসাম ও মনোহরগঞ্জবাসী। আয়নাঘর বানিয়ে নির্যাতন করে টাকা আদায়, টেন্ডারবাজি ও জোর-জুলুম করে জমি দখলসহ নানাভাবে হয়রানি করাই ছিল তাদের কাজ। এসব অনৈতিক কাজে নেতৃত্ব দিতেন মন্ত্রীর ভাতিজা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেন, ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. কামাল হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) জাহিদ হোসেন ও মন্ত্রীর শ্যালক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত আলী। অনৈতিক কাজ করে তারা এখন বিশাল সম্পদের মালিক। তবে গত ৫ আগস্টের পর থেকে এই জুলুমবাজদের আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, তাজুল ইসলাম এমপির পদে বসেই বিস্তার করতে থাকেন নিজের সাম্রাজ্য। গড়ে তোলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। নিজেকে ভাবতে শুরু করেন লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার একক অধিপতি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলগুলোর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের কোণঠাসা করে দাবিয়ে রাখার হোলিখেলায় মেতে ওঠেন তিনি। ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এলজিআরডি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। এরপর অহংকার ও দম্ভের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছান তিনি। স্যার না ডাকলে মাইন্ড করতেন। মন্ত্রিত্ব পেয়েই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। লাকসাম-মনোহরগঞ্জের সম্রাট যেন তিনিই। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর তাজুল লুটপাট আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের খেলায় মেতে ওঠেন। দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন। দুর্নীতি, অনিয়ম ও সীমাহীন ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি।
হলফনামা ঘেঁটে জানা যায়, ১০ বছর আগে তাজুল ইসলামের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। বর্তমানে তা ১২০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এলজিইডি মন্ত্রী থাকাকালীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার বিভাগ, জেলা পরিষদ, উপজেলা ও পৌরসভায় উন্নয়নের নামে দেওয়া বরাদ্দ থেকে কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তাজুল ইসলামের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, মন্ত্রী এখন বছরে আয় করেন ৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও তার আয় ৪ কোটি টাকার কিছু বেশি ছিল। মন্ত্রী হওয়ার আগে ২০১৮ সালে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। চার বছরের ব্যবধানে সেই সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। তবে এলাকাবাসী বলছে তার সম্পদের সিকিভাগও হলফনামায় দেখানো হয়নি। তাজুল ইসলাম হাজার কোটির মালিক। তার সম্পদের পাশাপাশি বেড়েছে তার স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনের সম্পদও। অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তারাও।
দেশ রুপান্তর:
নিউ ইয়র্কে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক ইউনূসের
এবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে যাচ্ছেন। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাইডেনের সঙ্গে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ড. ইউনূসের সঙ্গে নিউ ইয়র্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হচ্ছে না।
ঢাকা ও নিউ ইয়র্কের উচ্চপর্যায়ের সূত্রগুলো গতকাল শনিবার জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইউনূস-বাইডেন বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ড. ইউনূস ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন।এদিকে নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক না হলেও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক কার্টেন রেইজার অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোন কোন দেশের এবং কোন কোন সংস্থার প্রতিনিধির বৈঠক হবে, সে বিষয়টিও গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের অবহিত করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
।