ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo থানায় হামলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মাহমুদুর রহমানের Logo আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক নিপীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য : তারেক রহমান Logo সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক Logo পাটগ্রামে থানা ভাঙচুর ও আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার Logo পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন Logo আগামী সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে: ট্রাম্প Logo ঢাবিতে দেয়াল ধসে শ্রমিকের মৃত্যু, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের শোক Logo দৈনিক জীবনকথা পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন Logo ঢাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo বাঁশখালীতে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ভারতে ৪২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ!

ভারতে ৪২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ!

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের মাছ বিক্রেতারা অবৈধভাবে আমদানি করতে শুরু করেছে ইলিশ। আসন্ন দুর্গাপূজায় ইলিশের চাহিদা মেটাতে সীমিত হিমায়িত স্টকে থাকা ইলিশ আকাশচুম্বী দামে বিক্রি করছে অনেকে।

রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩,০০০ রূপি (৪,২০০ টাকা)। রেস্তোরাঁগুলোও তাদের উত্সবের মেনুতে ইলিশের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে।

এতে রেস্তোরাঁয় ইলিশ খেতে হলে গ্রাহকদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির সিআর পার্ক মার্কেট-১ এর এক মাছের দোকানের মালিক জানান, তিনি এবং আরো অনেকে অবৈধভাবে পাচ্ছেন ইলিশ মাছ। তারা প্রতি কেজি ইলিশ ৩ হাজার রুপিতে বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, ‘দুর্গা পূজা আসছে। বাঙালি ক্রেতারা ইলিশ চায়। আমাদেরকে তাদের চাহিদা মেটাতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার বিখ্যাত গড়িয়াহাট বাজারের একজন মাছের পাইকারি বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতি কেজি ইলিশ ২০০০ রুপিতে বিক্রি করছেন। একটি মাছের আকার কমপক্ষে ১.৫ কেজি।

তিনি বলেন, ‘গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাছ ভারতে আসছে। ভারত তাদের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। নিষেধাজ্ঞার আগে, কলকাতা ও দিল্লিতে তাজা ইলিশ বিক্রি হত ১২০০-১৫০০ রুপি প্রতি কিলো।’

চেন্নাইয়ের আদিয়ার জেকে ফিশ স্টলের করিম ভাই একমাত্র বিক্রেতা যিনি চেন্নাইয়ে বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি করেন। তিনি তার সমস্ত হিমায়িত স্টক বের করে নিয়েছেন যা হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০ কেজির মতো। তিনি প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১৬০০ রুপি থেকে ২০০০ রুপি পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, উৎসব শেষ হলে এক মাস পরে দাম কমবে। চেন্নাই-ভিত্তিক ক্লাউড কিচেন আহারের মালিক অত্রি কুমার সিনহা বলেন, ‘কাঁচা ইলিশের দাম এত বেশি যে এক টুকরো ভাপা ইলিশ ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

থানায় হামলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মাহমুদুর রহমানের

ভারতে ৪২০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ!

আপডেট সময় ১২:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের মাছ বিক্রেতারা অবৈধভাবে আমদানি করতে শুরু করেছে ইলিশ। আসন্ন দুর্গাপূজায় ইলিশের চাহিদা মেটাতে সীমিত হিমায়িত স্টকে থাকা ইলিশ আকাশচুম্বী দামে বিক্রি করছে অনেকে।

রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩,০০০ রূপি (৪,২০০ টাকা)। রেস্তোরাঁগুলোও তাদের উত্সবের মেনুতে ইলিশের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে।

এতে রেস্তোরাঁয় ইলিশ খেতে হলে গ্রাহকদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির সিআর পার্ক মার্কেট-১ এর এক মাছের দোকানের মালিক জানান, তিনি এবং আরো অনেকে অবৈধভাবে পাচ্ছেন ইলিশ মাছ। তারা প্রতি কেজি ইলিশ ৩ হাজার রুপিতে বিক্রি করছেন।

তিনি বলেন, ‘দুর্গা পূজা আসছে। বাঙালি ক্রেতারা ইলিশ চায়। আমাদেরকে তাদের চাহিদা মেটাতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতার বিখ্যাত গড়িয়াহাট বাজারের একজন মাছের পাইকারি বিক্রেতা জানান, তিনি প্রতি কেজি ইলিশ ২০০০ রুপিতে বিক্রি করছেন। একটি মাছের আকার কমপক্ষে ১.৫ কেজি।

তিনি বলেন, ‘গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে অবৈধভাবে মাছ ভারতে আসছে। ভারত তাদের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক। নিষেধাজ্ঞার আগে, কলকাতা ও দিল্লিতে তাজা ইলিশ বিক্রি হত ১২০০-১৫০০ রুপি প্রতি কিলো।’

চেন্নাইয়ের আদিয়ার জেকে ফিশ স্টলের করিম ভাই একমাত্র বিক্রেতা যিনি চেন্নাইয়ে বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রি করেন। তিনি তার সমস্ত হিমায়িত স্টক বের করে নিয়েছেন যা হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০০ কেজির মতো। তিনি প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১৬০০ রুপি থেকে ২০০০ রুপি পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, উৎসব শেষ হলে এক মাস পরে দাম কমবে। চেন্নাই-ভিত্তিক ক্লাউড কিচেন আহারের মালিক অত্রি কুমার সিনহা বলেন, ‘কাঁচা ইলিশের দাম এত বেশি যে এক টুকরো ভাপা ইলিশ ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।