ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

মোহাম্মদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২ যুবক

মোহাম্মদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ নিহত ২ যুবক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নাসির (৩০) ও মুন্না (২২) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নাসির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরে মুন্নাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং নাসিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

নাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শাওন আহমেদ বলেন, আমি আর নাসির দু’জনে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলাম। আমার গন্তব্য সাদেক খান আড়ৎ এবং নাসিরে গন্তব্য ছিল তিন রাস্তার মোড। সে আমাকে বলল তিন রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দিতে। সাদেক খান আড়তের সামনে থেকে তিন রাস্তার মোড়ে যাওয়ার সময় দেখি ধারালো অস্ত্র নিয়ে একটি গ্রুপ দৌড়াদৌড়ি করছে। তখন তারা পেছন থেকে নাসিরকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে।

তিনি বলেন, নাসির মোটরসাইকেল থেকে নেমে দৌড় দিলে আবার তাকে ধরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আক্রমণকারীরা বলে যে, ওকে জবাই করে দে। পরে নাসিরকে জবাই করতে গেলে আমি একজনকে ধরে ফেলি। তখন দু’জনেই পড়ে যাই। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়। আমরা নাসিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায় নাসির।

তিনি আরো বলেন, আমরা যাওয়ার সময় ওইখানে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। কী কারণে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল তা বলতে পারছি না। নাসির হাজারীবাগ থানার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ছিল। সে রাজমিস্ত্রির কাজ করত।

ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাসুদ আলম বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) মারা যায় সে। আমরা বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

মোহাম্মদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২ যুবক

আপডেট সময় ১২:২৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নাসির (৩০) ও মুন্না (২২) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নাসির ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরে মুন্নাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং নাসিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

নাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা শাওন আহমেদ বলেন, আমি আর নাসির দু’জনে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলাম। আমার গন্তব্য সাদেক খান আড়ৎ এবং নাসিরে গন্তব্য ছিল তিন রাস্তার মোড। সে আমাকে বলল তিন রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দিতে। সাদেক খান আড়তের সামনে থেকে তিন রাস্তার মোড়ে যাওয়ার সময় দেখি ধারালো অস্ত্র নিয়ে একটি গ্রুপ দৌড়াদৌড়ি করছে। তখন তারা পেছন থেকে নাসিরকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে।

তিনি বলেন, নাসির মোটরসাইকেল থেকে নেমে দৌড় দিলে আবার তাকে ধরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। আক্রমণকারীরা বলে যে, ওকে জবাই করে দে। পরে নাসিরকে জবাই করতে গেলে আমি একজনকে ধরে ফেলি। তখন দু’জনেই পড়ে যাই। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়। আমরা নাসিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায় নাসির।

তিনি আরো বলেন, আমরা যাওয়ার সময় ওইখানে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। কী কারণে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল তা বলতে পারছি না। নাসির হাজারীবাগ থানার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ছিল। সে রাজমিস্ত্রির কাজ করত।

ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাসুদ আলম বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) মারা যায় সে। আমরা বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে জানিয়েছি। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।