ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মব কিলিং আমাদের জন্য ভালো বিষয় নয়: তথ্য উপদেষ্টা

মব কিলিং আমাদের জন্য ভালো বিষয় নয়: তথ্য উপদেষ্টা

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‌‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশে বিভিন্ন জায়গায় মব জাস্টিস হচ্ছে ও মব কিলিং হচ্ছে। গণপিটুনির মতো ঘটনায় মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য কোনো ভালো বিষয় নয়। এসব বিষয় যাতে না ঘটে আপনারা সবাই সতর্ক থাকবেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ঐক্য ও আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে দেশ ছাড়া করেছি। আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্যের ভেতর দিয়েই আমাদের নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ এখনো সংকটকাল পার করছে। বাংলাদেশকে নানাভাবে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, ষড়যন্ত্র চলছে। এজন্য আমাদের সবাইকে দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘নিজেদের ভেতর যেন কোনো রকমের বিভক্তি বা অশান্তি না আসে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব নিয়েছি প্রশাসনকে সহযোগিতা করবো। কিন্তু, কোনো ভাবেই যেন আমরা আইন হাতে তুলে না নেই। যার যেটা কাজ সেটা তাকে করতে হবেই। প্রশাসনের কাজ প্রশাসন করবে, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। আমরা যেন কোনভাবেই আইন তুলে না নেই, কোনো বিচার কাজ যেন সম্পাদন না করি।’

নাহিদ ইসলাম পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাধীন গণমাধ্যম কাজ করতে পারে, সেটার জন্য আইন ও নীতিমালা প্রয়োজন। গণমাধ্যম সংস্কার মূলত সেবা কাজটি করবে। একটি রূপরেখা দেবে, কিভাবে স্বাধীন গণমাধ্যম কাজ করতে পারে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মব জাস্টিং বা মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। যারা জড়িত তাদেরকে যেন আইনের আওতায় আনা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আট জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কে কোন দল বা কে কোন মত সেটা বিবেচনায় আনবো না।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, মেজর নাফিজসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার মন্তব্য করে হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্ভয়ে দুর্গাপূজার উৎসব পালনের আহ্ববান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানে এক শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করে সবাইকে দুর্গাপূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। এতে সারা দেশ থেকে কয়েকশ হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য অংশ নেন।

তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি। আমাদের দল বিএনপি বিশ্বাস করে, দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আগামী মাসেই আপনাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে আমি আপনাদের আগাম শুভেচ্ছা জানাই। ইনশাল্লাহ আপনারা প্রত্যেকে উৎসব উদযাপন করুন নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে, নিরাপদে।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী বলুন আর অবিশ্বাসী বলুন কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেকটি নাগরিক রাষ্ট্র বা সমাজে যার যার ধর্মীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অধিকারগুলো স্বচ্ছন্দে বিনাবাধায় উপভোগ করবে।

এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মব কিলিং আমাদের জন্য ভালো বিষয় নয়: তথ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১০:০৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‌‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশে বিভিন্ন জায়গায় মব জাস্টিস হচ্ছে ও মব কিলিং হচ্ছে। গণপিটুনির মতো ঘটনায় মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য কোনো ভালো বিষয় নয়। এসব বিষয় যাতে না ঘটে আপনারা সবাই সতর্ক থাকবেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ঐক্য ও আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে দেশ ছাড়া করেছি। আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ঐক্যের ভেতর দিয়েই আমাদের নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ এখনো সংকটকাল পার করছে। বাংলাদেশকে নানাভাবে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, ষড়যন্ত্র চলছে। এজন্য আমাদের সবাইকে দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘নিজেদের ভেতর যেন কোনো রকমের বিভক্তি বা অশান্তি না আসে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব নিয়েছি প্রশাসনকে সহযোগিতা করবো। কিন্তু, কোনো ভাবেই যেন আমরা আইন হাতে তুলে না নেই। যার যেটা কাজ সেটা তাকে করতে হবেই। প্রশাসনের কাজ প্রশাসন করবে, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে। আমরা যেন কোনভাবেই আইন তুলে না নেই, কোনো বিচার কাজ যেন সম্পাদন না করি।’

নাহিদ ইসলাম পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাধীন গণমাধ্যম কাজ করতে পারে, সেটার জন্য আইন ও নীতিমালা প্রয়োজন। গণমাধ্যম সংস্কার মূলত সেবা কাজটি করবে। একটি রূপরেখা দেবে, কিভাবে স্বাধীন গণমাধ্যম কাজ করতে পারে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মব জাস্টিং বা মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। যারা জড়িত তাদেরকে যেন আইনের আওতায় আনা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আট জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কে কোন দল বা কে কোন মত সেটা বিবেচনায় আনবো না।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, মেজর নাফিজসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার মন্তব্য করে হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্ভয়ে দুর্গাপূজার উৎসব পালনের আহ্ববান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্মানে এক শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করে সবাইকে দুর্গাপূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান। এতে সারা দেশ থেকে কয়েকশ হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য অংশ নেন।

তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি। আমাদের দল বিএনপি বিশ্বাস করে, দল-মত-ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাবার অধিকার সবার।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আগামী মাসেই আপনাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উপলক্ষে আমি আপনাদের আগাম শুভেচ্ছা জানাই। ইনশাল্লাহ আপনারা প্রত্যেকে উৎসব উদযাপন করুন নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে, নিরাপদে।

তারেক রহমান আরও বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী বলুন আর অবিশ্বাসী বলুন কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেকটি নাগরিক রাষ্ট্র বা সমাজে যার যার ধর্মীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক অধিকারগুলো স্বচ্ছন্দে বিনাবাধায় উপভোগ করবে।

এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।