ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভারতে আজ থেকে উদ্বাস্তু শেখ হাসিনা 

হাসিনা কোথায় তা নিয়ে রহস্য ভারতেও!

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:১৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 23

আজকের পত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

নয়াদিগন্ত:

নয়াদিগন্তেরে প্রধান শিরোনাম :হাসিনা কোথায় তা নিয়ে রহস্য ভারতেও!
প্রভাবশালী দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির নৈশভোজগুলোর একটি আলোচ্য বিষয়: শেখ হাসিনা কোথায়? ভারতে হাসিনা রয়েছেন এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, তারপরও বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে হেরফের আছে। তবে ভারতের একটি শিক্ষিত শ্রেণীর সদস্যরা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলছেন, ক্ষমতাচ্যুত শক্তিশালী এই নারীনেত্রী ভারত সরকারের একটি নিরাপদ আবাসে (সেফ হাউজ) আছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লিভিত্তিক আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব নেয়া মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সাথে থাকছেন, অথবা তাকে তার সঙ্গীদের সাথে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির অন্যতম সেরা পার্ক লোধি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।

নরেন্দ্র মোদির সরকার নিশ্চিত করে আসছে যে, হাসিনা ভারতেই আছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। তবে বিষয়টি নিয়ে খোদ ভারতেই মানুষের আলোচনা থেমে নেই। হাসিনার দল আওয়ামী লীগ যখন বাংলাদেশের ক্ষমতায়, তখন তার প্রধান বিদেশী সমর্থক ছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু তার অবস্থানের বিষয়ে মোদি সরকার নীরবতা বজায় রেখে চলছে।
দিল্লির দেশী-বিদেশী সংবাদমাধ্যমগুলোর বেশির ভাগই এমন ভাবনা বন্ধ করে দিয়েছে যে, তারা হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার প্রথম সাক্ষাৎকারটি পাবে। এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। হাসিনার পতনের পর ক্ষমতা গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আন্দোলনকালে শত শত হত্যার জন্য হাসিনাকে দায়ী করে আসছে ।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ২০১৩ সালে হাসিনার সরকারই চুক্তিটি করেছিল। তত্ত্বগতভাবে এই চুক্তিকে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে, যদি বাংলাদেশের নতুন সরকার তাকে গ্রেফতার করতে চায়। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, ভারতের সাথে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, আমরা তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের দাবি জানাতে পারি।

আসিফ নজরুল আরো বলেছেন, আপাতত আমরা আশা করি, ভারত তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা উসকে দিতে দেবে না। তিনি মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়িয়ে এমনটা করার চেষ্টা করছেন।
হাসিনার উদ্ধৃতি হিসেবে উল্লেখ করা বিতর্কিত মন্তব্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের পর ইউনূস নিজেই বলেছেন, ‘বাংলাদেশ তাকে ফেরত না চাওয়া পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে শর্ত হবে, তাকে চুপ থাকতে হবে।’ নিজ দেশ থেকে পালানো আঞ্চলিক নেতাদের আশ্রয় দেয়ার ইতিহাস রয়েছে ভারতের। চীনা অভিযানের মুখে ১৯৫৯ সালে পালিয়ে ভারতে এসে থাকতে শুরু করেন তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা।

দালাই লামা ভারতভিত্তিক তিব্বতের নির্বাসিত বেসামরিক প্রশাসনের কাছে রাজনৈতিক দায়িত্বগুলো হস্তান্তর করেছেন। তবে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান। এই পদক্ষেপ বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মোদি সরকারের সম্মতি ছাড়া এমনটা হয়নি।

কালের কন্ঠ:

 

কালের কন্ঠর প্রধান শিরোনাম  :   সব উপদেষ্টার সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হবে
স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরিতে উপদেষ্টা পরিষদের সব সদস্য ও সমপদমর্যাদাসম্পন্ন সব ব্যক্তির সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ করবে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপদেষ্টা ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।

সব উপদেষ্টার সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হবেনির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও সংবিধান সংস্কারে গঠিত ছয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ছয় সংস্কার কমিশন আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দেবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

দৈনিক সংগ্রামের প্রধান খবর :ভারতে আজ থেকে উদ্বাস্তু শেখ হাসিনা 

সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেন তিনি। হাসিনা যখন ভারতে প্রবেশ করেন তখন তার কাছে ছিল কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারতে ৪৫ দিন থাকার অনুমতি পান তিনি। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ৪৫ দিনের এই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। হাসিনার কাছে থাকা কূটনীতিক পাসপোর্ট ইতিমধ্যে বাতিল করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে আজ শুক্রবার থেকে দেশটিতে থাকার আর কোনো বৈধ অনুমোদন তার কাছে থাকছে না।

তবে ভারত কী হাসিনাকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে? উত্তর হলো ‘না’। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জি নিউজকে জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর বদলে হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামার মতো হয়ত বিশেষ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। যিনি ভারতে উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করছেন। ভারত যেহেতু হাসিনাকে ফেরত দেবে না এবং সেখানে থাকার জন্য তার কোনো বৈধ অনুমোদনও থাকবে না তাই আজ থেকেই তিনি দেশটিতে ‘উদ্বাস্তু’ হয়ে পড়বেন। হাসিনাকে ভারতের কাছে ফেরত চাওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্র্বতী সরকার। যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো দাবি ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে যদি বাংলাদেশ হাসিনাকে চায় তাহলে ভারত তাকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। কারণ দুই দেশের মধ্যে অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফেরত দেওয়ার একটি চুক্তি রয়েছে। যেটি ২০১৩ সালে শেখ হাসিনা নিজেই করেছিলেন। ২০১৬ সালে চুক্তিটিতে সংশোধনী আনা হয়েছিল।

ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে দীর্ঘ এক নিবন্ধ লিখেছেন ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুলের অধ্যাপক প্রভাষ রঞ্জন। নিবন্ধে তিনি বলেছেন, ভারতের প্রত্যর্পণ আইন-১৯৬২ ছাড়াও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিও বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ১২(২) ধারা ও ভারত-বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তগুলোও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশ ২০১৩ সালের চুক্তির ওপর নির্ভর করতে পারে। চুক্তির ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের ভূখ-ে কেবল সেই ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য; যারা প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ (ভারত ও বাংলাদেশি আইনের আওতায় কমপক্ষে এক বছরের কারাদ-ের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ) করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এই অনুচ্ছেদ সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

সমকাল:

সমকালের প্রধান খবর:  ভারত কখনই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমর্থন করেনি

ভারত কখনই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমর্থন করেনি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিরাজমান আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী বিপ্লব পরবর্তীতে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশীদের সম্পর্কের গতিবিধি নিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এ পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা। প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বে কার কি আসে যায়। বাংলাদেশ কীভাবে আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কেউ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দেয় না। না ভারত, না চীন, না যুক্তরাষ্ট্র, কেউই বাংলাদেশের বন্ধুত্বের গুরুত্ব দেয় না। আর সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বৈরিতায় উদ্বিগ্ন কে? বাংলাদেশের বন্ধুত্ব বা বৈরিতা কোনোটাই গুরুত্ব বহন করে না। ফলে আমাদের নতুন একটি পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করতে হবে। আর এটি হতে হবে আমাদের জাতীয় স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে।বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক ব্যাখ্যায় শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ভারত বাংলাদেশে একজন ব্যক্তিকে এবং তার রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। ভারত বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করেনি। এ নিয়ে বহু উদাহরণ রয়েছে। ভারত কখনই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমর্থন করেনি। বাংলাদেশে যখনই মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, ভারত কখনই তার প্রতিবাদ জানায়নি। যখন বাংলাদেশে বিরোধী রাজনীতিকদের জেলে ভরা হয়েছে, তখন কখনই ভারত এর প্রতিবাদ করেনি। তবে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে জনগণ শুধুই গণতন্ত্র এবং সামাজিক সুবিচার চেয়েছে। বাংলাদেশ কখনই ভারতকে এদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে পাশে পায়নি। তবে আমি বিশ্বাস করি ভারত বাংলাদেশ নিয়ে তার অবস্থান এখন নতুন করে ঢেলে সাঁজাবে।

যুগান্তর:

যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর:  ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে সংস্কার কমিটি

ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ছয় সংস্কার কমিশন। ওই প্রতিবেদন নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের রূপরেখা দাঁড় করানো হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও বিচারবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফেরার পর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান আসিফ নজরুল। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন সংস্কার কমিশনের প্রধানরা।

রাষ্ট্র সংস্কারে সুনির্দিষ্ট ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কমিশনগুলোর প্রধান চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন-নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ কমিশনে সরফ রাজ হোসেন, বিচার বিভাগে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসনে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ।

মানবজমিন:

মানবজমিনের  প্রথম পাতার খবর: ৩১ দফা নিয়ে মতামত নিচ্ছে বিএনপি
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর নতুন পরিস্থিতিতে ৩১ দফায় কিছু সংযোজন ও বিয়োজন করতে চায় বিএনপি। নতুন এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নটি সামনে আসার পর নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে ৩১ দফা নিয়ে তৃণমূলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ইতিমধ্যে সংস্কারের কাজও শুরু করেছে। সুশীল সমাজ এবং যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল এবং জোটগুলোরও মতামত নেয়া হচ্ছে। এসব কিছু রেকর্ড করে রাখছে দলটি। সংস্কারের কাজ শেষে চূড়ান্ত রূপরেখা সেমিনার কিংবা ইভেন্ট করে জাতির সামনে আবারো তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সংস্কারের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। বিএনপি বলছে, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। এটা বিএনপি’র কাছে নতুন কিছু নয়। যারা বলছেন, তাদের কাছে নতুন হতে পারে। আর বিএনপি ঘোষিত রূপরেখায় তেমন কিছু সংযোজন করার প্রয়োজন নেই। দীর্ঘ ৬ মাস কাজ করে এই রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। আর বিএনপি রূপরেখা তো ঘোষণা করেছে। সুতরা নতুন করে ঘোষণা করার কিছু নেই।

৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের প্রত্যয় ব্যক্ত নিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়। এই সংস্কারের অংশ হিসেবে পৃথক ৬টি কমিশনও গঠন করেছে সরকার। এ ছাড়া রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিশিষ্টজনরাও রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে বিএনপি বলছে, রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়গুলো নতুন কিছু নয়। গত বছরের জুলাইয়ে বিএনপিসহ সব বিরোধী দল মিলে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। রাষ্ট্রের যত ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে ওই দফাগুলো প্রণয়ন করা হয়। রূপরেখা ঘোষণার পর এর ওপর এক বছর বিভিন্ন সেমিনার এবং ওয়ার্কশপও করেছে দলটি।

বিএনপি’র নেতারা বলছেন, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার মধ্যে রাষ্ট্রের প্রায় সব সংস্কারের কথা বলা আছে। এরপরও যদি এখানে দুই-একটা সংযোজন করতে হয়, সেগুলো বিএনপি আলোচনার মাধ্যমে সংযোজন ও বিয়োজন করবে। এজন্য দল থেকে এই ৩১ দফা নিয়ে তৃণমূলের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলা হবে।

বনিক বার্তা:

বনিক বার্তার প্রথম পাতার কবর: গ্রগতির চেয়ে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীনদের ব্যবসা বাণিজ্যই বেশি হয়েছে
বিপুল অংকের অর্থ ব্যয়ে গত দেড় দশকে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। শুরুতে ডিজিটাল ও পরে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প সামনে রেখে এসব প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আইসিটি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এসব প্রকল্পের কাজে মূলত ক্ষমতাঘনিষ্ঠদেরই আধিপত্য ছিল সবচেয়ে বেশি।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে; এ সময় আইসিটি খাতে যারা সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছেন, তাদের মধ্যে বড় একটি অংশে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠজন। এমনকি জুনাইদ আহমেদ পলক নিজেও সব সময় সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্যে দেশের আইসিটি খাতের ‘অগ্রগতির’ কৃতিত্ব দিয়েছেন ‘জয় ভাইকেই’। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বণ্টনের বিষয়টিতে এ দুজনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতরা অগ্রাধিকার পেয়েছেন সব সময়। এর আগে মোস্তাফা জব্বার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার সময়ও তার ঘনিষ্ঠরা মন্ত্রণালয়ের কাজ পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এ তালিকায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য, যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের নামও রয়েছে।

কালবেলা:

কালবেলার প্রধান খবর: সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৭শ মামলা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন পদচ্যুত মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সুনির্দিষ্ট নানা অভিযোগে এরই মধ্যে সারা দেশে ৭৪১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির তালিকায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদের প্রায় সব সদস্যই রয়েছেন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন সংসদে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের সাবেক সংসদ সদস্যরা (এমপি)। তবে চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী ছাড়া এখনো আসামি তালিকার বাইরে আছেন জাতীয় পার্টির অন্য এমপিরা। বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবীদের নাম উল্লেখ ছাড়াও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে ‘অজ্ঞাত’ আসামি করা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যা কিংবা গণহত্যার অভিযোগ ছাড়াও অনেকের নামে হত্যাচেষ্টা, অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত তিনটি সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৭৪১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্য রাজধানীতেই মামলা হয়েছে ২২৭টির অধিক। বাকি ৫১৪টি মামলা হয়েছে অন্য জেলাগুলোয়। এসব মামলার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রায় দুইশটিতে আসামি করা হয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সারা দেশে মামলা জোয়ারের মধ্যেও কয়েকটি জেলা এখনো এর বাইরে রয়েছে। গাইবান্ধা, বাগেরহাট, রাঙামাটি, বান্দরবান, চুয়াডাঙ্গা ও কুড়িগ্রামে কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। আবার কোনো কোনো প্রবীণ মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে নিজ এলাকায় মামলা না হলেও রাজধানীতে তাদের আসামি করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শতাধিক মামলা হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে তাদের নিজ এলাকায় কোনো মামলা হয়নি।মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিটি মামলায় আসামির তালিকা প্রায় একই ধরনের। শুরুতে কিছু নাম উল্লেখ করে পরে কয়েক হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। এলাকাভেদে কিছুটা পরিবর্তন করে এসব মামলা করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আসামি করার পেছনে মামলার বাদী কিংবা পরামর্শদাতাদের ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাদী নিজেই জানেন না অথচ থানায় মামলা হয়ে গেছে। আবার বাদীর পরিচিত নন কিংবা তিনি চেনেন না, এমন ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে। এমনকি হয়রানি করার জন্য বাদীকে হুমকি দিয়ে কিংবা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মামলায় নাম ঢোকানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে।

প্রথম আলো:

প্রথম আলোর প্রধান খবর:  দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, তীব্র ক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার।
জাহাঙ্গীরনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ বহিষ্কার ৮।
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম (এফ এইচ) হলে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেন একদল শিক্ষার্থী। আর জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে কয়েক দফা মারধর করে হত্যা করা হয়। এ দুটি ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের একজন ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগী নেতা, অন্যদের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক ও ছাত্রদলের চার নেতা-কর্মীসহ কিছু শিক্ষার্থী জড়িত বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে এবং ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মোহাম্মদ মামুন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোরের এ ঘটনার জের ধরে গতকাল দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় ‘মব জাস্টিস’ (উচ্ছৃঙ্খল জনগোষ্ঠীর বিচার) চলতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে।
দেশ রুপান্তর :

দেশরুপান্তরের প্রথম পাতার খবর: হেলিকপ্টারে মাদক পৌঁছাতেন শাওন!
অভিযোগ রয়েছে, শাওন ভোলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজের বিপরীতে ১০ শতাংশ কমিশন নিতেন। শুধু ঠিকাদারির কমিশন নিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন না তিনি।এমপি শাওনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ঘুষ-দুর্নীতি, সরকারি জায়গা প্লট আকারে বিক্রি ও নদী থেকে বালু উত্তোলনসহ ১৮ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। লালমোহনের এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দুদকে এ অভিযোগ জমা দেন।বলা হয়, ২০১০ সালে উপনির্বাচনে এমপি হওয়ার আগে বছরে তার আয় ছিল ১০ লাখ টাকা। এমপি হওয়ার পর ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার আয় হয়েছে ১৫ কোটির টাকার বেশি।দুদকের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে শাওনের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগটির অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি একটি টিম করা হয়। টিমের সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, নেয়ামুল আহসান গাজী, আতাউর রহমান সরকার ও মনিরুল ইসলাম। কিন্তু দুদকের ডিজিকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়ায় ইকবাল হোসেন অনুসন্ধানে আগ্রহী হননি। ফলে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ বছর ৩০ এপ্রিল অবসরে যান সৈয়দ ইকবাল। ফলে অনুসন্ধান বন্ধ থাকে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ২২ আগস্ট শাওনের বিরুদ্ধে নতুন করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসমুদ্রে পরিনত হয় দ্রোহের গান ও আজাদী সন্ধ্যায়

ভারতে আজ থেকে উদ্বাস্তু শেখ হাসিনা 

হাসিনা কোথায় তা নিয়ে রহস্য ভারতেও!

আপডেট সময় ০৭:১৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের পত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

নয়াদিগন্ত:

নয়াদিগন্তেরে প্রধান শিরোনাম :হাসিনা কোথায় তা নিয়ে রহস্য ভারতেও!
প্রভাবশালী দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লির নৈশভোজগুলোর একটি আলোচ্য বিষয়: শেখ হাসিনা কোথায়? ভারতে হাসিনা রয়েছেন এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, তারপরও বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে হেরফের আছে। তবে ভারতের একটি শিক্ষিত শ্রেণীর সদস্যরা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলছেন, ক্ষমতাচ্যুত শক্তিশালী এই নারীনেত্রী ভারত সরকারের একটি নিরাপদ আবাসে (সেফ হাউজ) আছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লিভিত্তিক আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব নেয়া মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের সাথে থাকছেন, অথবা তাকে তার সঙ্গীদের সাথে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির অন্যতম সেরা পার্ক লোধি গার্ডেনে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।

নরেন্দ্র মোদির সরকার নিশ্চিত করে আসছে যে, হাসিনা ভারতেই আছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। তবে বিষয়টি নিয়ে খোদ ভারতেই মানুষের আলোচনা থেমে নেই। হাসিনার দল আওয়ামী লীগ যখন বাংলাদেশের ক্ষমতায়, তখন তার প্রধান বিদেশী সমর্থক ছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু তার অবস্থানের বিষয়ে মোদি সরকার নীরবতা বজায় রেখে চলছে।
দিল্লির দেশী-বিদেশী সংবাদমাধ্যমগুলোর বেশির ভাগই এমন ভাবনা বন্ধ করে দিয়েছে যে, তারা হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার প্রথম সাক্ষাৎকারটি পাবে। এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। হাসিনার পতনের পর ক্ষমতা গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আন্দোলনকালে শত শত হত্যার জন্য হাসিনাকে দায়ী করে আসছে ।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ২০১৩ সালে হাসিনার সরকারই চুক্তিটি করেছিল। তত্ত্বগতভাবে এই চুক্তিকে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে, যদি বাংলাদেশের নতুন সরকার তাকে গ্রেফতার করতে চায়। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, ভারতের সাথে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, আমরা তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের দাবি জানাতে পারি।

আসিফ নজরুল আরো বলেছেন, আপাতত আমরা আশা করি, ভারত তাকে (হাসিনা) বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা উসকে দিতে দেবে না। তিনি মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়িয়ে এমনটা করার চেষ্টা করছেন।
হাসিনার উদ্ধৃতি হিসেবে উল্লেখ করা বিতর্কিত মন্তব্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের পর ইউনূস নিজেই বলেছেন, ‘বাংলাদেশ তাকে ফেরত না চাওয়া পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তাহলে শর্ত হবে, তাকে চুপ থাকতে হবে।’ নিজ দেশ থেকে পালানো আঞ্চলিক নেতাদের আশ্রয় দেয়ার ইতিহাস রয়েছে ভারতের। চীনা অভিযানের মুখে ১৯৫৯ সালে পালিয়ে ভারতে এসে থাকতে শুরু করেন তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা।

দালাই লামা ভারতভিত্তিক তিব্বতের নির্বাসিত বেসামরিক প্রশাসনের কাছে রাজনৈতিক দায়িত্বগুলো হস্তান্তর করেছেন। তবে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান। এই পদক্ষেপ বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মোদি সরকারের সম্মতি ছাড়া এমনটা হয়নি।

কালের কন্ঠ:

 

কালের কন্ঠর প্রধান শিরোনাম  :   সব উপদেষ্টার সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হবে
স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরিতে উপদেষ্টা পরিষদের সব সদস্য ও সমপদমর্যাদাসম্পন্ন সব ব্যক্তির সম্পদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ করবে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপদেষ্টা ও সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদন হয়েছে।

সব উপদেষ্টার সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হবেনির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন ও সংবিধান সংস্কারে গঠিত ছয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ছয় সংস্কার কমিশন আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দেবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক সংগ্রাম:

দৈনিক সংগ্রামের প্রধান খবর :ভারতে আজ থেকে উদ্বাস্তু শেখ হাসিনা 

সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নেন তিনি। হাসিনা যখন ভারতে প্রবেশ করেন তখন তার কাছে ছিল কূটনীতিক লাল পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারতে ৪৫ দিন থাকার অনুমতি পান তিনি। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ৪৫ দিনের এই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। হাসিনার কাছে থাকা কূটনীতিক পাসপোর্ট ইতিমধ্যে বাতিল করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে আজ শুক্রবার থেকে দেশটিতে থাকার আর কোনো বৈধ অনুমোদন তার কাছে থাকছে না।

তবে ভারত কী হাসিনাকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেবে? উত্তর হলো ‘না’। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জি নিউজকে জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এর বদলে হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দালাই লামার মতো হয়ত বিশেষ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। যিনি ভারতে উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করছেন। ভারত যেহেতু হাসিনাকে ফেরত দেবে না এবং সেখানে থাকার জন্য তার কোনো বৈধ অনুমোদনও থাকবে না তাই আজ থেকেই তিনি দেশটিতে ‘উদ্বাস্তু’ হয়ে পড়বেন। হাসিনাকে ভারতের কাছে ফেরত চাওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্র্বতী সরকার। যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এমন কোনো দাবি ঢাকার পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তবে যদি বাংলাদেশ হাসিনাকে চায় তাহলে ভারত তাকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। কারণ দুই দেশের মধ্যে অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ফেরত দেওয়ার একটি চুক্তি রয়েছে। যেটি ২০১৩ সালে শেখ হাসিনা নিজেই করেছিলেন। ২০১৬ সালে চুক্তিটিতে সংশোধনী আনা হয়েছিল।

ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে দীর্ঘ এক নিবন্ধ লিখেছেন ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুলের অধ্যাপক প্রভাষ রঞ্জন। নিবন্ধে তিনি বলেছেন, ভারতের প্রত্যর্পণ আইন-১৯৬২ ছাড়াও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিও বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ১২(২) ধারা ও ভারত-বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তগুলোও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশ ২০১৩ সালের চুক্তির ওপর নির্ভর করতে পারে। চুক্তির ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের ভূখ-ে কেবল সেই ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য; যারা প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ (ভারত ও বাংলাদেশি আইনের আওতায় কমপক্ষে এক বছরের কারাদ-ের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ) করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এই অনুচ্ছেদ সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

সমকাল:

সমকালের প্রধান খবর:  ভারত কখনই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমর্থন করেনি

ভারত কখনই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমর্থন করেনি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিরাজমান আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী বিপ্লব পরবর্তীতে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশীদের সম্পর্কের গতিবিধি নিয়ে গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এ পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা। প্রশ্ন রেখে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বে কার কি আসে যায়। বাংলাদেশ কীভাবে আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কেউ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দেয় না। না ভারত, না চীন, না যুক্তরাষ্ট্র, কেউই বাংলাদেশের বন্ধুত্বের গুরুত্ব দেয় না। আর সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বৈরিতায় উদ্বিগ্ন কে? বাংলাদেশের বন্ধুত্ব বা বৈরিতা কোনোটাই গুরুত্ব বহন করে না। ফলে আমাদের নতুন একটি পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করতে হবে। আর এটি হতে হবে আমাদের জাতীয় স্বার্থকে বিবেচনায় রেখে।বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক ব্যাখ্যায় শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ভারত বাংলাদেশে একজন ব্যক্তিকে এবং তার রাজনৈতিক দলকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। ভারত বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করেনি। এ নিয়ে বহু উদাহরণ রয়েছে। ভারত কখনই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সমর্থন করেনি। বাংলাদেশে যখনই মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, ভারত কখনই তার প্রতিবাদ জানায়নি। যখন বাংলাদেশে বিরোধী রাজনীতিকদের জেলে ভরা হয়েছে, তখন কখনই ভারত এর প্রতিবাদ করেনি। তবে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে জনগণ শুধুই গণতন্ত্র এবং সামাজিক সুবিচার চেয়েছে। বাংলাদেশ কখনই ভারতকে এদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে পাশে পায়নি। তবে আমি বিশ্বাস করি ভারত বাংলাদেশ নিয়ে তার অবস্থান এখন নতুন করে ঢেলে সাঁজাবে।

যুগান্তর:

যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর:  ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে সংস্কার কমিটি

ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে ছয় সংস্কার কমিশন। ওই প্রতিবেদন নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের রূপরেখা দাঁড় করানো হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও বিচারবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফেরার পর নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান আসিফ নজরুল। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন সংস্কার কমিশনের প্রধানরা।

রাষ্ট্র সংস্কারে সুনির্দিষ্ট ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কমিশনগুলোর প্রধান চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন-নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ কমিশনে সরফ রাজ হোসেন, বিচার বিভাগে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসনে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ।

মানবজমিন:

মানবজমিনের  প্রথম পাতার খবর: ৩১ দফা নিয়ে মতামত নিচ্ছে বিএনপি
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর নতুন পরিস্থিতিতে ৩১ দফায় কিছু সংযোজন ও বিয়োজন করতে চায় বিএনপি। নতুন এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নটি সামনে আসার পর নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে ৩১ দফা নিয়ে তৃণমূলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। ইতিমধ্যে সংস্কারের কাজও শুরু করেছে। সুশীল সমাজ এবং যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল এবং জোটগুলোরও মতামত নেয়া হচ্ছে। এসব কিছু রেকর্ড করে রাখছে দলটি। সংস্কারের কাজ শেষে চূড়ান্ত রূপরেখা সেমিনার কিংবা ইভেন্ট করে জাতির সামনে আবারো তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সংস্কারের কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। বিএনপি বলছে, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। এটা বিএনপি’র কাছে নতুন কিছু নয়। যারা বলছেন, তাদের কাছে নতুন হতে পারে। আর বিএনপি ঘোষিত রূপরেখায় তেমন কিছু সংযোজন করার প্রয়োজন নেই। দীর্ঘ ৬ মাস কাজ করে এই রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। আর বিএনপি রূপরেখা তো ঘোষণা করেছে। সুতরা নতুন করে ঘোষণা করার কিছু নেই।

৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের প্রত্যয় ব্যক্ত নিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়। এই সংস্কারের অংশ হিসেবে পৃথক ৬টি কমিশনও গঠন করেছে সরকার। এ ছাড়া রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠিত হয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিশিষ্টজনরাও রাষ্ট্র সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে বিএনপি বলছে, রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়গুলো নতুন কিছু নয়। গত বছরের জুলাইয়ে বিএনপিসহ সব বিরোধী দল মিলে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল। রাষ্ট্রের যত ধরনের সংস্কার প্রয়োজন, বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে ওই দফাগুলো প্রণয়ন করা হয়। রূপরেখা ঘোষণার পর এর ওপর এক বছর বিভিন্ন সেমিনার এবং ওয়ার্কশপও করেছে দলটি।

বিএনপি’র নেতারা বলছেন, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার মধ্যে রাষ্ট্রের প্রায় সব সংস্কারের কথা বলা আছে। এরপরও যদি এখানে দুই-একটা সংযোজন করতে হয়, সেগুলো বিএনপি আলোচনার মাধ্যমে সংযোজন ও বিয়োজন করবে। এজন্য দল থেকে এই ৩১ দফা নিয়ে তৃণমূলের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলা হবে।

বনিক বার্তা:

বনিক বার্তার প্রথম পাতার কবর: গ্রগতির চেয়ে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীনদের ব্যবসা বাণিজ্যই বেশি হয়েছে
বিপুল অংকের অর্থ ব্যয়ে গত দেড় দশকে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। শুরুতে ডিজিটাল ও পরে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প সামনে রেখে এসব প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আইসিটি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এসব প্রকল্পের কাজে মূলত ক্ষমতাঘনিষ্ঠদেরই আধিপত্য ছিল সবচেয়ে বেশি।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে; এ সময় আইসিটি খাতে যারা সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছেন, তাদের মধ্যে বড় একটি অংশে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠজন। এমনকি জুনাইদ আহমেদ পলক নিজেও সব সময় সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্যে দেশের আইসিটি খাতের ‘অগ্রগতির’ কৃতিত্ব দিয়েছেন ‘জয় ভাইকেই’। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বণ্টনের বিষয়টিতে এ দুজনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতরা অগ্রাধিকার পেয়েছেন সব সময়। এর আগে মোস্তাফা জব্বার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার সময়ও তার ঘনিষ্ঠরা মন্ত্রণালয়ের কাজ পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এ তালিকায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য, যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের নামও রয়েছে।

কালবেলা:

কালবেলার প্রধান খবর: সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৭শ মামলা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এখন বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন পদচ্যুত মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সুনির্দিষ্ট নানা অভিযোগে এরই মধ্যে সারা দেশে ৭৪১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির তালিকায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদের প্রায় সব সদস্যই রয়েছেন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন সংসদে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের সাবেক সংসদ সদস্যরা (এমপি)। তবে চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী ছাড়া এখনো আসামি তালিকার বাইরে আছেন জাতীয় পার্টির অন্য এমপিরা। বিভিন্ন মামলায় সাবেক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবীদের নাম উল্লেখ ছাড়াও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে ‘অজ্ঞাত’ আসামি করা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যা কিংবা গণহত্যার অভিযোগ ছাড়াও অনেকের নামে হত্যাচেষ্টা, অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত তিনটি সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৭৪১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্য রাজধানীতেই মামলা হয়েছে ২২৭টির অধিক। বাকি ৫১৪টি মামলা হয়েছে অন্য জেলাগুলোয়। এসব মামলার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রায় দুইশটিতে আসামি করা হয়েছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সারা দেশে মামলা জোয়ারের মধ্যেও কয়েকটি জেলা এখনো এর বাইরে রয়েছে। গাইবান্ধা, বাগেরহাট, রাঙামাটি, বান্দরবান, চুয়াডাঙ্গা ও কুড়িগ্রামে কোনো মামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। আবার কোনো কোনো প্রবীণ মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে নিজ এলাকায় মামলা না হলেও রাজধানীতে তাদের আসামি করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শতাধিক মামলা হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে তাদের নিজ এলাকায় কোনো মামলা হয়নি।মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিটি মামলায় আসামির তালিকা প্রায় একই ধরনের। শুরুতে কিছু নাম উল্লেখ করে পরে কয়েক হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। এলাকাভেদে কিছুটা পরিবর্তন করে এসব মামলা করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আসামি করার পেছনে মামলার বাদী কিংবা পরামর্শদাতাদের ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাদী নিজেই জানেন না অথচ থানায় মামলা হয়ে গেছে। আবার বাদীর পরিচিত নন কিংবা তিনি চেনেন না, এমন ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে। এমনকি হয়রানি করার জন্য বাদীকে হুমকি দিয়ে কিংবা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মামলায় নাম ঢোকানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে।

প্রথম আলো:

প্রথম আলোর প্রধান খবর:  দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা, তীব্র ক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার।
জাহাঙ্গীরনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ বহিষ্কার ৮।
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একই দিনে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম (এফ এইচ) হলে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেন একদল শিক্ষার্থী। আর জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে কয়েক দফা মারধর করে হত্যা করা হয়। এ দুটি ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের একজন ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগী নেতা, অন্যদের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক ও ছাত্রদলের চার নেতা-কর্মীসহ কিছু শিক্ষার্থী জড়িত বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে এবং ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
এদিকে খাগড়াছড়িতে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মোহাম্মদ মামুন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোরের এ ঘটনার জের ধরে গতকাল দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন জায়গায় ‘মব জাস্টিস’ (উচ্ছৃঙ্খল জনগোষ্ঠীর বিচার) চলতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে।
দেশ রুপান্তর :

দেশরুপান্তরের প্রথম পাতার খবর: হেলিকপ্টারে মাদক পৌঁছাতেন শাওন!
অভিযোগ রয়েছে, শাওন ভোলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজের বিপরীতে ১০ শতাংশ কমিশন নিতেন। শুধু ঠিকাদারির কমিশন নিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন না তিনি।এমপি শাওনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ঘুষ-দুর্নীতি, সরকারি জায়গা প্লট আকারে বিক্রি ও নদী থেকে বালু উত্তোলনসহ ১৮ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। লালমোহনের এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দুদকে এ অভিযোগ জমা দেন।বলা হয়, ২০১০ সালে উপনির্বাচনে এমপি হওয়ার আগে বছরে তার আয় ছিল ১০ লাখ টাকা। এমপি হওয়ার পর ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার আয় হয়েছে ১৫ কোটির টাকার বেশি।দুদকের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে শাওনের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগটির অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি) সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি একটি টিম করা হয়। টিমের সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, নেয়ামুল আহসান গাজী, আতাউর রহমান সরকার ও মনিরুল ইসলাম। কিন্তু দুদকের ডিজিকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়ায় ইকবাল হোসেন অনুসন্ধানে আগ্রহী হননি। ফলে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ বছর ৩০ এপ্রিল অবসরে যান সৈয়দ ইকবাল। ফলে অনুসন্ধান বন্ধ থাকে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ২২ আগস্ট শাওনের বিরুদ্ধে নতুন করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।