ঢাকা ১২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Logo চবি ছাত্রদলের নেতা মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করল কেন্দ্রীয় ছাত্রদল Logo নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে হরগঙ্গায় কোরআন বিতরণ Logo দিনাজপুরে শিবিরকর্মী হত্যা মামলায় উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন কারাগারে Logo ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক Logo হাজার হাজার দেশপ্রেমিকের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর Logo ১৩টি ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ আ.লীগ-বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে Logo টিভিতে যে খেলা থাকছে আজ Logo মধ্যরাতে ঢাবি ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সং’ঘর্ষ Logo ১৭ বছর আন্দোলন করেছি বাসস্ট্যান্ড দখলের জন্য নয়: ইশরাক

নাটোরে স্কুলছাত্রী হত্যা মামলায় ৩ আসামির ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 178

নাটোরে স্কুলছাত্রী হত্যা মামলায় ৩ আসামির ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

নাটোরে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় তিন যুবককে ৪৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যক আসামিকে ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে সেলিম হোসেন, আলতাফ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ ও আরশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন।

নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থী জরুরি কাজে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় ওই ছাত্রীকে আসামিরা অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে বনবেলঘরিয়া গ্রামের একটি রাস্তার পাশ থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৭ জুন নিহত ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরে ২০১৮ সালে পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ৮ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত তিন আসামির বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা প্রমাণিত হলে বিচারক প্রত্যককে ৪৪ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। প্রত্যককে ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। এই জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।’

জনপ্রিয় সংবাদ

আবু সাঈদ হত্যা মামলার দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

নাটোরে স্কুলছাত্রী হত্যা মামলায় ৩ আসামির ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৯:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নাটোরে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় তিন যুবককে ৪৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যক আসামিকে ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে সেলিম হোসেন, আলতাফ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ ও আরশেদ আলীর ছেলে মনির হোসেন।

নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থী জরুরি কাজে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় ওই ছাত্রীকে আসামিরা অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে বনবেলঘরিয়া গ্রামের একটি রাস্তার পাশ থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৭ জুন নিহত ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরে ২০১৮ সালে পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ৮ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত তিন আসামির বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা প্রমাণিত হলে বিচারক প্রত্যককে ৪৪ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। প্রত্যককে ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। এই জরিমানার অর্থ ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।’