ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৬:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 27

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

প্রথম আলো:

যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান

আল-জাজিরার অনুসন্ধান
গতকাল ‘দ্য মিনিস্টার্স মিলিয়নস’ শিরোনামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ) শুধু যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ির মালিক। এর বেশির ভাগই বার্কলি গ্রুপের মতো শীর্ষ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কেনা। বাড়িগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য ৩২ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮২৪ কোটি টাকার বেশি।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার রাতে ‘দ্য মিনিস্টার্স মিলিয়নস’ শিরোনামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা। অনুসন্ধান করেছে আল-জাজিরার অনুসন্ধানী দল ‘আই ইউনিট’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান লন্ডনের বাইরে দুবাইয়ে ২০২০ সালের মধ্যে অন্তত ৫৪টি সম্পদের তালিকাভুক্ত মালিক হন। যুক্তরাষ্ট্রেও তাঁর সম্পত্তি আছে। সেখানে তিনি ৯টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন।
এর মধ্যে ৫টি ম্যানহাটানসহ নিউইয়র্কের প্রধান এলাকায় এবং ৪টি নিউ জার্সিতে। সাইফুজ্জামান দেশের বাইরের এত পরিমাণ সম্পদ তাঁর নির্বাচনী হলফনামা ও ট্যাক্স ফাইলে গোপন করেছেন।

আল-জাজিরার অনুসন্ধান বলছে, লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হয়ে সব সম্পদ দেখাশোনা করেন চট্টগ্রামের রিপন মাহমুদ। তিনি সাইফুজ্জামানের লন্ডনের আইনজীবী। সাইফুজ্জামানের ঋণ নেওয়া সিঙ্গাপুরের ব্যাংক ডিবিএসের রাহুল মার্টের বর্ণনায়ও তাঁর সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে। কীভাবে এত সম্পদ গড়েছেন, সেই ধারণাও পাওয়া গেছে।

তা ছাড়া সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বর্ণনায়ও তাঁর সম্পদ ও ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনা দেশের বাইরে তাঁর ব্যবসার কথা জানতেন উল্লেখ করে সাইফুজ্জামান আল-জাজিরার অনুসন্ধানী দলকে বলেছেন, ‘আমার এখানে ব্যবসা আছে, সেটা তিনি জানতেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইফুজ্জামান ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুবই কাছের ও বিশ্বস্ত। তিনি ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী হন। ২০১৯ সালে শেখ হাসিনা তাঁকে পদোন্নতি দিয়ে ভূমিমন্ত্রী করেন। সাইফুজ্জামানও আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমার বাবা প্রধানমন্ত্রীর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সত্যি বলতে আমিও।’

বনিক বার্তা:

সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
সাবেক তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি করা হয়েছে বিগত তিন জাতীয় সংসদের সব সদস্যকেও।

প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা হয়। মামলায় বাদী হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম নামের এক ব্যক্তি। বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার মর্যাদার একজন কর্মকর্তা দিয়ে এ মামলার তদন্ত করার কথা বলেছেন।’
মামলার আসামির তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. জাবেদ আলী, আবদুল মোবারক, মো. শাহনেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিসুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ও জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কালের কন্ঠ:

‘দরবেশের’ থাবায় লণ্ডভণ্ড পুঁজিবাজার
সালমান এফ রহমান। যাঁকে সবাই একনামে চেনে ‘দরবেশ’ হিসেবে। লম্বা দাড়ি আর সাদা পোশাকের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তাঁর ‘কারসাজি’ পারদর্শিতার অলিখিত স্বীকৃতিই তাঁকে এই ‘দরবেশ’ পরিচিতি এনে দিয়েছে বলে সাধারণ মানুষের ধারণা। এই ‘দরবেশকাণ্ডে’ সময় সময় তছনছ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।

তাঁর ক্ষমতা আর প্রভাবের থাবায় লাখো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হয়েছেন নিঃস্ব।
গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। যুগের পর যুগ তাঁর নাম আর পুঁজিবাজারের কারসাজি সমার্থক হয়ে গেছে। দেশের ইতিহাসে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়েও বিচার হয়নি।

তাঁর কালো ছায়া থেকে এখনো বেরোতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার।
১৯৯৩ সাল থেকে গত ৩১ বছরে শেয়ারবাজারে এমন কোনো বড় কেলেঙ্কারি নেই, যেখানে সালমান এফ রহমানের সম্পৃক্ততা মেলেনি। এসব কাজে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করেছেন তিনি। কারসাজির নিত্যনতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তিনি।

নয়াদিগন্ত:

ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী মালিক ও বহিরাগত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর নিজেদের কারখানার কিছু অসাধু শ্রমিক কর্মচারী দিয়ে অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া উত্থাপনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলার জন্য নানা অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে দেশী-বিদেশী চক্রের গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। এতে তৈরী পোশাক শিল্পে অস্থিরতা কাটছে না। বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। একে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে পানি ঘোলা করার চেষ্টা দেখছেন অনেকে। এ সঙ্কট দ্রুত শক্তভাবে প্রতিহত করতে না পারলে দেশের পুরো পোশাকশিল্পে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা কয়েক দিন ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন দাবি আদায়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভে বিপর্যস্ত তৈরী পোশাক শিল্প। প্রথম দিকে শ্রমিকদের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে উসকানিদাতা, বহিরাগত হামলাকারী ও ঝুট ব্যবসায়ীদের দায়ী করে মালিকপক্ষ। এরপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শ্রমিকদের দাবি আংশিকভাবে মেনে নেয়া হয়। তত দিনে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ম্যাজিস্ট্রেসি নিয়ে মাঠে সেনাবাহিনী
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে সারা দেশে গতকাল থেকে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর গতকাল সকাল থেকে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের টিম নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। এর ফলে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তারা সরাসরি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন।

আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির বিভিন্ন ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন। ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতাও থাকবে। বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দানের ক্ষমতা, ছত্রভঙ্গ করতে সামরিক-বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতাও রয়েছে।

উল্লিখিত ক্ষমতা ছাড়াও মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারবেন। তবে কারাদন্ডের ক্ষেত্রে তা দুই বছরের বেশি হবে না। এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল দেশের জনগণ ভোগ করবে।

গতকাল গাজীপুরের সফিপুরে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, সেনাবাহিনী অনেক দিন ধরে মাঠে থেকে জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে জনবলের স্বল্পতা রয়েছে। সেটা পূরণের লক্ষ্যেই কাজ করছে সেনাবাহিনী। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রাজধানীসহ সারা দেশে সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে নাশকতা, অরাজকতা এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার মতো কিছু কর্মকান্ড ঘটছে বলে আমরা লক্ষ্য করেছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে এই পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য। এসব অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য, মোকাবিলা করার জন্য। সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এর কোনো অপপ্রয়োগ ঘটবে না বলে আশাবাদী আইন উপদেষ্টা।

যুগান্তর:

রপ্তানির আড়ালে সালমানের হাজার কোটি টাকা পাচার, ১৭ মামলা
সিআইডির মামলায় বাবা, ছেলে, ভাই, ভাতিজাসহ আসামি ২৮ * শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে সালমান এফ রহমানকে * আত্মগোপনে বেক্সিমকোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা * ঋণ নিয়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের পৃথক অনুসন্ধান চলছে
বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ)। এতে সালমান এফ রহমান ছাড়াও তার ছেলে, ভাই, ভাতিজাসহ প্রতিষ্ঠানের ২৪ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় রপ্তানির আড়ালে ৮৩ মিলিয়ন বা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযুক্ত এই ১৭ প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আত্মগোপনে আছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সালমানের দুই ছেলে ও বড় ভাই আগে থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। এ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি সিআইডির অনুসন্ধান দল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোয় গিয়ে কর্মস্থলে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে পারে। এছাড়াও তাদের অনেকেই সালমান গ্রেফতারের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন বলেও সিআইডিকে জানানো হয়। তবে তারা দেশত্যাগ করেছেন কি না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। কাজেই বিষয়টিও সিআইডি খোঁজ নেবে বলে জানা গেছে। তাদের সন্ধান পাওয়া গেলে গ্রেফতার করা হতে পারে।

মানবজমিন:

কোমায় টেলিটক

বিগত ১৫ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকে শুধু লুটপাটই করা হয়েছে হাজার কোটি টাকার উপরে। প্রতিষ্ঠানটিতে যারাই দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন তারাই অংশ নিয়েছেন লুটপাটে। যার কারণে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা থাকলেও কখনো উঠে দাঁড়াতে
পারেনি টেলিটক। বরং দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও উল্টো চিত্র টেলিটকে। এর প্রধান কারণ টেলিটকের গ্রাহক সেবার মান সর্বনিম্ন। ২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক। সেই সময় থেকে যতটা না সেবা দিতে পেরেছে তার চেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে পড়েছে এই সরকারি অপারেটর। দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগের আঙ্গুল এই অপারেটরের দিকে। প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। সেসব মামলার কোনোটা আদালতে বিচারাধীন অথবা কোনোটা দুর্নীতি দমন কমিশনের অধীনে তদন্তাধীন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, টেলিটকের এমন কোনো প্রকল্প নেই যেখানে অনিয়ম আর দুর্নীতি হয়নি। বরং দুর্নীতি করার জন্যই টেলিটকে নানা ধরনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে এই অপারেটরে হাজার কোটি টাকার বেশি লুটপাট হয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি। কয়েকদিন দুদক নড়েচড়ে বসে ঢাকঢোল পিটিয়ে থেমে যায়। এসব কারণে যারা টেলিটকে দায়িত্ব নিয়ে আসেন তারা দুর্নীতি করতে সাহস পান।

সমকাল:

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি বেশ পুরোনো। অবশেষে চাকরিপ্রত্যাশীর জন্য আসছে সুখবর। বাড়ছে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে অবসরে যাওয়ার সময়ও। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ চলছে।

চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে এ বিষয়ক বিধি-বিধান কোথায়, কী সংশোধনের প্রয়োজন হবে– তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ নির্ধারণ করার দাবি উঠলেও মানুষের গড় আয়ু বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা চূড়ান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চাকরিতে আবেদনের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ এবং অবসরের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৬২ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

রাষ্ট্র সংস্কারে সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, এর মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের প্রধান হয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এই কমিশনও বয়সসীমার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। এখন সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩০ আর অবসরের জন্য ৫৯ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা আছে।

এ ব্যাপারে সরকার-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকার জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে। চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়াতে সুপারিশ করবে কিনা, তা এ কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত। মূল বিষয়টি হলো, জনগণকে সুশাসন কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে এ কমিশন যদি মনে করে, সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ও অবসরের সীমা বাড়ানো প্রয়োজন, তারা সরকারকে সুপারিশ দেবে।

কালবেলা:

ট্রেন ইজারার রিমোট রিপন-লুনার হাতে
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেলওয়েতে বিগত সরকারের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে আলোচনায় এসেছে দুটি নাম। তারা হলেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সালাউদ্দিন রিপন এবং তার স্ত্রী মিফতাহুল জান্নাত লুনা। সারা দেশে ৩৭টি ট্রেনের ব্যবস্থাপনা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আলোচিত এই দম্পতির নিয়ন্ত্রণে চলে ৩২টি ট্রেন। চার বছরের জন্য ইজারা নিয়ে ক্ষমতাবানদের হস্তক্ষেপে তাদের সঙ্গে বারবার চুক্তি নবায়ন করেছে সরকার। এক্ষেত্রে প্রতিবারই সহযোগিতা পেয়েছেন রেলের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের। সব মিলিয়ে প্রায় এক যুগ ট্রেন ইজারার রিমোট কন্ট্রোল ছিল রিপন-রুনার হাতেই। এতে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে রেল।

জানা গেছে, ২০২২ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বেসরকারি খাতে রেল পরিচালনার সব চুক্তি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু সে সিদ্ধান্তও রাজনৈতিক বিবেচনায় আটকে যায়। মূলত রিপন-লুনা দম্পতির কারণেই সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে বেসরকারি খাতে রেল পরিচালনার বিষয়টি পরিবর্তনের চিন্তা করছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাদের হাতে ট্রেনের ইজারা ছিল, এখনো তারাই পরিচালনা করছে বলে রেলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে।

রেলের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বশেষ ইজারা অনুযায়ী আরও অন্তত দুই বছর রিপন-লুনা দম্পতি ট্রেন পরিচালনার কথা রয়েছে। রেলওয়ের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত না এলে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পক্ষ ইজারা চুক্তি বাতিল সম্ভব নয়।
অবশ্য সরকারি খাতে ট্রেন পরিচালনায় লোকসান হলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রেন চলে লাভজনকভাবে। দুই ধরনের ব্যবস্থাপনায় লাভ-লোকসানের বিপরীত চিত্রের কারণ চিহ্নিত করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদীউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন পরিচালনা করে লোকসান দেয়। অথচ বেসরকারি খাতে ট্রেন লাভজনকভাবে চলছে। তাহলে সরকারি খাতে ট্রেন পরিচালনার সমস্যা চিহ্নিত করা দরকার। তাহলেই পরিস্থিতি বদলে যাবে। রেল খাতে প্রতি বছর রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে না।’

দৈনিক সংগ্রাম:

জুময়ার খুৎবায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বক্তব্য প্রদান করুন
রাজশাহী ব্যুরো: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, প্রত্যেক নবী ও রাসূল ইসলামী আইন দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করার মেহনত করেছেন। সেজন্য সম্মানিত খতিবগণকে জুমার খুৎবায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বক্তব্য প্রদান করার আহ্বান জানান তিনি।

রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলা অডিটোরিয়ামে গত সোমবার ওলামা মশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এ আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত তিনি সূরা বাকারা ২৪৭, ২৫১, ২৫৯, ২৫৮ সূরা সোয়াদ ৩৫, সূরা মায়েদা ২০, সূরা বনী ইস্রাইল ৮০, সূরা ইউসুফ ৫৫ নং আয়াতের ভিত্তিতে এই খুৎবার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন যদি তোমাদের জমিনে ক্ষমতা দিই তাহলে ক্ষমতাবানের চারটি কাজ- ১. নামায কায়েম করবে। ২. যাকাত প্রতিষ্ঠা করবে। ৩. সৎ কাজের আদেশ ৪. অসৎ কাজে বাধা দেবে। তিনি আরো বলেন, মসজিদের সভাপতি হবেন নামাযী ও যাকাতদাতা। কোনো বেনামাযী লোক মসজিদের সভাপতি থাকতে পারবেন না। কোনো কমিটিতে বেনামাযী থাকলে সে কমিটি ভেঙে নামাযী কুরআন কায়েমের আন্দোলনে বিশ্বাসীদের মসজিদ মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচিত করুন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ওলামা বিভাগের জেলা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল খালেক, মাওলানা আব্দুল খালেক, ড. ওবায়দুল্লাহ, রাজশাহী মহানগর ওলামা বিভাগের নেতা মাওলানা রুহুল আমিন বক্তব্য রাখেন। ক্বারী আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা জামিলুর রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আলমগীর হোসাইন, মাওলানা আনিসুর রহমান, হাফেজ সৈয়দ আলী, দেবীপুর রহমানিয়া মাদ্রাসা মুহতামিম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরে স্কুলছাত্রী হত্যা মামলায় ৩ আসামির ৪৪ বছরের কারাদণ্ড

সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা

যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান

আপডেট সময় ০৬:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:

প্রথম আলো:

যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ির মালিক সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান

আল-জাজিরার অনুসন্ধান
গতকাল ‘দ্য মিনিস্টার্স মিলিয়নস’ শিরোনামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী (জাভেদ) শুধু যুক্তরাজ্যেই ৩৬০টি বাড়ির মালিক। এর বেশির ভাগই বার্কলি গ্রুপের মতো শীর্ষ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কেনা। বাড়িগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য ৩২ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ হাজার ৮২৪ কোটি টাকার বেশি।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার রাতে ‘দ্য মিনিস্টার্স মিলিয়নস’ শিরোনামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা। অনুসন্ধান করেছে আল-জাজিরার অনুসন্ধানী দল ‘আই ইউনিট’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান লন্ডনের বাইরে দুবাইয়ে ২০২০ সালের মধ্যে অন্তত ৫৪টি সম্পদের তালিকাভুক্ত মালিক হন। যুক্তরাষ্ট্রেও তাঁর সম্পত্তি আছে। সেখানে তিনি ৯টি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন।
এর মধ্যে ৫টি ম্যানহাটানসহ নিউইয়র্কের প্রধান এলাকায় এবং ৪টি নিউ জার্সিতে। সাইফুজ্জামান দেশের বাইরের এত পরিমাণ সম্পদ তাঁর নির্বাচনী হলফনামা ও ট্যাক্স ফাইলে গোপন করেছেন।

আল-জাজিরার অনুসন্ধান বলছে, লন্ডনে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হয়ে সব সম্পদ দেখাশোনা করেন চট্টগ্রামের রিপন মাহমুদ। তিনি সাইফুজ্জামানের লন্ডনের আইনজীবী। সাইফুজ্জামানের ঋণ নেওয়া সিঙ্গাপুরের ব্যাংক ডিবিএসের রাহুল মার্টের বর্ণনায়ও তাঁর সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে। কীভাবে এত সম্পদ গড়েছেন, সেই ধারণাও পাওয়া গেছে।

তা ছাড়া সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বর্ণনায়ও তাঁর সম্পদ ও ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। শেখ হাসিনা দেশের বাইরে তাঁর ব্যবসার কথা জানতেন উল্লেখ করে সাইফুজ্জামান আল-জাজিরার অনুসন্ধানী দলকে বলেছেন, ‘আমার এখানে ব্যবসা আছে, সেটা তিনি জানতেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইফুজ্জামান ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুবই কাছের ও বিশ্বস্ত। তিনি ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী হন। ২০১৯ সালে শেখ হাসিনা তাঁকে পদোন্নতি দিয়ে ভূমিমন্ত্রী করেন। সাইফুজ্জামানও আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমার বাবা প্রধানমন্ত্রীর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সত্যি বলতে আমিও।’

বনিক বার্তা:

সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা
সাবেক তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি করা হয়েছে বিগত তিন জাতীয় সংসদের সব সদস্যকেও।

প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গতকাল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা হয়। মামলায় বাদী হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম নামের এক ব্যক্তি। বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার মর্যাদার একজন কর্মকর্তা দিয়ে এ মামলার তদন্ত করার কথা বলেছেন।’
মামলার আসামির তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, মো. জাবেদ আলী, আবদুল মোবারক, মো. শাহনেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, আনিসুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ও জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কালের কন্ঠ:

‘দরবেশের’ থাবায় লণ্ডভণ্ড পুঁজিবাজার
সালমান এফ রহমান। যাঁকে সবাই একনামে চেনে ‘দরবেশ’ হিসেবে। লম্বা দাড়ি আর সাদা পোশাকের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তাঁর ‘কারসাজি’ পারদর্শিতার অলিখিত স্বীকৃতিই তাঁকে এই ‘দরবেশ’ পরিচিতি এনে দিয়েছে বলে সাধারণ মানুষের ধারণা। এই ‘দরবেশকাণ্ডে’ সময় সময় তছনছ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।

তাঁর ক্ষমতা আর প্রভাবের থাবায় লাখো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হয়েছেন নিঃস্ব।
গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। যুগের পর যুগ তাঁর নাম আর পুঁজিবাজারের কারসাজি সমার্থক হয়ে গেছে। দেশের ইতিহাসে ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়েও বিচার হয়নি।

তাঁর কালো ছায়া থেকে এখনো বেরোতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার।
১৯৯৩ সাল থেকে গত ৩১ বছরে শেয়ারবাজারে এমন কোনো বড় কেলেঙ্কারি নেই, যেখানে সালমান এফ রহমানের সম্পৃক্ততা মেলেনি। এসব কাজে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করেছেন তিনি। কারসাজির নিত্যনতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তিনি।

নয়াদিগন্ত:

ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প
বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী মালিক ও বহিরাগত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর নিজেদের কারখানার কিছু অসাধু শ্রমিক কর্মচারী দিয়ে অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া উত্থাপনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে ফেলার জন্য নানা অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে দেশী-বিদেশী চক্রের গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। এতে তৈরী পোশাক শিল্পে অস্থিরতা কাটছে না। বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। একে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে পানি ঘোলা করার চেষ্টা দেখছেন অনেকে। এ সঙ্কট দ্রুত শক্তভাবে প্রতিহত করতে না পারলে দেশের পুরো পোশাকশিল্পে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা কয়েক দিন ঢাকা, গাজীপুর, আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন দাবি আদায়ে শ্রমিকদের বিক্ষোভে বিপর্যস্ত তৈরী পোশাক শিল্প। প্রথম দিকে শ্রমিকদের দাবিকে পাত্তা না দিয়ে উসকানিদাতা, বহিরাগত হামলাকারী ও ঝুট ব্যবসায়ীদের দায়ী করে মালিকপক্ষ। এরপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শ্রমিকদের দাবি আংশিকভাবে মেনে নেয়া হয়। তত দিনে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

ম্যাজিস্ট্রেসি নিয়ে মাঠে সেনাবাহিনী
ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে সারা দেশে গতকাল থেকে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর গতকাল সকাল থেকে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের টিম নিয়ে মাঠে কাজ করছেন। এর ফলে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তারা সরাসরি অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন।

আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির বিভিন্ন ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন। ওয়ারেন্ট অনুমোদন করার ক্ষমতা বা ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে অপসারণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। জামিনের নিষ্পত্তি করার ক্ষমতাও থাকবে। বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার আদেশ দানের ক্ষমতা, ছত্রভঙ্গ করতে সামরিক-বেসামরিক শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতাও রয়েছে।

উল্লিখিত ক্ষমতা ছাড়াও মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারবেন। তবে কারাদন্ডের ক্ষেত্রে তা দুই বছরের বেশি হবে না। এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল দেশের জনগণ ভোগ করবে।

গতকাল গাজীপুরের সফিপুরে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, সেনাবাহিনী অনেক দিন ধরে মাঠে থেকে জনগণের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে জনবলের স্বল্পতা রয়েছে। সেটা পূরণের লক্ষ্যেই কাজ করছে সেনাবাহিনী। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রাজধানীসহ সারা দেশে সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলগুলোতে নাশকতা, অরাজকতা এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার মতো কিছু কর্মকান্ড ঘটছে বলে আমরা লক্ষ্য করেছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে এই পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য। এসব অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য, মোকাবিলা করার জন্য। সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এর কোনো অপপ্রয়োগ ঘটবে না বলে আশাবাদী আইন উপদেষ্টা।

যুগান্তর:

রপ্তানির আড়ালে সালমানের হাজার কোটি টাকা পাচার, ১৭ মামলা
সিআইডির মামলায় বাবা, ছেলে, ভাই, ভাতিজাসহ আসামি ২৮ * শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে সালমান এফ রহমানকে * আত্মগোপনে বেক্সিমকোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা * ঋণ নিয়ে ৩৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের পৃথক অনুসন্ধান চলছে
বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে ১৭টি মামলা করেছে সিআইডি (পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ)। এতে সালমান এফ রহমান ছাড়াও তার ছেলে, ভাই, ভাতিজাসহ প্রতিষ্ঠানের ২৪ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় রপ্তানির আড়ালে ৮৩ মিলিয়ন বা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযুক্ত এই ১৭ প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা আত্মগোপনে আছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সালমানের দুই ছেলে ও বড় ভাই আগে থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থ পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। এ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি সিআইডির অনুসন্ধান দল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোয় গিয়ে কর্মস্থলে তাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে পারে। এছাড়াও তাদের অনেকেই সালমান গ্রেফতারের পর থেকেই আত্মগোপনে আছেন বলেও সিআইডিকে জানানো হয়। তবে তারা দেশত্যাগ করেছেন কি না, তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। কাজেই বিষয়টিও সিআইডি খোঁজ নেবে বলে জানা গেছে। তাদের সন্ধান পাওয়া গেলে গ্রেফতার করা হতে পারে।

মানবজমিন:

কোমায় টেলিটক

বিগত ১৫ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকে শুধু লুটপাটই করা হয়েছে হাজার কোটি টাকার উপরে। প্রতিষ্ঠানটিতে যারাই দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন তারাই অংশ নিয়েছেন লুটপাটে। যার কারণে রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা থাকলেও কখনো উঠে দাঁড়াতে
পারেনি টেলিটক। বরং দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আরও মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও উল্টো চিত্র টেলিটকে। এর প্রধান কারণ টেলিটকের গ্রাহক সেবার মান সর্বনিম্ন। ২০০৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক। সেই সময় থেকে যতটা না সেবা দিতে পেরেছে তার চেয়ে বেশি সমালোচনার মুখে পড়েছে এই সরকারি অপারেটর। দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগের আঙ্গুল এই অপারেটরের দিকে। প্রতিষ্ঠানটির বেশির ভাগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে। সেসব মামলার কোনোটা আদালতে বিচারাধীন অথবা কোনোটা দুর্নীতি দমন কমিশনের অধীনে তদন্তাধীন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, টেলিটকের এমন কোনো প্রকল্প নেই যেখানে অনিয়ম আর দুর্নীতি হয়নি। বরং দুর্নীতি করার জন্যই টেলিটকে নানা ধরনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে এই অপারেটরে হাজার কোটি টাকার বেশি লুটপাট হয়েছে। কিন্তু এসব নিয়ে অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি। কয়েকদিন দুদক নড়েচড়ে বসে ঢাকঢোল পিটিয়ে থেমে যায়। এসব কারণে যারা টেলিটকে দায়িত্ব নিয়ে আসেন তারা দুর্নীতি করতে সাহস পান।

সমকাল:

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে
সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি বেশ পুরোনো। অবশেষে চাকরিপ্রত্যাশীর জন্য আসছে সুখবর। বাড়ছে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা। পাশাপাশি বাড়ানো হচ্ছে অবসরে যাওয়ার সময়ও। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ চলছে।

চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে এ বিষয়ক বিধি-বিধান কোথায়, কী সংশোধনের প্রয়োজন হবে– তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স যথাক্রমে ৩৫ ও ৬৫ নির্ধারণ করার দাবি উঠলেও মানুষের গড় আয়ু বিবেচনায় নিয়ে বয়সসীমা চূড়ান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে চাকরিতে আবেদনের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ এবং অবসরের বয়স তিন বছর বাড়িয়ে ৬২ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

রাষ্ট্র সংস্কারে সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, এর মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের প্রধান হয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এই কমিশনও বয়সসীমার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। এখন সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩০ আর অবসরের জন্য ৫৯ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা আছে।

এ ব্যাপারে সরকার-সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সরকার জনপ্রশাসন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করেছে। চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়াতে সুপারিশ করবে কিনা, তা এ কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত। মূল বিষয়টি হলো, জনগণকে সুশাসন কীভাবে দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করা। এ ক্ষেত্রে এ কমিশন যদি মনে করে, সরকারি চাকরিতে ঢোকার বয়স ও অবসরের সীমা বাড়ানো প্রয়োজন, তারা সরকারকে সুপারিশ দেবে।

কালবেলা:

ট্রেন ইজারার রিমোট রিপন-লুনার হাতে
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেলওয়েতে বিগত সরকারের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হিসেবে আলোচনায় এসেছে দুটি নাম। তারা হলেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সালাউদ্দিন রিপন এবং তার স্ত্রী মিফতাহুল জান্নাত লুনা। সারা দেশে ৩৭টি ট্রেনের ব্যবস্থাপনা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আলোচিত এই দম্পতির নিয়ন্ত্রণে চলে ৩২টি ট্রেন। চার বছরের জন্য ইজারা নিয়ে ক্ষমতাবানদের হস্তক্ষেপে তাদের সঙ্গে বারবার চুক্তি নবায়ন করেছে সরকার। এক্ষেত্রে প্রতিবারই সহযোগিতা পেয়েছেন রেলের প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের। সব মিলিয়ে প্রায় এক যুগ ট্রেন ইজারার রিমোট কন্ট্রোল ছিল রিপন-রুনার হাতেই। এতে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে রেল।

জানা গেছে, ২০২২ সালে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বেসরকারি খাতে রেল পরিচালনার সব চুক্তি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করে। কিন্তু সে সিদ্ধান্তও রাজনৈতিক বিবেচনায় আটকে যায়। মূলত রিপন-লুনা দম্পতির কারণেই সংসদীয় কমিটির সুপারিশ আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে বেসরকারি খাতে রেল পরিচালনার বিষয়টি পরিবর্তনের চিন্তা করছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। যাদের হাতে ট্রেনের ইজারা ছিল, এখনো তারাই পরিচালনা করছে বলে রেলের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে।

রেলের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সর্বশেষ ইজারা অনুযায়ী আরও অন্তত দুই বছর রিপন-লুনা দম্পতি ট্রেন পরিচালনার কথা রয়েছে। রেলওয়ের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত না এলে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পক্ষ ইজারা চুক্তি বাতিল সম্ভব নয়।
অবশ্য সরকারি খাতে ট্রেন পরিচালনায় লোকসান হলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ট্রেন চলে লাভজনকভাবে। দুই ধরনের ব্যবস্থাপনায় লাভ-লোকসানের বিপরীত চিত্রের কারণ চিহ্নিত করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাদীউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেন পরিচালনা করে লোকসান দেয়। অথচ বেসরকারি খাতে ট্রেন লাভজনকভাবে চলছে। তাহলে সরকারি খাতে ট্রেন পরিচালনার সমস্যা চিহ্নিত করা দরকার। তাহলেই পরিস্থিতি বদলে যাবে। রেল খাতে প্রতি বছর রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে না।’

দৈনিক সংগ্রাম:

জুময়ার খুৎবায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বক্তব্য প্রদান করুন
রাজশাহী ব্যুরো: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, প্রত্যেক নবী ও রাসূল ইসলামী আইন দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করার মেহনত করেছেন। সেজন্য সম্মানিত খতিবগণকে জুমার খুৎবায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বক্তব্য প্রদান করার আহ্বান জানান তিনি।

রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলা অডিটোরিয়ামে গত সোমবার ওলামা মশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এ আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত তিনি সূরা বাকারা ২৪৭, ২৫১, ২৫৯, ২৫৮ সূরা সোয়াদ ৩৫, সূরা মায়েদা ২০, সূরা বনী ইস্রাইল ৮০, সূরা ইউসুফ ৫৫ নং আয়াতের ভিত্তিতে এই খুৎবার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন যদি তোমাদের জমিনে ক্ষমতা দিই তাহলে ক্ষমতাবানের চারটি কাজ- ১. নামায কায়েম করবে। ২. যাকাত প্রতিষ্ঠা করবে। ৩. সৎ কাজের আদেশ ৪. অসৎ কাজে বাধা দেবে। তিনি আরো বলেন, মসজিদের সভাপতি হবেন নামাযী ও যাকাতদাতা। কোনো বেনামাযী লোক মসজিদের সভাপতি থাকতে পারবেন না। কোনো কমিটিতে বেনামাযী থাকলে সে কমিটি ভেঙে নামাযী কুরআন কায়েমের আন্দোলনে বিশ্বাসীদের মসজিদ মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচিত করুন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ওলামা বিভাগের জেলা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল খালেক, মাওলানা আব্দুল খালেক, ড. ওবায়দুল্লাহ, রাজশাহী মহানগর ওলামা বিভাগের নেতা মাওলানা রুহুল আমিন বক্তব্য রাখেন। ক্বারী আইয়ুব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা জামিলুর রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আলমগীর হোসাইন, মাওলানা আনিসুর রহমান, হাফেজ সৈয়দ আলী, দেবীপুর রহমানিয়া মাদ্রাসা মুহতামিম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।