ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষণা ছাত্রশিবিরের Logo পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে -ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াত Logo খাদ্যের প্রলোভন দেখিয়ে ১০২ জনকে হত্যা Logo শেখ মুজিবসহ জাতীয় ৪ নেতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিলের খবর সঠিক নয় Logo প্রতিদিন আধা লিটার দুধ দিচ্ছে এক পাঁঠা’! দেখতে শত মানুষের ভীড় Logo ফরিদপুরে মাহিন্দ্রা-বাসের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৪ জনের Logo ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঈদের পর একযোগে মাঠে নামছে অধিকাংশ ছাত্রসংগঠন Logo ঠুকঠাক শব্দে জেগে উঠেছে নওগাঁর কামারপল্লী Logo নবাবগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৬৪০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ জব্দ Logo গার্মেন্টসকর্মী থেকে হলেন প্রেসিডেন্ট

জিয়াউর রহমানের নদী-খাল খনন কর্মসূচি ফের চালুর দাবি

বন্যা মোকাবিলায় দেশের নদ-নদী ও খালগুলো সচল করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নদী ও খাল খনন কর্মসূচি আবারও চালু করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ দশক আগের জাতীয় ভূমি নকশা অনুসারে দেশের প্রতিটি নদ-নদী ও খাল পুনরুদ্ধার এবং নদীর সীমানা নির্ধারণের দাবিও জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি এসব দাবি জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। মানুষের ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু তীব্র স্রোতে ভেসে যায়। শুরু হয় অমানবিক-অবর্ণনীয় বাসস্থান ও খাদ্য সংকট।

আবদুল লতিফ জনি বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদী বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে চিন্তা করা যেমন অসম্ভব, তেমনই অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে মাতৃতুল্য অনেক নদী আজ ইতিহাসের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মা যেমন সন্তানকে আগলে রাখে, তেমনই বাংলাদেশের নদীও হাজার হাজার বছর ধরে এদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে একাকার হয়ে মিশে আছে। এ বিবেচনায় জিয়াউর রহমান ফেনী নদীর মোহনায় মুহুরী প্রকল্প এবং ছোট ফেনী নদীর মোহনায় মুছাপুর ব্যারেজ প্রকল্প চালু করেন।

তিনি আরও বলেন, স্রোতস্বিনী নদীগুলো ভরাট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। নদী হত্যাকারী, পাহাড় ধ্বংসকারী, বনাঞ্চল দখলকারী ও ইটভাটা করে পরিবেশ নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক। শুধু তদন্ত নয়, দখলকারী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষণা ছাত্রশিবিরের

জিয়াউর রহমানের নদী-খাল খনন কর্মসূচি ফের চালুর দাবি

আপডেট সময় ০৬:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বন্যা মোকাবিলায় দেশের নদ-নদী ও খালগুলো সচল করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নদী ও খাল খনন কর্মসূচি আবারও চালু করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ দশক আগের জাতীয় ভূমি নকশা অনুসারে দেশের প্রতিটি নদ-নদী ও খাল পুনরুদ্ধার এবং নদীর সীমানা নির্ধারণের দাবিও জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি এসব দাবি জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়। এতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। মানুষের ঘরবাড়ি ও গবাদি পশু তীব্র স্রোতে ভেসে যায়। শুরু হয় অমানবিক-অবর্ণনীয় বাসস্থান ও খাদ্য সংকট।

আবদুল লতিফ জনি বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদী বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে চিন্তা করা যেমন অসম্ভব, তেমনই অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে মাতৃতুল্য অনেক নদী আজ ইতিহাসের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মা যেমন সন্তানকে আগলে রাখে, তেমনই বাংলাদেশের নদীও হাজার হাজার বছর ধরে এদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে একাকার হয়ে মিশে আছে। এ বিবেচনায় জিয়াউর রহমান ফেনী নদীর মোহনায় মুহুরী প্রকল্প এবং ছোট ফেনী নদীর মোহনায় মুছাপুর ব্যারেজ প্রকল্প চালু করেন।

তিনি আরও বলেন, স্রোতস্বিনী নদীগুলো ভরাট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। নদী হত্যাকারী, পাহাড় ধ্বংসকারী, বনাঞ্চল দখলকারী ও ইটভাটা করে পরিবেশ নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক। শুধু তদন্ত নয়, দখলকারী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।