মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র ঋণনির্ভর সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রকল্প এটি।সেখানে নানা অনিয়মের পাশাপাশি লুটপাট হয়েছে মূল্যবান মালামাল।
জানা যায়, গতবছর থেকে সাবেক প্রকল্প পরিচালকের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। যারা সরিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকার জিনিসপত্র।
এর আগে, গত ২৩ আগস্ট একটি অডিও ছড়িয়ে পরে যেখানে শোনা যায়, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবেক পিডি আবুল কালাম আজাদ, প্রকৌশলী রায়হানকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পসকোর মালামাল ছেড়ে দিতে। যা অবৈধভাবে সরানো হচ্ছিল।
আর ৩১ আগস্ট এই প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশে, বার্জে করে ১৫ কোটি টাকার তামার ক্যাবল চুরির চেষ্টা চালায় চট্টগ্রামের আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইকবাল মেরিনস। যা আটক করে গোয়েন্দা সংস্থা ও নৌবাহিনী। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় পিডি ছাড়াও আসামি প্রধান প্রকৌশলী সাইফুল আলম ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা আলফাজ উদ্দিন।
গত বছর থেকেই সাবেক পিডির নেতৃত্বে মূল্যবান মালামাল লোপাটে সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।, কোন প্রকার ছাড়পত্র ছাড়াই ইকবাল মেরিনসের নামে সাগরপথে সরিয়ে নেয়া হয় ক্যাবল।
গেইটম্যান আলফাজ উদ্দিন ও মিজানুল ইসলাম অভিযোগ করে জানায়, অনুমোদনহীন মালামাল আটকানো হলে পিডি এবং প্রধান প্রকৌশলী সেগুলো ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিতেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক পিডির একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানায়, খতিয়ে দেখা হচ্ছে প্রকল্পের সব অনিয়ম।
সবশেষ গেল ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে প্রকল্পের সীমানার ভেতরে মেলে মোহাম্মদ আরমান নামে এক স্ক্র্যাব ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় । ধারণা করা হয় প্রকল্পের মালামাল চুরিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতে তিনি খুন হন ব।