ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের দল গঠনের বিষয়টি গুজব: আসিফ মাহমুদ

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টিকে নিতান্তই গুজব।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের বিষয়ে যে রিউমার বা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, অনেকেই শুনতে চাচ্ছে আমাদের থেকে। এটা আমরা এর আগেও স্পষ্টভাবে বলেছি, এখনই কোনো রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন, কারোরই ক্ষমতার অভিলাষ নেই। সবারই পেশাগত জীবন আছে, সবাই সেখানে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়েছে, সেটি যথাযথভাবে পালন করে মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের লক্ষ্য।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘যে সংস্কারের কথা আমরা বলছি, সেটা ছিল এক দফারই অংশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে; কিন্তু এক দফার যে মূল অংশ, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ—সেই ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশকীয় সেগুলো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এটা জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে। জনগণ নির্বাচনের জন্য কিংবা ক্ষমতার পালাবদলের জন্য অভ্যুত্থানের জন্য আসেনি। যদি আসতো সেটা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসত বলে আমি মনে করি। এই অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবেই ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপের জন্য।’

সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি যে ব্যবস্থাটা বিদ্যমান আছে, এটা সংস্কার না করে দিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমরা মনে করি সরকারই ক্ষমতায় আসুক, যেকোনো রাজনৈতিক সরকার এই অটোক্রেটিক একটা সিস্টেমের মধ্যে সে নিজেও অটোক্রেটিক হয়ে উঠতে বাধ্য হবে। সে কারণে আমরা মনে করি—এই সংস্কার অত্যাবশকীয়। দেশের জনগণ যেভাবে দেশকে গড়তে চাইবে, দেশ পুনর্গঠনের যে প্রস্তাবনা দেশের মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসবে, সেটার বাস্তবায়ন করাটাই আমাদের দায়িত্ব হবে।’

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আবদুর রহিম খান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের দল গঠনের বিষয়টি গুজব: আসিফ মাহমুদ

আপডেট সময় ০৬:১৫:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টিকে নিতান্তই গুজব।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহীতে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের বিষয়ে যে রিউমার বা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, অনেকেই শুনতে চাচ্ছে আমাদের থেকে। এটা আমরা এর আগেও স্পষ্টভাবে বলেছি, এখনই কোনো রাজনৈতিক দল খোলার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। এই অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন, কারোরই ক্ষমতার অভিলাষ নেই। সবারই পেশাগত জীবন আছে, সবাই সেখানে ফিরে যেতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়েছে, সেটি যথাযথভাবে পালন করে মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে একটা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমাদের লক্ষ্য।’

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘যে সংস্কারের কথা আমরা বলছি, সেটা ছিল এক দফারই অংশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে; কিন্তু এক দফার যে মূল অংশ, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ—সেই ব্যবস্থার বিলোপের জন্য যে সংস্কারগুলো অত্যাবশকীয় সেগুলো করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এটা জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতেই হয়েছে। জনগণ নির্বাচনের জন্য কিংবা ক্ষমতার পালাবদলের জন্য অভ্যুত্থানের জন্য আসেনি। যদি আসতো সেটা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই আসত বলে আমি মনে করি। এই অভ্যুত্থান হয়েছে স্পষ্টভাবেই ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপের জন্য।’

সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি যে ব্যবস্থাটা বিদ্যমান আছে, এটা সংস্কার না করে দিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমরা মনে করি সরকারই ক্ষমতায় আসুক, যেকোনো রাজনৈতিক সরকার এই অটোক্রেটিক একটা সিস্টেমের মধ্যে সে নিজেও অটোক্রেটিক হয়ে উঠতে বাধ্য হবে। সে কারণে আমরা মনে করি—এই সংস্কার অত্যাবশকীয়। দেশের জনগণ যেভাবে দেশকে গড়তে চাইবে, দেশ পুনর্গঠনের যে প্রস্তাবনা দেশের মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসবে, সেটার বাস্তবায়ন করাটাই আমাদের দায়িত্ব হবে।’

এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক আবদুর রহিম খান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।