বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কার শুরু করেছে। এ সংস্কারে যেন শ্রমজীবী মানুষদেরকে বাদ দেওয়া না হয়। শ্রম আইনে অনেক ত্রুটি রয়েছে। সেই ত্রুটি সংশোধন করে শ্রমিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আল্লামা ফকির আব্দুর রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বগুড়া জেলা পূর্ব শাখার সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল হুদার সভাপতি ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
প্রধান আলোচক বলেন, শ্রমিকরা না বাঁচলে, বাঁচবে না দেশ। শ্রমিকদের ঠোকিয়ে কোনো শিল্প এগোতে পারেনা। কিন্তু বাস্তবতা বেশির ভাগ খাতের শ্রমিকেরা চরমভাবে বঞ্চিত। দিনরাত পরিশ্রম করেও অনেকে পরিবার–পরিজন নিয়ে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছেন না। তাই শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার করার লক্ষে তাদের তালিকা করে রেশন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন বগুড়া জেলা পূর্ব শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ- সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল মতিন, অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন,
আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পূর্ব শাখার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন, বগুড়া অঞ্চল টিমের সদস্য ও শেরপুর শাহ বন্দিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, শাজাহানপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা মাওলানা শহিদুল ইসলাম, বগুড়া জেলা পূর্ব শাখার সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, অর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, অফিস সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, নির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম, ডা. নুরুল আমিন, তারেকুল ইসলাম তারেক সহ সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও ট্রেড ইউনিয়নে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন শ্রমিকদের পাশে সব সময় ছিলো এখনো আছে। যারা শ্রমিকদের টার্মিনাল দখল ও চাঁদাবাজি করে, শ্রমিক ফেডারেশন সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার শ্রমিকের প্রায় ৯৫% শ্রমিক তার কর্ম ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য রোধ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।