ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অবশেষে ক্ষমা চাইলেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী Logo খামেনিকে ভয়ংকর মৃত্যু থেকে বাঁচালাম, ধন্যবাদ টুকুও জানাল না: ট্রাম্প Logo নবী (সা.) ও সাহাবিদের নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে আইনজীবী গ্রেফতার Logo জুলাই পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ: পরিবর্তন কতটুকু? Logo আগামী সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প Logo প্রধান উপদেষ্টার জন্মদিনে কেক ও ফুল পাঠালেন তারেক রহমান Logo আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচাইতে ভালো নির্বাচন: প্রেস সচিব Logo ‘জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি’ Logo মুন্সীগঞ্জে গোলাপ জলে গোসল করে নেতা- “আর আওয়ামীলীগ করবো না” Logo প্রেসিডেন্ট হওয়া সবচেয়ে বিপজ্জনক কাজ: ডোনাল্ড ট্রাম্প

জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন জি এম কাদের

জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, “২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছিলেন, ‘সবাই অংশ না নিলে আমরা নির্বাচনে যাব না।’ চিকিৎসার নামে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আটক করা হয়েছিল। আমি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলাম।

নির্বাচনের সময় আমি নিজে মন্ত্রী ছিলাম। আমাদের নেতার নির্দেশে আমরা ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭০ জন নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। আমি নিজেও নির্বাচন বর্জন করেছি, ২০১৪ সালের সংসদে আমি ছিলাম না।” তিনি বলেন, “পরবর্তীতে আমাকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আমি রাজি হইনি।

কারণ, পল্লীবন্ধু এরশাদের নির্দেশে আমি সবাইকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছিলাম, আমার কথায় ২৭০ জন নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। ২০১৪ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচন না করলেও উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির অনেক নেতা আমাকে বলেছেন, ‘কাদের সাহেব, আপনি তো ঘরকাও না ঘাটকাও না।’ ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।

আমরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সঠিকভাবে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সরকারের সমালোচনা করার কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আমাকে হঠাৎ উপনেতা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।” তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মতো সরকারের সমালোচনা অনেকেই করেনি। তখন একটি কথার জন্য একটি মানুষ গুম হয়ে যেত, কিন্তু আমরা সরকারের সমালোচনা করেছি।

২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের দলের মাঝে সরকারই বিভাজন সৃষ্টি করে রেখেছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। আমাদের ব্ল্যাকমেইল করে, জোর করে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছিলাম নির্বাচন সঠিক হবে না। নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরে প্রতিদিনই আমরা বলেছি, নির্বাচন সঠিক হয়নি।’
জি এম কাদের বলেন, ‘২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি সমর্থন দিয়েছে। ১ জুলাই আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমি ৩ জুলাই সংসদে বক্তৃতায় বলেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌক্তিক। আমার নির্দেশে জাতীয় ছাত্রসমাজ সক্রিয়ভাবে রাজপথে ছিল। রংপুরে আমাদের একটি ছেলে শহীদ হয়েছেন। রংপুরে আমাদের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন। ছাত্রদের সহায়তা করতে আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলাম। জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয়ভাবে যৌথসভা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছি, আটক ৬ সমন্বয়কের মুক্তি দাবি করেছি। আমরা সব সময় বলেছি ছাত্রদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন অন্যায় এবং সংবিধানবিরোধী। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশে বৈষম্য হচ্ছে। এ দেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। সর্বশেষ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছি, মুক্তি পাইনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের জনগণ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করবে আমরা তা আগে থেকেই বলেছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আমাদের মুক্তি দিয়েছে।

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী

জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন জি এম কাদের

আপডেট সময় ০৯:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, “২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছিলেন, ‘সবাই অংশ না নিলে আমরা নির্বাচনে যাব না।’ চিকিৎসার নামে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে আটক করা হয়েছিল। আমি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলাম।

নির্বাচনের সময় আমি নিজে মন্ত্রী ছিলাম। আমাদের নেতার নির্দেশে আমরা ৩০০ আসনের মধ্যে ২৭০ জন নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। আমি নিজেও নির্বাচন বর্জন করেছি, ২০১৪ সালের সংসদে আমি ছিলাম না।” তিনি বলেন, “পরবর্তীতে আমাকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, আমি রাজি হইনি।

কারণ, পল্লীবন্ধু এরশাদের নির্দেশে আমি সবাইকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছিলাম, আমার কথায় ২৭০ জন নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। ২০১৪ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচন না করলেও উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির অনেক নেতা আমাকে বলেছেন, ‘কাদের সাহেব, আপনি তো ঘরকাও না ঘাটকাও না।’ ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।

আমরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সঠিকভাবে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেছিলাম। সরকারের সমালোচনা করার কারণে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আমাকে হঠাৎ উপনেতা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।” তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মতো সরকারের সমালোচনা অনেকেই করেনি। তখন একটি কথার জন্য একটি মানুষ গুম হয়ে যেত, কিন্তু আমরা সরকারের সমালোচনা করেছি।

২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের দলের মাঝে সরকারই বিভাজন সৃষ্টি করে রেখেছিল। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। আমাদের ব্ল্যাকমেইল করে, জোর করে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছিলাম নির্বাচন সঠিক হবে না। নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরে প্রতিদিনই আমরা বলেছি, নির্বাচন সঠিক হয়নি।’
জি এম কাদের বলেন, ‘২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শুরু থেকেই জাতীয় পার্টি সমর্থন দিয়েছে। ১ জুলাই আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমি ৩ জুলাই সংসদে বক্তৃতায় বলেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌক্তিক। আমার নির্দেশে জাতীয় ছাত্রসমাজ সক্রিয়ভাবে রাজপথে ছিল। রংপুরে আমাদের একটি ছেলে শহীদ হয়েছেন। রংপুরে আমাদের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন। ছাত্রদের সহায়তা করতে আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলাম। জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয়ভাবে যৌথসভা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছি, আটক ৬ সমন্বয়কের মুক্তি দাবি করেছি। আমরা সব সময় বলেছি ছাত্রদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন অন্যায় এবং সংবিধানবিরোধী। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশে বৈষম্য হচ্ছে। এ দেশের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। সর্বশেষ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীন একটি দেশ পেয়েছি, মুক্তি পাইনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের জনগণ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করবে আমরা তা আগে থেকেই বলেছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আমাদের মুক্তি দিয়েছে।