ঢাকা ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যারা সুবিধাভোগী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

মুক্তিযুদ্ধ না করেও যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বেও রয়েছেন। এর আগে উপদেষ্টা বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

উপদেষ্টা বলেন, বিগত আন্দোলনে একটা প্রধান বক্তব্য ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা। সরকারি এবং আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কতজনের চাকরি (মুক্তিযোদ্ধা কোটায়) হয়েছে, এর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর আশা করি আমরা আপনাদের সামনে হাজির হবো। পুরো বিষয়টি জানাবো।

তিনি বলেন, যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, ন্যায্যভাবে হয়েছে কি না- বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।

‘এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে। সেখানে বহুবিধ মামলা রয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৭০০’র মতো মামলা পেন্ডিং আছে, রিট করা আছে- সেই মামলাগুলো অ্যাড্রেস করা হবে।’

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার মাঝখানে একটা প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় রয়েছে, সেটা হচ্ছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। কারা মুক্তিযোদ্ধা হবে না হবে সেটা জামুকা নির্ধারণ করে দিতো। মন্ত্রণালয় শুধু তাদের নির্ধারিত হওয়া বিষয়টি বাস্তবায়নে যেত। এটার আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফারুক-ই-আজম আরও বলেন, বহু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার ক্ষেত্রেও আপত্তি আছে। এসব বিষয়ে আমরা যখন একটা পর্যায়ে যাবো তখন আপনাদের ডেকে জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

মুক্তিযোদ্ধা রিভিউ হবে কি না- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই সবকিছু হবে, যেন ন্যায্যভাবে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানটা ফিরে পান। মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের জাতীয় জীবনে অনন্য ঘটনা। এটা তো আমরা হাসি-মশকরা দিয়ে কিংবা অবহেলা দিয়ে নষ্ট করতে পারি না। এর থেকে গৌরবোজ্জ্বল, এর থেকে ত্যাগের বীরত্বের মহিমা জাতির কাছে তো আর আসেনি। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা ওটাই ফিরে পেতে চান। এটাই তাদের ফিরে পাওয়ার আকুতি।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন নেবো না। এটা তো জাতির সঙ্গে প্রতারণা। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযুদ্ধের সুবিধা গ্রহণ করেন, এটা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা এ বিষয়টি নিয়ে অপমানিত বোধ করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যারা সুবিধাভোগী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আপডেট সময় ০৬:০৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধ না করেও যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বেও রয়েছেন। এর আগে উপদেষ্টা বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

উপদেষ্টা বলেন, বিগত আন্দোলনে একটা প্রধান বক্তব্য ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা। সরকারি এবং আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কতজনের চাকরি (মুক্তিযোদ্ধা কোটায়) হয়েছে, এর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর আশা করি আমরা আপনাদের সামনে হাজির হবো। পুরো বিষয়টি জানাবো।

তিনি বলেন, যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, ন্যায্যভাবে হয়েছে কি না- বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।

‘এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে। সেখানে বহুবিধ মামলা রয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৭০০’র মতো মামলা পেন্ডিং আছে, রিট করা আছে- সেই মামলাগুলো অ্যাড্রেস করা হবে।’

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার মাঝখানে একটা প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় রয়েছে, সেটা হচ্ছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। কারা মুক্তিযোদ্ধা হবে না হবে সেটা জামুকা নির্ধারণ করে দিতো। মন্ত্রণালয় শুধু তাদের নির্ধারিত হওয়া বিষয়টি বাস্তবায়নে যেত। এটার আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফারুক-ই-আজম আরও বলেন, বহু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার ক্ষেত্রেও আপত্তি আছে। এসব বিষয়ে আমরা যখন একটা পর্যায়ে যাবো তখন আপনাদের ডেকে জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

মুক্তিযোদ্ধা রিভিউ হবে কি না- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই সবকিছু হবে, যেন ন্যায্যভাবে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানটা ফিরে পান। মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের জাতীয় জীবনে অনন্য ঘটনা। এটা তো আমরা হাসি-মশকরা দিয়ে কিংবা অবহেলা দিয়ে নষ্ট করতে পারি না। এর থেকে গৌরবোজ্জ্বল, এর থেকে ত্যাগের বীরত্বের মহিমা জাতির কাছে তো আর আসেনি। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা ওটাই ফিরে পেতে চান। এটাই তাদের ফিরে পাওয়ার আকুতি।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন নেবো না। এটা তো জাতির সঙ্গে প্রতারণা। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযুদ্ধের সুবিধা গ্রহণ করেন, এটা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা এ বিষয়টি নিয়ে অপমানিত বোধ করছেন।