ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আ. লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন হলেই ‘শাহবাগ ব্লকেড’ প্রত্যাহার Logo মৌলভীবাজারে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্রজনতার পাশে শিবির Logo ১০০০ ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র Logo কেরানীগঞ্জে আওয়ামী নেতা ইকবাল ও ছাত্রলীগ নেতা ইয়ামিন গ্রেপ্তার Logo পাকিস্তান ৩০০-৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে: ভারত Logo কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রচার করছে’ Logo গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নোসক শিবিরের সহযোগিতা Logo এআই হ্যাকাথন ২০২৫: রুয়েটের ‘বুরাক’ টিমের চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন Logo আমিরাতে আইপিএলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, পিএসএল পেল অগ্রাধিকার

মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যারা সুবিধাভোগী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

মুক্তিযুদ্ধ না করেও যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বেও রয়েছেন। এর আগে উপদেষ্টা বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

উপদেষ্টা বলেন, বিগত আন্দোলনে একটা প্রধান বক্তব্য ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা। সরকারি এবং আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কতজনের চাকরি (মুক্তিযোদ্ধা কোটায়) হয়েছে, এর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর আশা করি আমরা আপনাদের সামনে হাজির হবো। পুরো বিষয়টি জানাবো।

তিনি বলেন, যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, ন্যায্যভাবে হয়েছে কি না- বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।

‘এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে। সেখানে বহুবিধ মামলা রয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৭০০’র মতো মামলা পেন্ডিং আছে, রিট করা আছে- সেই মামলাগুলো অ্যাড্রেস করা হবে।’

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার মাঝখানে একটা প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় রয়েছে, সেটা হচ্ছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। কারা মুক্তিযোদ্ধা হবে না হবে সেটা জামুকা নির্ধারণ করে দিতো। মন্ত্রণালয় শুধু তাদের নির্ধারিত হওয়া বিষয়টি বাস্তবায়নে যেত। এটার আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফারুক-ই-আজম আরও বলেন, বহু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার ক্ষেত্রেও আপত্তি আছে। এসব বিষয়ে আমরা যখন একটা পর্যায়ে যাবো তখন আপনাদের ডেকে জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

মুক্তিযোদ্ধা রিভিউ হবে কি না- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই সবকিছু হবে, যেন ন্যায্যভাবে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানটা ফিরে পান। মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের জাতীয় জীবনে অনন্য ঘটনা। এটা তো আমরা হাসি-মশকরা দিয়ে কিংবা অবহেলা দিয়ে নষ্ট করতে পারি না। এর থেকে গৌরবোজ্জ্বল, এর থেকে ত্যাগের বীরত্বের মহিমা জাতির কাছে তো আর আসেনি। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা ওটাই ফিরে পেতে চান। এটাই তাদের ফিরে পাওয়ার আকুতি।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন নেবো না। এটা তো জাতির সঙ্গে প্রতারণা। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযুদ্ধের সুবিধা গ্রহণ করেন, এটা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা এ বিষয়টি নিয়ে অপমানিত বোধ করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

আ. লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন হলেই ‘শাহবাগ ব্লকেড’ প্রত্যাহার

মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যারা সুবিধাভোগী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আপডেট সময় ০৬:০৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধ না করেও যারা মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বেও রয়েছেন। এর আগে উপদেষ্টা বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

উপদেষ্টা বলেন, বিগত আন্দোলনে একটা প্রধান বক্তব্য ছিল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা। সরকারি এবং আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কতজনের চাকরি (মুক্তিযোদ্ধা কোটায়) হয়েছে, এর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পর আশা করি আমরা আপনাদের সামনে হাজির হবো। পুরো বিষয়টি জানাবো।

তিনি বলেন, যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি হয়েছে তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না, ন্যায্যভাবে হয়েছে কি না- বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।

‘এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে। সেখানে বহুবিধ মামলা রয়েছে। সেখানে তিন হাজার ৭০০’র মতো মামলা পেন্ডিং আছে, রিট করা আছে- সেই মামলাগুলো অ্যাড্রেস করা হবে।’

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ হওয়ার মাঝখানে একটা প্রাতিষ্ঠানিক বিষয় রয়েছে, সেটা হচ্ছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা। কারা মুক্তিযোদ্ধা হবে না হবে সেটা জামুকা নির্ধারণ করে দিতো। মন্ত্রণালয় শুধু তাদের নির্ধারিত হওয়া বিষয়টি বাস্তবায়নে যেত। এটার আইনগত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফারুক-ই-আজম আরও বলেন, বহু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার ক্ষেত্রেও আপত্তি আছে। এসব বিষয়ে আমরা যখন একটা পর্যায়ে যাবো তখন আপনাদের ডেকে জাতিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

মুক্তিযোদ্ধা রিভিউ হবে কি না- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই সবকিছু হবে, যেন ন্যায্যভাবে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানটা ফিরে পান। মুক্তিযুদ্ধ তো আমাদের জাতীয় জীবনে অনন্য ঘটনা। এটা তো আমরা হাসি-মশকরা দিয়ে কিংবা অবহেলা দিয়ে নষ্ট করতে পারি না। এর থেকে গৌরবোজ্জ্বল, এর থেকে ত্যাগের বীরত্বের মহিমা জাতির কাছে তো আর আসেনি। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা ওটাই ফিরে পেতে চান। এটাই তাদের ফিরে পাওয়ার আকুতি।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেন নেবো না। এটা তো জাতির সঙ্গে প্রতারণা। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযুদ্ধের সুবিধা গ্রহণ করেন, এটা তো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যারা সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা তারা এ বিষয়টি নিয়ে অপমানিত বোধ করছেন।