ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ ফুটবলে সালাউদ্দিন অধ্যায়ের সমাপ্তি

বাংলাদেশ ফুটবলে সালাউদ্দিন অধ্যায়ের সমাপ্তি

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে আছেন কাজী সালাউদ্দিন। অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে তার অধ্যায়। আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন না সাবেক এই ফুটবলার। সালাউদ্দিন নিজেই জানিয়েছেন এমন সিদ্ধান্ত।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে এসে আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করার ঘোষণা দেন সালাউদ্দিন। কার্যত এখানেই শেষ চার মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সালাউদ্দিনের বাফুফে অধ্যায়। আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফের পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা।

আজ বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি চার মেয়াদে দায়িত্বে ছিলাম। সেজন্য নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, যে এমন সুযোগ আমার জীবনে এসেছে।এখন বাফুফের যে নির্বাচন আসছে, আমি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবো না। এটা আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটা জানানোর জন্য এসেছি।’

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ফুটবল–সমর্থকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস’ সালাহউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি তোলে। সংগঠনটি দুই দফায় বাফুফের সামনে গিয়ে বিক্ষোভও করেছে। এরপর সংগঠনটি সালাহউদ্দিনকে পদত্যাগের আলটিমেটামও দেয়।

তবে সেই আলটিমেটামকে গুরুত্ব না দিয়ে গত ১৩ আগস্ট সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, তিনি পদত্যাগ করবেনই না। সামনে আবারও বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন। সেই ঘোষণার এক মাস পর নিজের অবস্থান বদলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানালেন সাবেক এই ফুটবলার।

সব মিলিয়ে চার মেয়াদে বাফুফের সভাপতি ছিলেন সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালে আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে প্রথমবার বাফুফে সভাপতি হন সালাহউদ্দিন। এরপর পর্যায়ক্রমে ২০১২, ২০১৬ এবং ২০২০ সালেও বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ কর্তার পদে আসীন হন কীর্তিমান এই ফুটবলার।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ ফুটবলে সালাউদ্দিন অধ্যায়ের সমাপ্তি

আপডেট সময় ০৭:১৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে আছেন কাজী সালাউদ্দিন। অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে তার অধ্যায়। আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন না সাবেক এই ফুটবলার। সালাউদ্দিন নিজেই জানিয়েছেন এমন সিদ্ধান্ত।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে এসে আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করার ঘোষণা দেন সালাউদ্দিন। কার্যত এখানেই শেষ চার মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সালাউদ্দিনের বাফুফে অধ্যায়। আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফের পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা।

আজ বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি চার মেয়াদে দায়িত্বে ছিলাম। সেজন্য নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, যে এমন সুযোগ আমার জীবনে এসেছে।এখন বাফুফের যে নির্বাচন আসছে, আমি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবো না। এটা আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটা জানানোর জন্য এসেছি।’

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ফুটবল–সমর্থকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস’ সালাহউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি তোলে। সংগঠনটি দুই দফায় বাফুফের সামনে গিয়ে বিক্ষোভও করেছে। এরপর সংগঠনটি সালাহউদ্দিনকে পদত্যাগের আলটিমেটামও দেয়।

তবে সেই আলটিমেটামকে গুরুত্ব না দিয়ে গত ১৩ আগস্ট সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, তিনি পদত্যাগ করবেনই না। সামনে আবারও বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন। সেই ঘোষণার এক মাস পর নিজের অবস্থান বদলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানালেন সাবেক এই ফুটবলার।

সব মিলিয়ে চার মেয়াদে বাফুফের সভাপতি ছিলেন সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালে আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে প্রথমবার বাফুফে সভাপতি হন সালাহউদ্দিন। এরপর পর্যায়ক্রমে ২০১২, ২০১৬ এবং ২০২০ সালেও বাংলাদেশ ফুটবলের সর্বোচ্চ কর্তার পদে আসীন হন কীর্তিমান এই ফুটবলার।