ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিরাজগঞ্জ  ১০০ প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার ও ১০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ Logo বিনা সুদে লাখ টাকা ঋণের নামে সমাবেশের হোতা মোস্তফা আটক Logo প্রথম আলো অফিসের সামনে আবারও আন্দোলনকারীদের অবস্থান Logo যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন Logo শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে মোল্লা কলেজের ৩ জন নিহত Logo ডেমরা-যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ Logo আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অ্যাকশনে গেলে আরও রক্তপাত হতো: আসিফ Logo ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে: হাইকোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা Logo বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের Logo মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার

ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, ৮ জেলায় বন্যার শঙ্কা

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 128

ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, ৮ জেলায় বন্যার শঙ্কা

গত মাসে ভয়াবহ বন্যার ক্ষত না শুকাতেই ফের বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে আগামী সপ্তাহে দেশের আট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে, আগামী ৩ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে আগামী ৩ দিন বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর বর্ষার শুরুতে জুনের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যার কবলে পড়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ দুর্ভোগে কাটে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের। পরের মাসেও (জুলাই) উজানের ঢলে প্লাবিত হয় দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের অনেক গ্রাম। কিন্তু বন্যার ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আগস্ট মাসে। অতি ভারী বৃষ্টির মধ্যে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলে গত ২০ আগস্ট থেকে দেশের ১১ জেলায় (নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার) বন্যায় তলিয়ে যায়।

হঠাৎ এমন বন্যায় ভেসে যায় ঘরবাড়ি, স্কুল, গ্রাম, মাছের ঘের, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এতে ৭১ জন মারা যান।

জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জ  ১০০ প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার ও ১০০ শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুলব্যাগসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, ৮ জেলায় বন্যার শঙ্কা

আপডেট সময় ০৯:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত মাসে ভয়াবহ বন্যার ক্ষত না শুকাতেই ফের বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে আগামী সপ্তাহে দেশের আট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে, আগামী ৩ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে আগামী ৩ দিন বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

উল্লেখ্য, চলতি বছর বর্ষার শুরুতে জুনের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যার কবলে পড়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ দুর্ভোগে কাটে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের। পরের মাসেও (জুলাই) উজানের ঢলে প্লাবিত হয় দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের অনেক গ্রাম। কিন্তু বন্যার ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আগস্ট মাসে। অতি ভারী বৃষ্টির মধ্যে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলে গত ২০ আগস্ট থেকে দেশের ১১ জেলায় (নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার) বন্যায় তলিয়ে যায়।

হঠাৎ এমন বন্যায় ভেসে যায় ঘরবাড়ি, স্কুল, গ্রাম, মাছের ঘের, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। এতে ৭১ জন মারা যান।