ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজ জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ, রাজধানীতে নেতাকর্মীদের ঢল Logo আইনশৃঙ্খলার অবনতি, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo টিভিতে আজকের খেলা Logo ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন Logo এ মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন Logo মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভা: “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে” Logo সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সেক্রেটারি শোয়াইব Logo পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন Logo ‘যতদিন বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে জুলাই যোদ্ধাদের নাম’ Logo গোপালগঞ্জকে ৪ জেলায় ভাগ করে দিয়ে ৬৩ জেলার বাংলাদেশ করা হোক- আমির হামজা

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 187

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পুলিশের এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান।

চার দিনের রিমান্ডে থাকা এ দুই আসামির শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রিমান্ড থাকা অবস্থায় একদিন আগে স্বীকারোক্তি শেষে আসামি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আদালতের পরিদর্শক পৃথীশ কুমার সরকার।

পৃথীশ কুমার সরকার বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আজ রিমান্ড শেষের একদিন আগে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনেছি একজন অসুস্থ। এর বেশি কিছু জানি না।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যায় এ দুই আসামি সরাসরি সম্পৃক্ত। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে কারাগারে পাঠানো আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ, রাজধানীতে নেতাকর্মীদের ঢল

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পুলিশের এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান।

চার দিনের রিমান্ডে থাকা এ দুই আসামির শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রিমান্ড থাকা অবস্থায় একদিন আগে স্বীকারোক্তি শেষে আসামি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আদালতের পরিদর্শক পৃথীশ কুমার সরকার।

পৃথীশ কুমার সরকার বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আজ রিমান্ড শেষের একদিন আগে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনেছি একজন অসুস্থ। এর বেশি কিছু জানি না।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যায় এ দুই আসামি সরাসরি সম্পৃক্ত। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে কারাগারে পাঠানো আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।