ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 110

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পুলিশের এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান।

চার দিনের রিমান্ডে থাকা এ দুই আসামির শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রিমান্ড থাকা অবস্থায় একদিন আগে স্বীকারোক্তি শেষে আসামি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আদালতের পরিদর্শক পৃথীশ কুমার সরকার।

পৃথীশ কুমার সরকার বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আজ রিমান্ড শেষের একদিন আগে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনেছি একজন অসুস্থ। এর বেশি কিছু জানি না।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যায় এ দুই আসামি সরাসরি সম্পৃক্ত। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে কারাগারে পাঠানো আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পুলিশের এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান।

চার দিনের রিমান্ডে থাকা এ দুই আসামির শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রিমান্ড থাকা অবস্থায় একদিন আগে স্বীকারোক্তি শেষে আসামি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আদালতের পরিদর্শক পৃথীশ কুমার সরকার।

পৃথীশ কুমার সরকার বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আজ রিমান্ড শেষের একদিন আগে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনেছি একজন অসুস্থ। এর বেশি কিছু জানি না।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যায় এ দুই আসামি সরাসরি সম্পৃক্ত। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে কারাগারে পাঠানো আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।