ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo খালেদা জিয়াকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন Logo বিএনপি নেতার অনুসারীদের হামলায় আহত যুবদল নেতা Logo রাকসুর ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন: পর্যবেক্ষণ দল Logo জুলাই আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিলো না: আসিফ মাহমুদ Logo শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও নৈতিকতা বিকাশে আলিয়া মাদ্রাসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: ড. হেদায়াত উল্লাহ Logo চাকসু নির্বাচনের পর পদ হারালেন চবি ছাত্রদলের ৪ নেতা Logo দ্বীন প্রতিষ্ঠায় নারীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে: জামায়াত আমির Logo বিএনপি ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী: সালাউদ্দিন আহমদ Logo ‘সেলিম ভূঁইয়াকে অব্যাহতি না দিলে নির্বাচনে ৬ লাখ শিক্ষক পরিবার বিএনপিকে জবাব দেবে’ Logo চার ঘন্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রাম ইপিজেডে লাগা আগুন

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 278

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পুলিশের এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান।

চার দিনের রিমান্ডে থাকা এ দুই আসামির শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রিমান্ড থাকা অবস্থায় একদিন আগে স্বীকারোক্তি শেষে আসামি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আদালতের পরিদর্শক পৃথীশ কুমার সরকার।

পৃথীশ কুমার সরকার বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আজ রিমান্ড শেষের একদিন আগে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনেছি একজন অসুস্থ। এর বেশি কিছু জানি না।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যায় এ দুই আসামি সরাসরি সম্পৃক্ত। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে কারাগারে পাঠানো আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়াকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন

আবু সাঈদ হত্যা: রিমান্ড শেষে ২ আসামি কারাগারে

আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি পুলিশের এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান।

চার দিনের রিমান্ডে থাকা এ দুই আসামির শারীরিক অসুস্থতার কারণে একদিন আগে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। রিমান্ড থাকা অবস্থায় একদিন আগে স্বীকারোক্তি শেষে আসামি দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর আদালতের পরিদর্শক পৃথীশ কুমার সরকার।

পৃথীশ কুমার সরকার বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা মামলার এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আজ রিমান্ড শেষের একদিন আগে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুনেছি একজন অসুস্থ। এর বেশি কিছু জানি না।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান বলেন, আবু সাঈদ হত্যায় এ দুই আসামি সরাসরি সম্পৃক্ত। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে কারাগারে পাঠানো আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।