ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মোটরসাইকেল জব্দ করায় থানায় হামলা, ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রদল Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মৌলভীবাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ Logo জুমার পর সবাইকে আন্দোলন মঞ্চে আসার ডাক হাসনাত আবদুল্লাহর Logo ‘৯ মাসেও গণহত্যাকারী দল নিষিদ্ধ হলো না কেন’প্রশ্ন সাদিক কায়েমর Logo যমুনার সামনে রাতে শিবির মাঠে নামায় পাল্টে যায় দৃশ্যপট Logo সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে Logo স্ক্রিনশট স্ক্যান করেই লোকেশন খুঁজে দেবে গুগল ম্যাপ Logo ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’:যুক্তরাষ্ট্র Logo নারায়ণগঞ্জ সাবেক মেয়র আইভী গ্রেপ্তার

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি যাচাই-বাছাই করছে অন্তর্বর্তী সরকার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 110

আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তিটি যাচাই-বাছাই করছে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১৭ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে তাদের ঝাড়খন্ড ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি করে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তির শর্তাবলি এবং বিদ্যুতের জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ন্যায্য কি না সেটি মূলত খতিয়ে দেখতে চায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তর্বর্তী সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, আদানি গ্রুপের মতো ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে করা চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হবে। তাদের সঙ্গে কী ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে? কী শর্তাবলি দেওয়া হয়েছে? দেশের আইন না মেনে বিদেশি কোম্পানি থাকতে পারে না।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাই সেসব তদন্ত হবে; এটি ভারতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করা হবে না। তারা এখানে (বাংলাদেশ) যা যা করছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এজন্য বাংলাদেশকে কত মূল্য দিতে হচ্ছে, সেটা কি ন্যায়সঙ্গত? এসব প্রশ্ন উঠে আসবে।

২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ঝাড়খণ্ড ইউনিটের (এপিজেএল) সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২৫ বছরের জন্য ১৪৯৬ মেগাওয়াট (নেট) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় এজেপিএলের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত শতভাগ বিদ্যুৎ কিনে নেবে বাংলাদেশ। সম্পূর্ণ আমদানি করা কয়লায় পরিচালিত এই ইউনিটকে ২০১৯ সালের মার্চ ভারত সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।

২০২৩ সালের এপ্রিল-জুনে গোড্ডা প্ল্যান্ট সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের বেস লোডের ৭ থেকে ১০ শতাংশ সরবরাহ করে।

যোগাযোগ করা হলে আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাদের চুক্তিটি পর্যালোচনা করছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। সত্যিকারের অংশীদারিত্বের মূল্যবোধ থেকে তাদের কাছে বিপুল পাওনা থাকা সত্ত্বেও আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের কাছে আমাদের পাওনা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ, এটি আমাদের কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।

টাকার অঙ্ক হিসাব করলে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ রফতানি করে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থমূল্যের ব্যবসা করেছে ভারত। যা ভারত থেকে বাংলাদেশে মোট রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

মোটরসাইকেল জব্দ করায় থানায় হামলা, ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি যাচাই-বাছাই করছে অন্তর্বর্তী সরকার

আপডেট সময় ০৪:৪৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তিটি যাচাই-বাছাই করছে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ২০১৭ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে তাদের ঝাড়খন্ড ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি করে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তির শর্তাবলি এবং বিদ্যুতের জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ন্যায্য কি না সেটি মূলত খতিয়ে দেখতে চায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তর্বর্তী সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, আদানি গ্রুপের মতো ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে করা চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হবে। তাদের সঙ্গে কী ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে? কী শর্তাবলি দেওয়া হয়েছে? দেশের আইন না মেনে বিদেশি কোম্পানি থাকতে পারে না।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাই সেসব তদন্ত হবে; এটি ভারতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করা হবে না। তারা এখানে (বাংলাদেশ) যা যা করছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এজন্য বাংলাদেশকে কত মূল্য দিতে হচ্ছে, সেটা কি ন্যায়সঙ্গত? এসব প্রশ্ন উঠে আসবে।

২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ঝাড়খণ্ড ইউনিটের (এপিজেএল) সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২৫ বছরের জন্য ১৪৯৬ মেগাওয়াট (নেট) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় এজেপিএলের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত শতভাগ বিদ্যুৎ কিনে নেবে বাংলাদেশ। সম্পূর্ণ আমদানি করা কয়লায় পরিচালিত এই ইউনিটকে ২০১৯ সালের মার্চ ভারত সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।

২০২৩ সালের এপ্রিল-জুনে গোড্ডা প্ল্যান্ট সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের বেস লোডের ৭ থেকে ১০ শতাংশ সরবরাহ করে।

যোগাযোগ করা হলে আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাদের চুক্তিটি পর্যালোচনা করছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। সত্যিকারের অংশীদারিত্বের মূল্যবোধ থেকে তাদের কাছে বিপুল পাওনা থাকা সত্ত্বেও আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের কাছে আমাদের পাওনা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ, এটি আমাদের কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।

টাকার অঙ্ক হিসাব করলে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ রফতানি করে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থমূল্যের ব্যবসা করেছে ভারত। যা ভারত থেকে বাংলাদেশে মোট রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ।