ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মানারত ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন Logo ছয় গাড়ির সাথে সংঘর্ষ, পুলিশ সদস্যসহ নিহত ২ Logo ইসরায়েলের আরেক শহরে ইরানের ভয়াবহ হামলা, শতাধিক হতাহত Logo চাঁদাবাজির প্রতিবাদে তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থীকে মারধর, অভিযুক্ত স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা Logo ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলার হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর Logo গণসংযোগে বাধা, হামলায় আহত ৫ জামায়াত নেতাকর্মী Logo ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম ঐক্যের আহ্বান পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর Logo গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা Logo ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে: দুদু Logo হজ করতে এসে আটকে পড়া ইরানিদের সব ধরনের সহায়তা দেবে সৌদি আরব

ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ যাওয়ার বায়না ৩২ কর্মকর্তার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 6643

ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ যেতে চান সরকারের ৩২ কর্মকর্তা। চলমান একটি প্রকল্পের আওতায় এ খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রত্যেক কর্মকর্তা খরচ বাবদ পাবেন ১০ লাখ টাকা। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা।

গত চার বছরে এ খাতে অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় বিদেশ সফর হয়নি। নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে এক বছর। বর্ধিত ডিপিপিতেও (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ ভ্রমণে অর্থব্যয় করতে চান না সরকার সংশ্লিষ্টরা।

দেশে গবাদি পশুর জন্য পুষ্টিকর ঘাস উৎপাদনের জন্য ‘প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১১৭ কেটি ৪৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ছে এক বছর। বাড়তি সময়ের মধ্যে হলেও বিদেশ ভ্রমণে যেতে চান কর্মকর্তারা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে তারা।

মেয়াদ বাড়ছে এক বছর
৩২ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক আমজাদ হোসেন ভুইয়া বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ চলমান। বর্তমানে অগ্রগতি প্রায় ১৭ শতাংশ। আমরা বরাদ্দ ঠিকমতো পাইনি। তাই অগ্রগতি ভালো হয়নি। ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি, এজন্য এক বছর মেয়াদ বাড়ছে।’

প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পে ৩২ কর্মকর্তা উন্নত দেশে ভ্রমণ করবেন, যেখানে ঘাসের চাষ ভালো হয়। দেশগুলো নিউজিল্যান্ড হতে পারে, ভিয়েতনাম হতে পারে আবার অন্য দেশও হতে পারে।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ৩১ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের প্রায় ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পের জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ না পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অগ্রগতি হয়নি এবং ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে প্রকল্পের নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই ব্যয় ব্যতিরেকে মেয়াদ ডিসেম্বর ২০২৫ নাগাদ বাড়ছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য
প্রকল্পটি খামারি পর্যায়ে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী খামারিদের মধ্যে কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি সাইলেজ সম্প্রসারণ করার সংস্থান রয়েছে। এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান থাকলে খামারিদের মধ্যে উন্নত জাতের কাঁচা ঘাস চায় এবং সাইলেজ প্রযুক্তি জনপ্রিয় হবে। গবাদিপশুকে পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ কাঁচা ঘাস সরবরাহ বাড়বে এবং গো-খাদ্যের আমদানিনির্ভরতা কমবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, নেপিয়ার ঘাসের চার-পাঁচটি জার্মপ্লাজম দেশে আনা হবে। এগুলো কীভাবে প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন কর্মকর্তারা। কীভাবে সারাদেশের খামারি পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া যায়, ল্যাবরেটরিতে জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে তিনটি দেশে কর্মকর্তারা যাবেন। দুধ উৎপাদন বাড়ানো ও খামারিদের লাভবান করতেই এমন উদ্যোগ। খাদ্যের মধ্যে কাঁচা ঘাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধ উৎপাদন বাড়াতে কাঁচা ঘাসের কোনো বিকল্প নেই। কাঁচা ঘাস সহজপ্রাপ্য হলে গাভি পালনও সহজতর হবে। তাই আধুনিক পদ্ধতিতে ঘাস চাষ করতে হবে। সেজন্য দরকার ব্যাপকভাবে উচ্চ উৎপাদশীল ঘাস চাষ।

খামারি পর্যায়ে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করার মাধ্যমে গবাদি পশুর পুষ্টির উন্নয়ন করা প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় খামার পর্যায়ে প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ও দুর্যোগকালীন গো-খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সাইলেজ প্রযুক্তি গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ।

এছাড়া সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে স্থায়ী জার্মপ্লাজম নার্সারি স্থাপন করাসহ ৮ হাজার ৯৭০টি উচ্চ উৎপাদনশীল উন্নত জাতের স্থায়ী বা অস্থায়ী ঘাসের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হবে। সম্প্রসারণ করা হবে বিদেশ থেমে আমদানি করা নেপিয়ার-১ জার্মপ্লাজম। বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁচা ঘাস সংরক্ষণের জন্য ১৭ হাজার ৯৪০টি খামারে লাগসই প্রযুক্তি (সাইলেজসহ) হস্তান্তর করাসহ অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ ঘাসের বীজ বিতরণ, ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স খাদ্য এবং কৃমিনাশক বিতরণ, কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট নির্বাচন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

ঘাস চাষ শেখার বিষয়ে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মো. ছায়েদুজ্জামান বলেন, ‘এখন বিদেশ ভ্রমণের সময় নয়, দেশের জন্য কাজ করার সময়। কোনো অনুমোদিত প্রকল্পে যদি ঘাস চাষের কোনো বিষয় থাকে সেটা বাদ দেওয়া হবে। বিদেশ ভ্রমণের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। এটা আমাদের হাতে এলে কেটে বাদ দেবো। এখন প্রকল্পের আওতায় কেউ বিদেশ যেতে পারবে না সাফ কথা।’

সূত্র- জাগো নিউজ

ট্যাগস :

মানারত ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন

ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ যাওয়ার বায়না ৩২ কর্মকর্তার

আপডেট সময় ১২:৪৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ যেতে চান সরকারের ৩২ কর্মকর্তা। চলমান একটি প্রকল্পের আওতায় এ খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রত্যেক কর্মকর্তা খরচ বাবদ পাবেন ১০ লাখ টাকা। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা।

গত চার বছরে এ খাতে অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় বিদেশ সফর হয়নি। নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে এক বছর। বর্ধিত ডিপিপিতেও (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ ভ্রমণে অর্থব্যয় করতে চান না সরকার সংশ্লিষ্টরা।

দেশে গবাদি পশুর জন্য পুষ্টিকর ঘাস উৎপাদনের জন্য ‘প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১১৭ কেটি ৪৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ছে এক বছর। বাড়তি সময়ের মধ্যে হলেও বিদেশ ভ্রমণে যেতে চান কর্মকর্তারা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে তারা।

মেয়াদ বাড়ছে এক বছর
৩২ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক আমজাদ হোসেন ভুইয়া বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ চলমান। বর্তমানে অগ্রগতি প্রায় ১৭ শতাংশ। আমরা বরাদ্দ ঠিকমতো পাইনি। তাই অগ্রগতি ভালো হয়নি। ডিসেম্বর ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি, এজন্য এক বছর মেয়াদ বাড়ছে।’

প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পে ৩২ কর্মকর্তা উন্নত দেশে ভ্রমণ করবেন, যেখানে ঘাসের চাষ ভালো হয়। দেশগুলো নিউজিল্যান্ড হতে পারে, ভিয়েতনাম হতে পারে আবার অন্য দেশও হতে পারে।’

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ৩১ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের প্রায় ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পের জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ না পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অগ্রগতি হয়নি এবং ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে প্রকল্পের নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই ব্যয় ব্যতিরেকে মেয়াদ ডিসেম্বর ২০২৫ নাগাদ বাড়ছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য
প্রকল্পটি খামারি পর্যায়ে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী খামারিদের মধ্যে কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ প্রযুক্তি সাইলেজ সম্প্রসারণ করার সংস্থান রয়েছে। এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান থাকলে খামারিদের মধ্যে উন্নত জাতের কাঁচা ঘাস চায় এবং সাইলেজ প্রযুক্তি জনপ্রিয় হবে। গবাদিপশুকে পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ কাঁচা ঘাস সরবরাহ বাড়বে এবং গো-খাদ্যের আমদানিনির্ভরতা কমবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, নেপিয়ার ঘাসের চার-পাঁচটি জার্মপ্লাজম দেশে আনা হবে। এগুলো কীভাবে প্রস্তুত করা যায়, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেবেন কর্মকর্তারা। কীভাবে সারাদেশের খামারি পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া যায়, ল্যাবরেটরিতে জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়ে তিনটি দেশে কর্মকর্তারা যাবেন। দুধ উৎপাদন বাড়ানো ও খামারিদের লাভবান করতেই এমন উদ্যোগ। খাদ্যের মধ্যে কাঁচা ঘাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুধ উৎপাদন বাড়াতে কাঁচা ঘাসের কোনো বিকল্প নেই। কাঁচা ঘাস সহজপ্রাপ্য হলে গাভি পালনও সহজতর হবে। তাই আধুনিক পদ্ধতিতে ঘাস চাষ করতে হবে। সেজন্য দরকার ব্যাপকভাবে উচ্চ উৎপাদশীল ঘাস চাষ।

খামারি পর্যায়ে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করার মাধ্যমে গবাদি পশুর পুষ্টির উন্নয়ন করা প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় খামার পর্যায়ে প্রাণিপুষ্টি উন্নয়ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ও দুর্যোগকালীন গো-খাদ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সাইলেজ প্রযুক্তি গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ।

এছাড়া সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে স্থায়ী জার্মপ্লাজম নার্সারি স্থাপন করাসহ ৮ হাজার ৯৭০টি উচ্চ উৎপাদনশীল উন্নত জাতের স্থায়ী বা অস্থায়ী ঘাসের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হবে। সম্প্রসারণ করা হবে বিদেশ থেমে আমদানি করা নেপিয়ার-১ জার্মপ্লাজম। বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক পদ্ধতিতে কাঁচা ঘাস সংরক্ষণের জন্য ১৭ হাজার ৯৪০টি খামারে লাগসই প্রযুক্তি (সাইলেজসহ) হস্তান্তর করাসহ অধিক প্রোটিন সমৃদ্ধ ঘাসের বীজ বিতরণ, ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স খাদ্য এবং কৃমিনাশক বিতরণ, কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট নির্বাচন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

ঘাস চাষ শেখার বিষয়ে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মো. ছায়েদুজ্জামান বলেন, ‘এখন বিদেশ ভ্রমণের সময় নয়, দেশের জন্য কাজ করার সময়। কোনো অনুমোদিত প্রকল্পে যদি ঘাস চাষের কোনো বিষয় থাকে সেটা বাদ দেওয়া হবে। বিদেশ ভ্রমণের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। এটা আমাদের হাতে এলে কেটে বাদ দেবো। এখন প্রকল্পের আওতায় কেউ বিদেশ যেতে পারবে না সাফ কথা।’

সূত্র- জাগো নিউজ