ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতের সংখ্যা জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৯:২৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 48

সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ ।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এম এ আকমল হোসেন আজাদ জানান, শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে একজন সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি একটি খসড়া নীতিমালা এবং আহত-নিহতদের প্রাথমিক একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছে। ইতোমধ্যে আমরা ৭০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ১৯ হাজার জন আহতের তালিকা পেয়েছি। তবে এ তালিকা সম্পন্ন হয়নি। তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি আরও জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ ১৩টি হাসপাতালে আহত ছাত্রদের জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন, বিশেষ করে চোখে আঘাত পেয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বা অঙ্গহানি ঘটেছে, তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম আনার উদ্যোগ চলছে। এছাড়া যাদের দেশে চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না, তাদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সচিব বলেন, আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসপাতালগুলোর ডেডিকেটেড অংশে স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে তাদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। আহতদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিকিৎসা সম্পর্কিত অভিযোগ, পরামর্শ, তথ্য জানার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হটলাইন খোলা হয়েছে।

সচিব এও বলেন, আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনেক হাসপাতাল বিনামূল্যে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।

ট্যাগস :

২২৭ মার্ডারের লাইন্সেস পেয়ে গেছি: শেখ হাসিনা

জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতের সংখ্যা জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় ০৯:২৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ ।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এম এ আকমল হোসেন আজাদ জানান, শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে একজন সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি একটি খসড়া নীতিমালা এবং আহত-নিহতদের প্রাথমিক একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছে। ইতোমধ্যে আমরা ৭০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ১৯ হাজার জন আহতের তালিকা পেয়েছি। তবে এ তালিকা সম্পন্ন হয়নি। তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি আরও জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ ১৩টি হাসপাতালে আহত ছাত্রদের জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন, বিশেষ করে চোখে আঘাত পেয়ে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বা অঙ্গহানি ঘটেছে, তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম আনার উদ্যোগ চলছে। এছাড়া যাদের দেশে চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না, তাদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সচিব বলেন, আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসপাতালগুলোর ডেডিকেটেড অংশে স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে তাদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। আহতদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিকিৎসা সম্পর্কিত অভিযোগ, পরামর্শ, তথ্য জানার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হটলাইন খোলা হয়েছে।

সচিব এও বলেন, আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনেক হাসপাতাল বিনামূল্যে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।