ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে নারীকে ধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে নারীকে ধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে এক নারী চলন্ত বাসে চালক ও সহকারী (হেলপার) দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী। মামলার পর পুলিশ চালক আজাদ খান (২৩) ও তার সহকারী সাহেদুল ইসলামকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে গতকাল মঙ্গলবার।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এরপর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার আজাদ পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া গ্রামের মৃত হাশেম খানের ছেলে এবং সাহেদুল আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের ছৈয়দুল হকের ছেলে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান।

ধর্ষণের শিকার নারীর বয়স ১৯ বছর। দুই মাস আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। তার স্বামী পেশায় পোশাকশ্রমিক। নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা প্রথম গণমাধ্যমকে বলেন, চলন্ত বাসে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলায় চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘গত ৬ সেপ্টেম্বর পটিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী। রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার পটিয়া মনসা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাকলিয়া তুলাতলী এলাকায় স্বামীর বাসায় ফেরার জন্য একটি বাসে ওঠেন। বাসটি নগরের কর্ণফুলী থানার চারপাথরঘাটা শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার কাছে পৌঁছালে চালক ও তার সহকারী তাকে ধর্ষণ করে। ওই সময় বাসে ওই নারী একা ছিলেন। ঘটনার সময় বাসটিকে বিভিন্ন রুটে চালক ও তার সহকারী ঘোরায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারীকে পটিয়া শান্তিরহাট এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়।’

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে নারীকে ধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১১:০০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে এক নারী চলন্ত বাসে চালক ও সহকারী (হেলপার) দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী। মামলার পর পুলিশ চালক আজাদ খান (২৩) ও তার সহকারী সাহেদুল ইসলামকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে গতকাল মঙ্গলবার।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এরপর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার আজাদ পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া গ্রামের মৃত হাশেম খানের ছেলে এবং সাহেদুল আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের ছৈয়দুল হকের ছেলে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান।

ধর্ষণের শিকার নারীর বয়স ১৯ বছর। দুই মাস আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। তার স্বামী পেশায় পোশাকশ্রমিক। নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা প্রথম গণমাধ্যমকে বলেন, চলন্ত বাসে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলায় চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সুলতানা বলেন, ‘গত ৬ সেপ্টেম্বর পটিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী। রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার পটিয়া মনসা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাকলিয়া তুলাতলী এলাকায় স্বামীর বাসায় ফেরার জন্য একটি বাসে ওঠেন। বাসটি নগরের কর্ণফুলী থানার চারপাথরঘাটা শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার কাছে পৌঁছালে চালক ও তার সহকারী তাকে ধর্ষণ করে। ওই সময় বাসে ওই নারী একা ছিলেন। ঘটনার সময় বাসটিকে বিভিন্ন রুটে চালক ও তার সহকারী ঘোরায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই নারীকে পটিয়া শান্তিরহাট এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হয়।’