ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ‘জাতীয় ঐক্যে’র ডাক বিএনপির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪ কর্মসূচিতে না নামায় ভেঙে দেওয়া হলো আ. লীগের ২৭ ইউনিট কমিটি ‘ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ কক্ষ সংস্কারের পর চালু করা হবে শিক্ষা কার্যক্রম’ প্রতিটি হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: ওবায়দুল কাদের আন্দোলনে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেলে প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ও আসিফকে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ মেট্রো স্টেশন যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী ভিসা বন্ধ নিয়ে কিছুই জানায়নি আমিরাত: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ, নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি

ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে এ দুইশ’নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর সরদার, জামিরা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহ খান, রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন, ৪নং টিএসবি ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. সাগর সরদার, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদল নেতা শাহারিয়ার আলম বাপ্পী খান, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আখতার শেখ, তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লস্কর আবুল কালাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোল্লা হুমায়ুন কবির, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব আশরাফুল, খর্নিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাসেম মেম্বার, কয়রা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলম ও দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ।

খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত রাজধানীতে মহাসমাবেশে না যেতে বিএনপির মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এ গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।’

এদিকে কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হয়রানি করছে পুলিশ।

এ ছাড়া বিএনপি নেতা শরিফুলকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও নির্বাহী সদস্য সবুজ হোসেনের বাড়িতেও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।

কয়রা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের মামলা ছিল। কাউকে হয়রানি করতে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ সচেষ্ট আছে।’

এ বিষয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ঢাকার মহাসমাবেশ ঠেকাতে খুলনায় পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযানে নেমেছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে পেন্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

এ ছাড়া হামলা মামলা করে মহাসমাবেশ ঠেকানো যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

টিআই

ট্যাগস :

সরকার গণহত্যার দায় এড়াতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে: শিবির

ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ, নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি

আপডেট সময় ০৭:৩৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ১২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে এ দুইশ’নেতাকর্মীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার জামিরা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জিয়াউর সরদার, জামিরা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য আব্দুল্লাহ খান, রূপসা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন, ৪নং টিএসবি ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. সাগর সরদার, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদল নেতা শাহারিয়ার আলম বাপ্পী খান, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আখতার শেখ, তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি লস্কর আবুল কালাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোল্লা হুমায়ুন কবির, ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরঘোনা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব আশরাফুল, খর্নিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাসেম মেম্বার, কয়রা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলম ও দিঘলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ।

খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত রাজধানীতে মহাসমাবেশে না যেতে বিএনপির মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এ গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।’

এদিকে কয়েকটি উপজেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হয়রানি করছে পুলিশ।

এ ছাড়া বিএনপি নেতা শরিফুলকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও নির্বাহী সদস্য সবুজ হোসেনের বাড়িতেও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।

কয়রা থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের মামলা ছিল। কাউকে হয়রানি করতে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ সচেষ্ট আছে।’

এ বিষয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ঢাকার মহাসমাবেশ ঠেকাতে খুলনায় পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযানে নেমেছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে পেন্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

এ ছাড়া হামলা মামলা করে মহাসমাবেশ ঠেকানো যাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

টিআই