ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির মহাসমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে : রিজভী

বিএনপির মহাসমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে : রিজভী

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনেই বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, শনিবার ঢাকায় নয়াপল্টস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ এটাই উপযুক্ত জায়গা। এখানে আমরা একাধিকবার শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছি। এই মহাসমাবেশ হবে নজিরবিহীন, ঐতিহাসিক। সারাদেশের গণতন্ত্রহারা বঞ্চিত মানুষ ঢাকার দিকে ছুটে আসার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েছে। যদিও সরকারি জুলুম-নির্যাতন, দমন-পীড়নের কোনো কমতি নেই। অব্যাহত গণগ্রেফতারের মধ্যেও দীপ্ত অঙ্গীকারে তারা ঢাকার দিকে ছুটে আসছে।

মহাসমাবেশ নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন- ‘যেখানেই অনুমতি দেয়া হবে সেখানেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে’। পুলিশ কর্মকর্তাদের এ রকমের বক্তব্যে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশের জনগণ এখন পরাধীন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড, মতপ্রকাশ ইত্যাদি সবকিছুই এখন পুলিশের ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতাদের কর্তৃক হত্যার হুমকি, নির্মূলের হুমকি, হেফাজতকে দমনের মতো করে বিএনপি’র সমাবেশ নিয়ে হুমকি এক উপসংহারহীন পরিণতির সৃষ্টিরই ইঙ্গিত করা হচ্ছে। বিষয়টি এমন দাঁড়াচ্ছে যে, আইন আদালতের ভবন আছে, কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘শেখ হাসিনাই হলো আইন’।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, তারা তো মালিক নন। তারা কিভাবে নির্ধারণ করে দেয় রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ কোথায় হবে? বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, যাদের কয়েকবার দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই দলটি কি জানে না যে, সমাবেশ কোথায় করতে হয়? পুলিশ কর্মকর্তাদের এহেন বক্তব্য রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে বাধা দান ও সরাসরি হস্তক্ষেপ।

রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তারা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে নিয়ে ঢাকা মহানগরকে ভয়ঙ্কর আতঙ্কের জায়গা বানাতে চাচ্ছে। রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে র‌্যাবের চৌকি বসিয়ে তল্লাশির নামে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বাড়িসহ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ তল্লাশির নামে গ্রেফতার ও নানা কায়দায় হয়রানিসহ পরিবারের সদস্যদেরও বিভিন্নভাবে নাজেহাল করছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশব্যাপী সর্বস্তরের মানুষসহ দলের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ীদের যোগদান করে ১ দফা দাবি আদায়ে দলের পক্ষ থেকে সোচ্চার আওয়াজ তোলার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। এসময় তিনি সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা মামলার বিবরণ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিআই

ট্যাগস :

লেবানন থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরতে জরিমানা ফি মওকুফ

বিএনপির মহাসমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে : রিজভী

আপডেট সময় ০৭:২৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনেই বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, শনিবার ঢাকায় নয়াপল্টস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ এটাই উপযুক্ত জায়গা। এখানে আমরা একাধিকবার শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছি। এই মহাসমাবেশ হবে নজিরবিহীন, ঐতিহাসিক। সারাদেশের গণতন্ত্রহারা বঞ্চিত মানুষ ঢাকার দিকে ছুটে আসার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েছে। যদিও সরকারি জুলুম-নির্যাতন, দমন-পীড়নের কোনো কমতি নেই। অব্যাহত গণগ্রেফতারের মধ্যেও দীপ্ত অঙ্গীকারে তারা ঢাকার দিকে ছুটে আসছে।

মহাসমাবেশ নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন- ‘যেখানেই অনুমতি দেয়া হবে সেখানেই বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে’। পুলিশ কর্মকর্তাদের এ রকমের বক্তব্যে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বাংলাদেশের জনগণ এখন পরাধীন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড, মতপ্রকাশ ইত্যাদি সবকিছুই এখন পুলিশের ছাড়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতাদের কর্তৃক হত্যার হুমকি, নির্মূলের হুমকি, হেফাজতকে দমনের মতো করে বিএনপি’র সমাবেশ নিয়ে হুমকি এক উপসংহারহীন পরিণতির সৃষ্টিরই ইঙ্গিত করা হচ্ছে। বিষয়টি এমন দাঁড়াচ্ছে যে, আইন আদালতের ভবন আছে, কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘শেখ হাসিনাই হলো আইন’।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, তারা তো মালিক নন। তারা কিভাবে নির্ধারণ করে দেয় রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ কোথায় হবে? বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, যাদের কয়েকবার দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই দলটি কি জানে না যে, সমাবেশ কোথায় করতে হয়? পুলিশ কর্মকর্তাদের এহেন বক্তব্য রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে বাধা দান ও সরাসরি হস্তক্ষেপ।

রিজভী বলেন, সরকারের মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তারা ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে নিয়ে ঢাকা মহানগরকে ভয়ঙ্কর আতঙ্কের জায়গা বানাতে চাচ্ছে। রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে র‌্যাবের চৌকি বসিয়ে তল্লাশির নামে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বাড়িসহ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ তল্লাশির নামে গ্রেফতার ও নানা কায়দায় হয়রানিসহ পরিবারের সদস্যদেরও বিভিন্নভাবে নাজেহাল করছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশব্যাপী সর্বস্তরের মানুষসহ দলের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ীদের যোগদান করে ১ দফা দাবি আদায়ে দলের পক্ষ থেকে সোচ্চার আওয়াজ তোলার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। এসময় তিনি সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা মামলার বিবরণ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিআই