ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরিচয়হীন ১০৪ অভাগা!

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর সাথে জামায়াতের কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দৈনিক সংগ্রাম:

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর সাথে জামায়াতের কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জামায়াতে ইসলামীর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি নন। জামায়াতে ইসলামীর সাথে তার কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার একথা বলেন।

কতিপয় জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বক্তব্য সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান জানাতে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি প্রদান করেন তিনি।

বিবৃতিতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অতি সম্প্রতি সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বক্তব্য নিয়ে কতিপয় জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হল, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জামায়াতে ইসলামীর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি নন। জামায়াতে ইসলামীর সাথে তার কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন, তা তার একান্ত ব্যক্তিগত। সুতরাং তার বক্তব্যকে জামায়াতে ইসলামীর সাথে সংশ্লিষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

কালবেলা:

পরিচয়হীন ১০৪ অভাগা!
আন্দোলনে গিয়ে হারিয়েছেন প্রাণ
৪ আগস্ট দুপুর ২টা। রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানের মোহরার আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে হঠাৎ একটি কল আসে। পরিচয় দেন যাত্রাবাড়ী থানার অপারেশন ইনচার্জ (ওসি)। নাম আবুল হাসান। প্রথমে অনুরোধ, কয়েকটি লাশ মাটিচাপা দিতে হবে। ইনচার্জ জানতে চান, কয়টি? ওসি জানান, ১০টি। এরপর আমিনুল ইসলাম জানিয়ে দেন, কাগজপত্র ছাড়া লাশ দাফন করা যাবে না। এতে ক্ষিপ্ত হন পুলিশ কর্মকর্তা। আমিনুলকে নানাভাবে কিছুক্ষণ হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। তার পরও আমিনুলের ভাষ্য ছিল, শরিয়ত এবং আইন অনুযায়ী না হলে তিনি কবরস্থানে কোনো লাশ দাফন করতে পারবেন না।

১০টি লাশ ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে রাজপথে নেমে আসা ছাত্র-জনতার। আন্দোলন দমাতে মরিয়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তারা। হত্যাযজ্ঞের প্রমাণ ধ্বংস করতে লাশগুলো যেনতেন ধরনের মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। তবে ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের দৃঢ়তায় জুরাইন কবরস্থানে তা সম্ভব হয়নি।

ওই ১০টি মরদেহ নিয়ে পুলিশ এরপর কী করেছিল—তা উদ্ঘাটন করা অবশ্য সম্ভব হয়নি। সেগুলো কোথায় দাফন করা হয়েছিল কিংবা আদৌ তা করা হয়েছিল কি না—তা জানতে এক মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছে কালবেলা। জুরাইন কবরস্থানে গোরখোদক হিসেবে কাজ করেন, এমন কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করা হয় ছদ্মবেশে। তবে কোনোভাবেই তারা দাফন-সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে চাননি। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ। ব্যাচমেটদের মাধ্যমে খোঁজ নিলেও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ওসি আবুল হাসান এখন কোথায়? গত ৩১ আগস্ট আবুল হাসানকে প্রশ্ন লিখে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়। মেসেজটি সেন্ড হয়েছিল। এর কিছু সময় পর দেখা যায়, তিনি তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলেছেন।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, এর বাইরে জুরাইন কবরস্থানে আরও পাঁচটি অজ্ঞাত মরদেহ দাফন করা হয়েছে। সেগুলো স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জোর করে দাফন করেন। একটি সূত্রের মাধম্য অজ্ঞাত লাশ দাফনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গত ২০ আগস্ট কালবেলার প্রতিবেদক প্রথমে জুরাইন কবরস্থানে যান। সেখানে লাশের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে কবরস্থানের দায়িত্বশীলরা সহায়তা করেননি। এরপর তাদের কাছে থাকা লাশ দাফনের হিসাবের খাতা দেখতে চাইলে তা দিতেও অপারগতা প্রকাশ করেন। পরদিন ফের গেলে জানানো হয় সেই খাতা নিয়ে গেছেন সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন অফিসাররা। এরপর আরও অন্তত আটবার জুরাইন কবরস্থানে যাওয়া হয়। তবে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রতিবারই বলা হয়, খাতা করপোরেশনের ঊর্ধ্বতনরা নিয়ে গেছেন।

দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-৫-এর সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান তখন জানিয়েছিলেন, ‘জুরাইনে কোনো অজ্ঞাত লাশ দাফন করা হয়নি।’

নয়াদিগন্ত:

সংস্কারের সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না : ড. ইউনূস
বৈষম্যমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছে তা বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সে স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করবই।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। এটা আর কোনো রাষ্ট্র থাকবে না। কাজেই এটা যেন শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হয়।

রোববার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছাত্র সংগঠক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

সভার শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এ সময় হতাহতদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ড. ইউনূস। কাঁদতেও দেখা যায় তাকে।
অধ্যাপক ইউনূস গত ১৫ বছরের অপশাসনের কথা স্মরণ করে শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘এতদিন তারা চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে ছিল এবং আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিল। এরা কি এখন চুপচুপ বসে থাকবে? না, তারা খুব চেষ্টা করবে আবার তোমাদেরকে দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়ার। চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না। কাজেই যে কাজ শুরু করেছ, তা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে যেও না।’ দেশের সফল অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে নোবেল বিজয়ী ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত এই সুযোগ আসেনি। তবে সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। রাষ্ট্র আর থাকবে না। কাজেই এটা শুধু রাষ্ট্র নয়, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্র হিসেবে যেন প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটা করতে হবে।’

ড. ইউনূস বলেন, কাজেই যে কাজ শুরু করেছ, এই কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে যেও না। তাহলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের জন্ম থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের এমন সুযোগ আর আসেনি মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত এই সুযোগ আর আসে নাই। এই সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ। এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।

বনিক বার্তা:

চাল-ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট!

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার প্রথম মাসেই কমিয়ে আনা হয়েছে মূল্যস্ফীতি। পটপরিবর্তনের মাস আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হ্রাসের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি, আগের মাসের চেয়ে যা প্রায় ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে নেমেছে। জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ২৫ দিনেরও কম সময়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার এমন তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। যদিও এ সময়ে বাজারে চাল ও ডিমসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। তাই এবারো বিবিএসের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।

বিবিএস গতকাল মাসিক ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) প্রকাশ করেছে। হালনাগাদ এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগস্টে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, জুলাইয়ে যা ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৭৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে নেমেছে, আগের মাসে তা ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। তবে সাধারণ ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। জুলাইয়ের ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে বেড়ে তা ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সময় শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি ছিল সব ধরনের মূল্যস্ফীতির হার।

বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, মূল্যবৃদ্ধির হার কমলেও পণ্যের দাম কমেনি। মূল্যস্ফীতি এখনো দুই অংকের ঘরে রয়েছে। এটাকে ঋণাত্মক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বাজারে চাঁদাবাজি ও কারসাজি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেই সঙ্গে নিত্যপণ্যের দাম না কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখানো বিবিএসের পদ্ধতিগত সমস্যা। ফুড বাস্কেটের পরিবর্তনও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখাতে প্রভাব রাখতে পারে। পরিসংখ্যানের এ দুর্বলতাকে সামনে এনে সরকারের এ সংস্থাটিকে সংস্কারের কথাও বলছেন তারা।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে পরিসংখ্যানে পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন বিভিন্ন পণ্যের দামের ক্ষেত্রে হয়তো নিম্নতম গড় হারটা নিচ্ছি। ফুড বাস্কেটের পরিবর্তনও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে রাখতে প্রভাব রাখতে পারে। এখনো সঠিকভাবে মূল্যস্ফীতিটা আমরা নিরূপণ করতে পারি না। পরিসংখ্যানের দুর্বলতাগুলো দেখা উচিত। যত দ্রুত এসব দূর করা সম্ভব হবে, ততই সংস্কার প্রক্রিয়ার জন্য মঙ্গল হবে। পরিসংখ্যানও হবে বাস্তবসম্মত। তবে এক মাসের তথ্য দেখেই মূল্যস্ফীতি কমছে এটা বলা যাবে না, আরো দুয়েক মাস দেখতে হবে।’

প্রতিটি পণ্য ও সেবার ভার নির্ধারণ করে এর বিপরীতে পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধির হার হিসাব করে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হিটম্যাপের তথ্য অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির হিসাবের ক্ষেত্রে দানাদার খাদ্যশস্যের ওয়েট বা ভার রয়েছে ২১ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে চালের ভার ২০ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর ডিমের ভার প্রায় ৫ শতাংশ। এছাড়া মাছের ভার প্রায় ৭ শতাংশ ও মসলার ৪ শতাংশের বেশি। আগস্টে এসব পণ্যের দাম কমেনি। উল্টো চাল ও ডিমসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কেবল সবজির দাম কিছুটা কমেছিল। যদিও মূল্যস্ফীতির হিসাবে সবজির ভার কেবল ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সমকাল:

পোশাক কারখানায় হামলা, র‍্যাবের গাড়িতে আগুন 
সাভার ও আশুলিয়ায় নানামুখী উদ্যোগেও থামছে না শ্রমিক অসন্তোষ। গতকাল রোববারও কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকার ৪৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ।

আশুলিয়ায় আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যাপক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের অনেকে মুখোশ পরিহিত ছিল। দুপুরে আশুলিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ি এলাকার আলিফ ভিলেজ লিমিটেডের আলিফ এমব্রয়ডারি ভিলেজ লিমিটেড, লাম মিম অ্যাপারেলস লিমিটেড ও লাম মিম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় আশুলিয়ার শিমুলতলীতে ইউফোরিয়া নামে একটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। কারখানার কয়েকজন কর্মীকে তারা মারধর করেন। সেখানে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর র‍্যাবের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল চন্দ্র।

শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে গত কয়েক দিন নানা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। কারখানার মালিক, শ্রমিক নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়েও হয় সমন্বয় সভা। পুরো আশুলিয়ায় নেওয়া হয়েছিল ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর পরও আশুলিয়া শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ থামানো যাচ্ছে না।

অন্যান্য দিনের মতো গতকালও সকালে বেশ কয়েকটি কারখানায় যোগ দিয়ে এক পর্যায়ে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান শ্রমিকরা। কারখানার ভেতর তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শ্রমিক নেতারা বলছেন, অন্যায্য আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা শ্রমিক নয়। কারা আন্দোলন করছে, তাদের খুঁজে বের করা দরকার। মালিকপক্ষ বলছে, যৌথ বাহিনীর বারবার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা রয়েছে।

প্রথম আলো:

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়
স্বপ্নপূরণের আগে দমে যেয়ো না, শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা
স্বপ্নপূরণের আগে শিক্ষার্থীদের দমে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমরা এর থেকে বেরিয়ে যেয়ো না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, ছাত্রসংগঠক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্রদের সার্বক্ষণিক কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানিয়েছেন বলে বাসসের খবরে জানানো হয়।

গত ১৫ বছরের অপশাসনের কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘এত দিন তারা চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে ছিল এবং আনন্দসহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিল। এরা কি এখন চুপচাপ বসে থাকবে? না, তারা খুব চেষ্টা করবে আবার তোমাদের দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার। চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না। কাজেই যে কাজ শুরু করেছ, তা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে যেয়ো না।’

‘মব জাস্টিস’ করা যাবে না

বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই মতবিনিময় সভার

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

কুইক রেন্টালে কুইক অর্থ পাচার
ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গেছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার
রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছে। আর এ কাজটি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আহমদ কায়কাউসসহ বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট বিশেষ আইনে, বিনা দরপত্রে প্রতিযোগিতা ছাড়াই তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামী সমর্থক ব্যবসায়ীদের রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুবিধা দেয়।

বছরের পর বছর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গড়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ চালানো হলেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে এগুলোর মালিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা পকেটে ভরেন। ক্যাপাসিটি চার্জের টাকায় ফুলে-ফেঁপে ওঠা এই বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে দেন। যারা এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেন সেই সিন্ডিকেটের প্রভাবশালীরাও বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে দিয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি দমন কমিশন এরই মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য বলছে, ক্যাপাসিটি চার্জের বিলের নামে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। যার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ তৎকালীন সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের নীতিনির্ধারক এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের পকেটে চলে যায়। ঠিক কী পরিমাণ অর্থ এখন পর্যন্ত এ কাজে বিদেশে পাচার হয়েছে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড। কিন্তু এত দিন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের প্রিয় লোকদের আবদার পূরণে বিদ্যুৎ না নিয়েও ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়েছে। এর বিনিময়ে তৎকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সুবিধাভোগী বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীরা অর্থ সুবিধা দিয়েছেন। তাদের মতে, বিদ্যুৎ দেওয়া ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিল নেওয়ার মতো মারাত্মক অনিয়ম আর কিছু নেই। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে যে বিপুল পরিামণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে তা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, এ টাকা দেশের নাগরিকদের। তারা আরও বলেন, কোনো ধরনের টেন্ডার ছাড়া এসব রেন্টাল আর কুইক রেন্টালের লাইসেন্স তুলে দেওয়া হয় দেশের প্রভাবশালী কোম্পানিগুলোর কাছে। এর মধ্যে ছিল সামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, ইউনাইটেড গ্রুপ, কনফিডেন্স গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ, ইউনিক গ্রুপ, বারাকাসহ অন্যান্য কোম্পানি।

কালের কন্ঠ:

শতকোটির বাগানবাড়ি ঘুষ নেন জিয়া
আয়নাঘরের কারিগর চাকরি হারানো বিতর্কিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অর্থবিত্তের পাহাড় গড়েছেন। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া সেই মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাগানবাড়ির তথ্য বের হয়ে এসেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া্ ইউনিয়নে প্রায় ১০ বিঘা জমির ওপর তিনি নির্মাণ করছেন দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়ি। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গুম-খুনের নেপথ্যের নায়ক এই জিয়াউল আহসান। আলোচিত আয়নাঘরেরও মূল কারিগর তিনি। এ ছাড়া ফোনকলে আড়ি পাতা, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড করতেন জিয়াউল আহসান। শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনায় যৌথ অভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

গত ৭ আগস্ট গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী এই সামরিক কর্মকর্তা।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে বাগানবাড়ির বিশালাকৃতির জমি একাধিক দলিলে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে কিনে জিয়াউল আহসানকে উপঢৌকন হিসেবে দেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। জমিগুলোর মালিকানা হস্তান্তরের বিভিন্ন স্তরে রফিকুল ইসলাম অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

এদিকে অবৈধ এই সম্পদের তথ্য গোপন করতে জিয়াউল আহসান বাগানবাড়ির জমিগুলো রেজিস্ট্রি করেছেন তাঁর শিশুকন্যা তাসফিয়া আহসান জইতার নামে।

মানবজমিন:

হাসিনার স্বৈরশাসন হটাতে তাদের অবদান অসামান্য
অবরুদ্ধ সময়। বন্দি গণতন্ত্র। শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রে পিষ্ট দেশ। মত প্রকাশে বাধা। আইনি-বেআইনি হুমকি। খুন-গুম। মিডিয়ার বড় অংশ স্বৈরাচারের তোষণে ব্যস্ত। কেউ আবার লড়াই করেছেন অসীম সাহসিকতায়। তবুও অসহায় মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে একদল বাংলাদেশি সাংবাদিক অকুতোভয়ে লড়ে গেছেন নিজ দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের মুুক্তির জন্য।

শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসানে তাদের অবদান অবিস্মরণীয়। তারা প্রতিনিয়ত বিগত সরকারের দুঃশাসনের নানাচিত্র বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছেন। দুনিয়ার নানা ফোরামে তুলে ধরেছেন নিপীড়িত বাংলাদেশিদের কথা। যেসব সাংবাদিক, ব্যক্তি বিদেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বড় অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- মুশফিকুল ফজল আনসারী, পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনীম খলিল, ড. কনক সারোয়ার, জুলকারনাইন সায়ের খান সামি, ফাহাম আব্দুস সালাম, ইলিয়াস হোসেন, মনির হায়দার, শাহেদ আলম, আব্দুর রব ভুট্টো, নাজমুস সাকিব, জাওয়াদ নির্ঝর, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সহ অনেকে।
জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। গেল কয়েক বছরে অন্যতম আলোচিত মুখ সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিনের পর দিন উপস্থাপন করে গেছেন তিনি। জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। জবাবদিহির আওতায় আনতে চেয়েছেন ক্ষমতাবানদের। দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক রিপোর্টার ছিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব। দায়িত্ব পালন করছেন জাস্ট নিউজের সম্পাদক হিসেবে। শুধু প্রশ্ন করেই নিজের কাজ শেষ করেননি আনসারী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময় সরব থেকেছেন। অনুপ্রাণিত করেছেন কোটি কোটি গণতন্ত্রকামী মানুষকে। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নানা সেমিনার আয়োজনেও যুক্ত ছিলেন এই সাংবাদিক।

খ্যাতিমান সাংবাদিক তাসনীম খলিল। সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক। গত কয়েক বছরে একের পর এক অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে সরকারের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোশ উন্মোচন করেছেন। কুখ্যাত আয়নাঘরের বিষয়টি নেত্র নিউজই প্রথম সামনে নিয়ে আসে। গুম, ক্রসফায়ার নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করে তোলপাড় তৈরি করে সারা দুনিয়ায়।

দেশ রুপান্তর:

তাপসের প্রকৌশলী চক্রের ২০০ কোটি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কয়েকজন প্রকৌশলীকে নিয়ে চক্র গড়ে তুলেছিলেন সংস্থাটির সদ্য সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এ চক্রের মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।
এ চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থাটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) কাজী বোরহান উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আনিছুর রহমান ও অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিথুন চন্দ্র শীলসহ আরও বেশ কয়েকজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকৌশলী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে নিয়োগে জালিয়াতি থেকে শুরু করে প্রকল্পের টাকা লুটপাট, ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি, দরপত্র জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তাপস। বরং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অভিযুক্তদের নানাভাবে অনিয়ম করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। এ প্রক্রিয়ায় করপোরেশনের কয়েকশ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের লোভনীয় নানা প্রকল্পসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘চব্বিশের ছাত্র আন্দোলনের নায়ক খুঁজলে প্রথম সারিতে থাকবে শিবির’

পরিচয়হীন ১০৪ অভাগা!

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর সাথে জামায়াতের কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই

আপডেট সময় ০৭:৩৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর

দৈনিক সংগ্রাম:

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর সাথে জামায়াতের কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই
স্টাফ রিপোর্টার : ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জামায়াতে ইসলামীর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি নন। জামায়াতে ইসলামীর সাথে তার কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। গতকাল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার একথা বলেন।

কতিপয় জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বক্তব্য সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান জানাতে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি প্রদান করেন তিনি।

বিবৃতিতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অতি সম্প্রতি সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর বক্তব্য নিয়ে কতিপয় জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হল, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জামায়াতে ইসলামীর সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি নন। জামায়াতে ইসলামীর সাথে তার কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই। তিনি জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিত্ব করেন না। তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন, তা তার একান্ত ব্যক্তিগত। সুতরাং তার বক্তব্যকে জামায়াতে ইসলামীর সাথে সংশ্লিষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই। তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো অবকাশ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

কালবেলা:

পরিচয়হীন ১০৪ অভাগা!
আন্দোলনে গিয়ে হারিয়েছেন প্রাণ
৪ আগস্ট দুপুর ২টা। রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানের মোহরার আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে হঠাৎ একটি কল আসে। পরিচয় দেন যাত্রাবাড়ী থানার অপারেশন ইনচার্জ (ওসি)। নাম আবুল হাসান। প্রথমে অনুরোধ, কয়েকটি লাশ মাটিচাপা দিতে হবে। ইনচার্জ জানতে চান, কয়টি? ওসি জানান, ১০টি। এরপর আমিনুল ইসলাম জানিয়ে দেন, কাগজপত্র ছাড়া লাশ দাফন করা যাবে না। এতে ক্ষিপ্ত হন পুলিশ কর্মকর্তা। আমিনুলকে নানাভাবে কিছুক্ষণ হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। তার পরও আমিনুলের ভাষ্য ছিল, শরিয়ত এবং আইন অনুযায়ী না হলে তিনি কবরস্থানে কোনো লাশ দাফন করতে পারবেন না।

১০টি লাশ ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে রাজপথে নেমে আসা ছাত্র-জনতার। আন্দোলন দমাতে মরিয়া পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তারা। হত্যাযজ্ঞের প্রমাণ ধ্বংস করতে লাশগুলো যেনতেন ধরনের মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। তবে ইনচার্জ আমিনুল ইসলামের দৃঢ়তায় জুরাইন কবরস্থানে তা সম্ভব হয়নি।

ওই ১০টি মরদেহ নিয়ে পুলিশ এরপর কী করেছিল—তা উদ্ঘাটন করা অবশ্য সম্ভব হয়নি। সেগুলো কোথায় দাফন করা হয়েছিল কিংবা আদৌ তা করা হয়েছিল কি না—তা জানতে এক মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছে কালবেলা। জুরাইন কবরস্থানে গোরখোদক হিসেবে কাজ করেন, এমন কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করা হয় ছদ্মবেশে। তবে কোনোভাবেই তারা দাফন-সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে চাননি। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়; কিন্তু তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ। ব্যাচমেটদের মাধ্যমে খোঁজ নিলেও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না ওসি আবুল হাসান এখন কোথায়? গত ৩১ আগস্ট আবুল হাসানকে প্রশ্ন লিখে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়। মেসেজটি সেন্ড হয়েছিল। এর কিছু সময় পর দেখা যায়, তিনি তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলেছেন।

প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, এর বাইরে জুরাইন কবরস্থানে আরও পাঁচটি অজ্ঞাত মরদেহ দাফন করা হয়েছে। সেগুলো স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জোর করে দাফন করেন। একটি সূত্রের মাধম্য অজ্ঞাত লাশ দাফনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গত ২০ আগস্ট কালবেলার প্রতিবেদক প্রথমে জুরাইন কবরস্থানে যান। সেখানে লাশের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে কবরস্থানের দায়িত্বশীলরা সহায়তা করেননি। এরপর তাদের কাছে থাকা লাশ দাফনের হিসাবের খাতা দেখতে চাইলে তা দিতেও অপারগতা প্রকাশ করেন। পরদিন ফের গেলে জানানো হয় সেই খাতা নিয়ে গেছেন সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন অফিসাররা। এরপর আরও অন্তত আটবার জুরাইন কবরস্থানে যাওয়া হয়। তবে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রতিবারই বলা হয়, খাতা করপোরেশনের ঊর্ধ্বতনরা নিয়ে গেছেন।

দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-৫-এর সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান তখন জানিয়েছিলেন, ‘জুরাইনে কোনো অজ্ঞাত লাশ দাফন করা হয়নি।’

নয়াদিগন্ত:

সংস্কারের সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশ আর রাষ্ট্র থাকবে না : ড. ইউনূস
বৈষম্যমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতা প্রাণ দিয়েছে তা বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আবার নতুন করে প্রতিজ্ঞা করতে হয়, যে স্বপ্নের জন্য তারা প্রাণ দিয়েছে সে স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করবই।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পাওয়া রাষ্ট্র সংস্কারের সুযোগ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। এটা আর কোনো রাষ্ট্র থাকবে না। কাজেই এটা যেন শুধু রাষ্ট্র না, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হয়।

রোববার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ছাত্র সংগঠক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

সভার শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীদের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এ সময় হতাহতদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ড. ইউনূস। কাঁদতেও দেখা যায় তাকে।
অধ্যাপক ইউনূস গত ১৫ বছরের অপশাসনের কথা স্মরণ করে শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘এতদিন তারা চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে ছিল এবং আনন্দ সহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিল। এরা কি এখন চুপচুপ বসে থাকবে? না, তারা খুব চেষ্টা করবে আবার তোমাদেরকে দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়ার। চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না। কাজেই যে কাজ শুরু করেছ, তা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে যেও না।’ দেশের সফল অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে নোবেল বিজয়ী ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত এই সুযোগ আসেনি। তবে সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। এই সুযোগ হাতছাড়া হলে বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। রাষ্ট্র আর থাকবে না। কাজেই এটা শুধু রাষ্ট্র নয়, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্র হিসেবে যেন প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটা করতে হবে।’

ড. ইউনূস বলেন, কাজেই যে কাজ শুরু করেছ, এই কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে যেও না। তাহলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের জন্ম থেকে রাষ্ট্র সংস্কারের এমন সুযোগ আর আসেনি মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত এই সুযোগ আর আসে নাই। এই সুযোগ তোমরা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছ। এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।

বনিক বার্তা:

চাল-ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট!

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার প্রথম মাসেই কমিয়ে আনা হয়েছে মূল্যস্ফীতি। পটপরিবর্তনের মাস আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হ্রাসের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি, আগের মাসের চেয়ে যা প্রায় ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে নেমেছে। জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ২৫ দিনেরও কম সময়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার এমন তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। যদিও এ সময়ে বাজারে চাল ও ডিমসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। তাই এবারো বিবিএসের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।

বিবিএস গতকাল মাসিক ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) প্রকাশ করেছে। হালনাগাদ এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগস্টে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, জুলাইয়ে যা ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৭৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে নেমেছে, আগের মাসে তা ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। তবে সাধারণ ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। জুলাইয়ের ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে বেড়ে তা ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সময় শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি ছিল সব ধরনের মূল্যস্ফীতির হার।

বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, মূল্যবৃদ্ধির হার কমলেও পণ্যের দাম কমেনি। মূল্যস্ফীতি এখনো দুই অংকের ঘরে রয়েছে। এটাকে ঋণাত্মক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বাজারে চাঁদাবাজি ও কারসাজি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেই সঙ্গে নিত্যপণ্যের দাম না কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখানো বিবিএসের পদ্ধতিগত সমস্যা। ফুড বাস্কেটের পরিবর্তনও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখাতে প্রভাব রাখতে পারে। পরিসংখ্যানের এ দুর্বলতাকে সামনে এনে সরকারের এ সংস্থাটিকে সংস্কারের কথাও বলছেন তারা।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে পরিসংখ্যানে পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি হয়। যেমন বিভিন্ন পণ্যের দামের ক্ষেত্রে হয়তো নিম্নতম গড় হারটা নিচ্ছি। ফুড বাস্কেটের পরিবর্তনও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে রাখতে প্রভাব রাখতে পারে। এখনো সঠিকভাবে মূল্যস্ফীতিটা আমরা নিরূপণ করতে পারি না। পরিসংখ্যানের দুর্বলতাগুলো দেখা উচিত। যত দ্রুত এসব দূর করা সম্ভব হবে, ততই সংস্কার প্রক্রিয়ার জন্য মঙ্গল হবে। পরিসংখ্যানও হবে বাস্তবসম্মত। তবে এক মাসের তথ্য দেখেই মূল্যস্ফীতি কমছে এটা বলা যাবে না, আরো দুয়েক মাস দেখতে হবে।’

প্রতিটি পণ্য ও সেবার ভার নির্ধারণ করে এর বিপরীতে পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধির হার হিসাব করে মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হিটম্যাপের তথ্য অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির হিসাবের ক্ষেত্রে দানাদার খাদ্যশস্যের ওয়েট বা ভার রয়েছে ২১ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে চালের ভার ২০ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর ডিমের ভার প্রায় ৫ শতাংশ। এছাড়া মাছের ভার প্রায় ৭ শতাংশ ও মসলার ৪ শতাংশের বেশি। আগস্টে এসব পণ্যের দাম কমেনি। উল্টো চাল ও ডিমসহ অনেক নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কেবল সবজির দাম কিছুটা কমেছিল। যদিও মূল্যস্ফীতির হিসাবে সবজির ভার কেবল ৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

সমকাল:

পোশাক কারখানায় হামলা, র‍্যাবের গাড়িতে আগুন 
সাভার ও আশুলিয়ায় নানামুখী উদ্যোগেও থামছে না শ্রমিক অসন্তোষ। গতকাল রোববারও কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওই এলাকার ৪৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ।

আশুলিয়ায় আলিফ ভিলেজ লিমিটেড গ্রুপের তিনটি তৈরি পোশাক কারখানায় ব্যাপক হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীদের অনেকে মুখোশ পরিহিত ছিল। দুপুরে আশুলিয়া ইউনিয়নের টঙ্গাবাড়ি এলাকার আলিফ ভিলেজ লিমিটেডের আলিফ এমব্রয়ডারি ভিলেজ লিমিটেড, লাম মিম অ্যাপারেলস লিমিটেড ও লাম মিম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় আশুলিয়ার শিমুলতলীতে ইউফোরিয়া নামে একটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। কারখানার কয়েকজন কর্মীকে তারা মারধর করেন। সেখানে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর র‍্যাবের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল চন্দ্র।

শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে গত কয়েক দিন নানা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। কারখানার মালিক, শ্রমিক নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়েও হয় সমন্বয় সভা। পুরো আশুলিয়ায় নেওয়া হয়েছিল ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর পরও আশুলিয়া শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ থামানো যাচ্ছে না।

অন্যান্য দিনের মতো গতকালও সকালে বেশ কয়েকটি কারখানায় যোগ দিয়ে এক পর্যায়ে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান শ্রমিকরা। কারখানার ভেতর তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শ্রমিক নেতারা বলছেন, অন্যায্য আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা শ্রমিক নয়। কারা আন্দোলন করছে, তাদের খুঁজে বের করা দরকার। মালিকপক্ষ বলছে, যৌথ বাহিনীর বারবার আশ্বাস দিলেও পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা রয়েছে।

প্রথম আলো:

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়
স্বপ্নপূরণের আগে দমে যেয়ো না, শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা
স্বপ্নপূরণের আগে শিক্ষার্থীদের দমে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমরা এর থেকে বেরিয়ে যেয়ো না।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, ছাত্রসংগঠক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্রদের সার্বক্ষণিক কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানিয়েছেন বলে বাসসের খবরে জানানো হয়।

গত ১৫ বছরের অপশাসনের কথা স্মরণ করে ড. ইউনূস শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘এত দিন তারা চুপচাপ শুয়ে শুয়ে স্বপ্নের মধ্যে ছিল এবং আনন্দসহকারে লুটপাট করে যাচ্ছিল। এরা কি এখন চুপচাপ বসে থাকবে? না, তারা খুব চেষ্টা করবে আবার তোমাদের দুঃস্বপ্নের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার। চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না। কাজেই যে কাজ শুরু করেছ, তা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে যেয়ো না।’

‘মব জাস্টিস’ করা যাবে না

বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই মতবিনিময় সভার

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

কুইক রেন্টালে কুইক অর্থ পাচার
ক্যাপাসিটি চার্জের নামে গেছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার
রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জের নামে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে পাচার করেছে। আর এ কাজটি করেছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আহমদ কায়কাউসসহ বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট বিশেষ আইনে, বিনা দরপত্রে প্রতিযোগিতা ছাড়াই তৎকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ ও আওয়ামী সমর্থক ব্যবসায়ীদের রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুবিধা দেয়।

বছরের পর বছর এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গড়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ চালানো হলেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে এগুলোর মালিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা পকেটে ভরেন। ক্যাপাসিটি চার্জের টাকায় ফুলে-ফেঁপে ওঠা এই বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে দেন। যারা এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেন সেই সিন্ডিকেটের প্রভাবশালীরাও বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে দিয়েছেন। এ প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি দমন কমিশন এরই মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য বলছে, ক্যাপাসিটি চার্জের বিলের নামে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। যার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ তৎকালীন সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের নীতিনির্ধারক এবং সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের পকেটে চলে যায়। ঠিক কী পরিমাণ অর্থ এখন পর্যন্ত এ কাজে বিদেশে পাচার হয়েছে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড। কিন্তু এত দিন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের প্রিয় লোকদের আবদার পূরণে বিদ্যুৎ না নিয়েও ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়েছে। এর বিনিময়ে তৎকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সুবিধাভোগী বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীরা অর্থ সুবিধা দিয়েছেন। তাদের মতে, বিদ্যুৎ দেওয়া ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিল নেওয়ার মতো মারাত্মক অনিয়ম আর কিছু নেই। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে যে বিপুল পরিামণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে তা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ, এ টাকা দেশের নাগরিকদের। তারা আরও বলেন, কোনো ধরনের টেন্ডার ছাড়া এসব রেন্টাল আর কুইক রেন্টালের লাইসেন্স তুলে দেওয়া হয় দেশের প্রভাবশালী কোম্পানিগুলোর কাছে। এর মধ্যে ছিল সামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, ইউনাইটেড গ্রুপ, কনফিডেন্স গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ, ইউনিক গ্রুপ, বারাকাসহ অন্যান্য কোম্পানি।

কালের কন্ঠ:

শতকোটির বাগানবাড়ি ঘুষ নেন জিয়া
আয়নাঘরের কারিগর চাকরি হারানো বিতর্কিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অর্থবিত্তের পাহাড় গড়েছেন। সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া সেই মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাগানবাড়ির তথ্য বের হয়ে এসেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া্ ইউনিয়নে প্রায় ১০ বিঘা জমির ওপর তিনি নির্মাণ করছেন দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়ি। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গুম-খুনের নেপথ্যের নায়ক এই জিয়াউল আহসান। আলোচিত আয়নাঘরেরও মূল কারিগর তিনি। এ ছাড়া ফোনকলে আড়ি পাতা, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড করতেন জিয়াউল আহসান। শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনায় যৌথ অভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

গত ৭ আগস্ট গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী এই সামরিক কর্মকর্তা।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে বাগানবাড়ির বিশালাকৃতির জমি একাধিক দলিলে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে কিনে জিয়াউল আহসানকে উপঢৌকন হিসেবে দেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। জমিগুলোর মালিকানা হস্তান্তরের বিভিন্ন স্তরে রফিকুল ইসলাম অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

এদিকে অবৈধ এই সম্পদের তথ্য গোপন করতে জিয়াউল আহসান বাগানবাড়ির জমিগুলো রেজিস্ট্রি করেছেন তাঁর শিশুকন্যা তাসফিয়া আহসান জইতার নামে।

মানবজমিন:

হাসিনার স্বৈরশাসন হটাতে তাদের অবদান অসামান্য
অবরুদ্ধ সময়। বন্দি গণতন্ত্র। শেখ হাসিনার একনায়কতন্ত্রে পিষ্ট দেশ। মত প্রকাশে বাধা। আইনি-বেআইনি হুমকি। খুন-গুম। মিডিয়ার বড় অংশ স্বৈরাচারের তোষণে ব্যস্ত। কেউ আবার লড়াই করেছেন অসীম সাহসিকতায়। তবুও অসহায় মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে একদল বাংলাদেশি সাংবাদিক অকুতোভয়ে লড়ে গেছেন নিজ দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের মুুক্তির জন্য।

শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসানে তাদের অবদান অবিস্মরণীয়। তারা প্রতিনিয়ত বিগত সরকারের দুঃশাসনের নানাচিত্র বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছেন। দুনিয়ার নানা ফোরামে তুলে ধরেছেন নিপীড়িত বাংলাদেশিদের কথা। যেসব সাংবাদিক, ব্যক্তি বিদেশ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বড় অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- মুশফিকুল ফজল আনসারী, পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনীম খলিল, ড. কনক সারোয়ার, জুলকারনাইন সায়ের খান সামি, ফাহাম আব্দুস সালাম, ইলিয়াস হোসেন, মনির হায়দার, শাহেদ আলম, আব্দুর রব ভুট্টো, নাজমুস সাকিব, জাওয়াদ নির্ঝর, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সহ অনেকে।
জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট। গেল কয়েক বছরে অন্যতম আলোচিত মুখ সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিনের পর দিন উপস্থাপন করে গেছেন তিনি। জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘ কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। জবাবদিহির আওতায় আনতে চেয়েছেন ক্ষমতাবানদের। দৈনিক ইত্তেফাকের কূটনৈতিক রিপোর্টার ছিলেন মুশফিকুল ফজল আনসারী। ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব। দায়িত্ব পালন করছেন জাস্ট নিউজের সম্পাদক হিসেবে। শুধু প্রশ্ন করেই নিজের কাজ শেষ করেননি আনসারী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময় সরব থেকেছেন। অনুপ্রাণিত করেছেন কোটি কোটি গণতন্ত্রকামী মানুষকে। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নানা সেমিনার আয়োজনেও যুক্ত ছিলেন এই সাংবাদিক।

খ্যাতিমান সাংবাদিক তাসনীম খলিল। সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক। গত কয়েক বছরে একের পর এক অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে সরকারের এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোশ উন্মোচন করেছেন। কুখ্যাত আয়নাঘরের বিষয়টি নেত্র নিউজই প্রথম সামনে নিয়ে আসে। গুম, ক্রসফায়ার নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ করে তোলপাড় তৈরি করে সারা দুনিয়ায়।

দেশ রুপান্তর:

তাপসের প্রকৌশলী চক্রের ২০০ কোটি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কয়েকজন প্রকৌশলীকে নিয়ে চক্র গড়ে তুলেছিলেন সংস্থাটির সদ্য সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এ চক্রের মাধ্যমে কয়েকশ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।
এ চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থাটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) কাজী বোরহান উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আনিছুর রহমান ও অঞ্চল-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মিথুন চন্দ্র শীলসহ আরও বেশ কয়েকজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকৌশলী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে নিয়োগে জালিয়াতি থেকে শুরু করে প্রকল্পের টাকা লুটপাট, ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি, দরপত্র জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি তাপস। বরং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অভিযুক্তদের নানাভাবে অনিয়ম করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। এ প্রক্রিয়ায় করপোরেশনের কয়েকশ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িতদের লোভনীয় নানা প্রকল্পসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়।