ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের Logo সাভারে বাড়ি ফেরার পথে ধ’র্ষ’ণে’র শিকার তরুণী, থানায় মামলা Logo ‘কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগামে হামলা কোনো সভ্য মানুষ করতে পারে না’ Logo নোয়াখালীতে ছাত্রশিবিরের উপর যুবদলের হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে বিক্ষোভ Logo শিক্ষকদের দাবি না মানলে খুনি হাসিনার চেয়ে পরিণতি আরও বেশি খারাপ হবে: ডাকসু ভিপি Logo জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Logo শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিইউপি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo সয়দাবাদ রেলস্টেশন এলাকার রেলের মাটি বিক্রি করছেন বিএনপি নেতা Logo পিআর আন্দোলনকে জামায়াতের একটি রাজনৈতিক প্রতারণা বলছেন নাহিদ ইসলাম Logo ছাত্রলীগের নামে রুম দখলে নেওয়া সেই পিয়াল এখন ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক

বাংলাদেশি পর্যটক না থাকায় ধুঁকছে কলকাতার নানা ব্যবসা

বাংলাদেশি পর্যটক না থাকায় ধুঁকছে কলকাতার নানা ব্যবসা

মাস দুয়েক আগেও কলকাতার নিউ মার্কেট, মারকুইস স্ট্রিট গিজ গিজ করত বাংলাদেশের মানুষে। তবে জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ব্যাপক সহিংসতা, কারফিউ, শেষে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়ন—সব মিলিয়ে কলকাতায় এখন বাংলাদেশি পর্যটক প্রায় নেই বললেই চলে।

এর একটা বড় কারণ ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ চালু করেনি। তাই যেসব বাংলাদেশি আগে থেকে ভিসা নিয়েছিলেন এবং যাদের জরুরি চিকিৎসা করাতে হবে তারাই ভারতে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন।

কলকাতার নিউ মার্কেট, মারকুইস স্ট্রিট বা মুকুন্দপুর অঞ্চলের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই মূলত বাংলাদেশি পর্যটকরা থাকেন, কেনাকাটা করেন। ওইসব এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে বছরভর। ঐতিহ্যবাহী নিউ মার্কেটের দোকান মালিক সংগঠনের সম্পাদক অশোক গুপ্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রায় কেউই আসছেন না মাস খানেকের বেশি সময় হয়ে গেল। নিউ মার্কেটের জামাকাপড়ের দোকান বলুন বা অন্যান্য সামগ্রী, এ সবের একটা বড় ক্রেতা বাংলাদেশের মানুষ।

ভারতীয় ভিসাব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। তাই তারা প্রায় কেউই আসতে পারছেন না। আমাদের বিক্রি প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গেছে গত এক মাসে।

তবে নিউ মার্কেটের ব্যবসা কমে যাওয়ার আরো একটা কারণ কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা।

গুপ্তা বলেন, ‘ওই ঘটনা মানুষকে এতটাই নাড়া দিয়েছে যে বহু মানুষেরই কেনাকাটা করার, উৎসবে মাতার মতো মন নেই। এ ছাড়া রোজই মিছিল প্রতিবাদ হচ্ছে। তাই মানুষ এখন এদিকে আসা কমিয়ে দিয়েছে। একই অবস্থা বাংলাদেশিরা মূলত যে এলাকার হোটেলগুলোতে থাকেন, সেই মারকুইস স্ট্রিটেও। হোটেল-খাবারের দোকান বা অন্যান্য পরিষেবা—এই রাস্তার সব কিছুই বাংলাদেশি পর্যটককেন্দ্রিক।

করোনার সময়ে যেমন বাংলাদেশি পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, গত এক মাসে বাংলাদেশে অশান্তির জেরে আবারও প্রায় সেই অবস্থাতেই পৌঁছেছে।

আবার বহু মানুষ বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে যান কলকাতায়। একটি বেসরকারি হাসপাতাল গোষ্ঠী জানাচ্ছে, এক মাস আগের তুলনায় এখন বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশি পর্যটক না থাকায় ধুঁকছে কলকাতার নানা ব্যবসা

আপডেট সময় ০৯:৪৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাস দুয়েক আগেও কলকাতার নিউ মার্কেট, মারকুইস স্ট্রিট গিজ গিজ করত বাংলাদেশের মানুষে। তবে জুলাই মাস থেকে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন, ব্যাপক সহিংসতা, কারফিউ, শেষে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়ন—সব মিলিয়ে কলকাতায় এখন বাংলাদেশি পর্যটক প্রায় নেই বললেই চলে।

এর একটা বড় কারণ ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ চালু করেনি। তাই যেসব বাংলাদেশি আগে থেকে ভিসা নিয়েছিলেন এবং যাদের জরুরি চিকিৎসা করাতে হবে তারাই ভারতে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন।

কলকাতার নিউ মার্কেট, মারকুইস স্ট্রিট বা মুকুন্দপুর অঞ্চলের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেই মূলত বাংলাদেশি পর্যটকরা থাকেন, কেনাকাটা করেন। ওইসব এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে বছরভর। ঐতিহ্যবাহী নিউ মার্কেটের দোকান মালিক সংগঠনের সম্পাদক অশোক গুপ্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রায় কেউই আসছেন না মাস খানেকের বেশি সময় হয়ে গেল। নিউ মার্কেটের জামাকাপড়ের দোকান বলুন বা অন্যান্য সামগ্রী, এ সবের একটা বড় ক্রেতা বাংলাদেশের মানুষ।

ভারতীয় ভিসাব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। তাই তারা প্রায় কেউই আসতে পারছেন না। আমাদের বিক্রি প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গেছে গত এক মাসে।

তবে নিউ মার্কেটের ব্যবসা কমে যাওয়ার আরো একটা কারণ কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা।

গুপ্তা বলেন, ‘ওই ঘটনা মানুষকে এতটাই নাড়া দিয়েছে যে বহু মানুষেরই কেনাকাটা করার, উৎসবে মাতার মতো মন নেই। এ ছাড়া রোজই মিছিল প্রতিবাদ হচ্ছে। তাই মানুষ এখন এদিকে আসা কমিয়ে দিয়েছে। একই অবস্থা বাংলাদেশিরা মূলত যে এলাকার হোটেলগুলোতে থাকেন, সেই মারকুইস স্ট্রিটেও। হোটেল-খাবারের দোকান বা অন্যান্য পরিষেবা—এই রাস্তার সব কিছুই বাংলাদেশি পর্যটককেন্দ্রিক।

করোনার সময়ে যেমন বাংলাদেশি পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, গত এক মাসে বাংলাদেশে অশান্তির জেরে আবারও প্রায় সেই অবস্থাতেই পৌঁছেছে।

আবার বহু মানুষ বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা করাতে যান কলকাতায়। একটি বেসরকারি হাসপাতাল গোষ্ঠী জানাচ্ছে, এক মাস আগের তুলনায় এখন বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।