ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস নিহতের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে ছাত্র-জনতা। এছাড়া সমাবেশ থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাজার ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানানো হয়।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জামালউদ্দিন মুহম্মদ খালিদ। তিনি বলেন, সীমান্তে কিছুদিন আগে এক বাংলাদশি কিশোরীকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডসহ সব সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া কয়েকদিন ধরে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মাজার ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে মব জাস্টিসের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে আমরা আজ এখানে এসেছি, প্রতিবাদ করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী জিহাদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের বুলেট হিন্দু-মুসলমান বোঝে না। তারা শুধু মনে করে স্বর্ণা দাস একজন বাংলাদেশি। আর এই বাংলাদেশিকে হত্যা করলে তাদের কোনো জবাবদিহির মুখে পড়তে হয় না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ যখনই কোনো লিগ্যাল অ্যাকশনে গেছে, তারা প্রতিবারই সেই লিগ্যাল অ্যাকশনকে কোনো না কোনোভাবে ভণ্ডুল করে দিয়েছে। আমরা তাদের জানিয়ে দিতে চাই, পুরোনো দিন ভুলে যান। আমাদের সঙ্গে যেমন আচরণ করবেন ঠিক তেমনটাই ফেরত পাবেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা চীন-ভারত সীমান্তের মতো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়ে অবিলম্বে সব সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি করেন।