ঢাকা ০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চাকসু প্রার্থীকে হেনস্তা করতে ফেইক আইডি খুলে অপপ্রচার Logo ছাত্রশিবিরকে নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবের মিথ্যাচারপূর্ণ সংবাদের নিন্দা প্রকাশ Logo রাকসু নির্বাচন জরিপে শীর্ষ তিন পদেই এগিয়ে ছাত্রশিবির Logo চাকসুতে শীর্ষ ৩পদে এগিয়ে ছাত্রশিবির: সোচ্চারের জরীপ Logo দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, রাত পেরোলেই চাকসু নির্বাচন Logo শাজাহানপুরে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির ১২ নেতাকর্মী Logo মাদাগাস্কারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলো সেনাবাহিনী Logo রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী ফ্র্যাগরেন্স এক্সিবিশন শুরু শুক্রবার Logo ছন্দে থাকা ব্রাজিলকে হারিয়ে ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচালো জাপান Logo শিক্ষকদের আন্দোলনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন সহ যেসব দল-সংগঠনের একাত্মতা প্রকাশ

ভাইবা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের অনিক খান নামের এক কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাইম নাহিদ ইমনের অনুসারী ছিলেন এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

ঐ শিক্ষার্থীর বন্ধুরা জানান, আজ শনিবার ব্যবসার প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ভাইভা পরীক্ষা ছিল। সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে তারা তিন বন্ধু ভাইবা শেষ করে বিভাগ থেকে বের হচ্ছিলেন। একাডেমিক ভবন থেকে বের হয়ে আসলে দুটি মটরসাইকেল এসে অনিককে তুলে নিয়ে যান। এরপর থেকে অনিকের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।

অনিকের বন্ধু আসিফ বলেন, ‘আমরা তিনজন একসাথে বের হয়ে একাডেমিক ভবনের নিচে আসি৷ তখন দুইটা মোটরসাইকেল এসে অনিককে একটা মটর সাইকেলে তুলে নেন। মটরসাইকেলের নাম্বার প্লেট গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। মটরসাইকেলে কে বা কারা ছিল তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে অনিককে তুলে নেওয়ার পর থেকে অনেকের ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। আমরা ওকে নিয়ে চিন্তিত।’

বিষয়টি জানার জন্য অনিকের মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আমরা ওর বিষয়টি শুনেছি। আমরা ওকে খোঁজার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ওর কোন খোঁজ পাইনি।’

প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে অনিক খানকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালযয়ের একটি ফেইসবুক গ্রুপে একটি অ্যানোনিমাস পোস্ট করা হয়। ঐ পোস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একটি সিটকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা নাইমুর নাহিদ ইমন, অনিক খান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে ২১২ নাম্বার রুম এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাকসু প্রার্থীকে হেনস্তা করতে ফেইক আইডি খুলে অপপ্রচার

ভাইবা দিতে আসা ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৫:৩৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের অনিক খান নামের এক কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাইম নাহিদ ইমনের অনুসারী ছিলেন এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

ঐ শিক্ষার্থীর বন্ধুরা জানান, আজ শনিবার ব্যবসার প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ভাইভা পরীক্ষা ছিল। সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে তারা তিন বন্ধু ভাইবা শেষ করে বিভাগ থেকে বের হচ্ছিলেন। একাডেমিক ভবন থেকে বের হয়ে আসলে দুটি মটরসাইকেল এসে অনিককে তুলে নিয়ে যান। এরপর থেকে অনিকের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।

অনিকের বন্ধু আসিফ বলেন, ‘আমরা তিনজন একসাথে বের হয়ে একাডেমিক ভবনের নিচে আসি৷ তখন দুইটা মোটরসাইকেল এসে অনিককে একটা মটর সাইকেলে তুলে নেন। মটরসাইকেলের নাম্বার প্লেট গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। মটরসাইকেলে কে বা কারা ছিল তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে অনিককে তুলে নেওয়ার পর থেকে অনেকের ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। আমরা ওকে নিয়ে চিন্তিত।’

বিষয়টি জানার জন্য অনিকের মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে আমরা ওর বিষয়টি শুনেছি। আমরা ওকে খোঁজার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ওর কোন খোঁজ পাইনি।’

প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে অনিক খানকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালযয়ের একটি ফেইসবুক গ্রুপে একটি অ্যানোনিমাস পোস্ট করা হয়। ঐ পোস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একটি সিটকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা নাইমুর নাহিদ ইমন, অনিক খান এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ হাসানের বিরুদ্ধে ২১২ নাম্বার রুম এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।