বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিরাজগঞ্জ শহর শাখার উদ্যোগে কেন্দ্রের সাংগঠনিক সফর উপলক্ষে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের পৌর ভাসানী মিলনায়তনে কর্মী সমাবেশ এবং বিকেলে সুধী সমাবেশ সিরাজগঞ্জ শহর সভাপতি তরিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শামীম রেজা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি সমাবেশেই প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্পোর্টস সম্পাদক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর জনাব অধ্যক্ষ মাওলানা শাহীনুর আলম, ছাত্রশিবির এর কেন্দ্রীয় সহকারী তথ্য সম্পাদক আতিকুর রহমান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জনাব অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি জনাব অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার ময়দুল আলম, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আমীর জনাব মাওলানা আতাউর রহমান, শহর জামায়াতের আমীর জনাব অধ্যাপক আব্দুল লতিফ, বেলকুচি উপজেলা আমীর জনাব আরিফুল ইসলাম সোহেল এবং শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি, সেক্রেটারিবৃন্দ, শিবিরের সাবেক দায়িত্বশীলবৃন্দ।
কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান বলেন, শিবিরের কর্মীদের মেধা ও নৈতিকতার সমন্বয়ে যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে হবে, ঈমানী শক্তিতে বলীয়ান হয়ে কালজয়ী আদর্শ ইসলামের মহান দাওয়াত ছাত্রদের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।
আগামীর কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কর্মীদের কে যথার্থ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা প্রচলিত ছাত্ররাজনীতির যৌক্তিক সংস্কার চাই, সিট দখল, হল দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, র্যাগিং এর রাজনীতি ক্যাম্পাসে করতে দেওয়া হবে না, ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন ছাত্রশিবির এবং প্রচলিত ছাত্ররাজনীতি এক নয়, ছাত্রদের ছাত্রশিবির কে আরও গভীরভাবে জানার আহবান জানান। সুধী সমাবেশে তিনি সকল সুধীদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা শাহীনুর আলম বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর ছাত্রশিবির মুক্ত ময়দানে প্রোগ্রাম করছে, বিগত পতিত স্বৈরাচার গত ১৫ বছর কোন কার্যক্রম করতে দেয়নি, যারা জুলুম করেছিল আজ তারা দেশেও থাকতে পারছে না।
সুধী সমাবেশে তিনি বলেন, ছাত্রশিবির কে পরিবারের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করে সন্তানের মতো আগলে রাখতে হবে, ভবিষ্যত নেতৃত্ব পূরণের জন্য শিবির কে আরও যোগ্য, দক্ষ ও নেতৃত্বের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সহযোগিতা বৃদ্ধি করার জোর তাগিদ দেন।
অন্যান্য বক্তারা কর্মীদের সর্বোচ্চ যোগ্যতা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করার আহবান জানান এবং সুধীদের আগামীর কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য শিবিরকে সবধরনের সহযোগিতা করার আহবান জানান।