ঢাকা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস Logo লিটনকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা Logo নীতি পরিপন্থী কার্যকলাপের জন্য মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি নেতার পদ স্থগ Logo ফ্যাসিবাদী বিজেপি’ ও মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয় Logo শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার Logo গোপালগঞ্জে একসঙ্গে আওয়ামী লীগের ৮ নেতার পদত্যাগ Logo দীর্ঘ এক যুগ পর লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ‘দ্বি-বার্ষিক’ সম্মেলন সম্পন্ন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন নেতৃত্ব Logo নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহ মিলল মেঘনা নদীতে Logo এবার জাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলে তারিকুল-নিগার সুলতানা দম্পতি Logo ফটিকছড়িতে ৩ কিশোরকে গণপিটুনি, ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু

শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে

শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন এলাকায় আব্দুল মোতালেব (১৪) নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. খোকন মিয়া আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করে। শাজাহান খানের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিরা দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন শুরু করতে পুলিশ, র‍্যাব ও ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। এর পর পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকাসহ সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা-নির্যাতন চালায়। এতে শত শত মানুষ মারা যান। অনেক লোক আহত ও পঙ্গু হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বাদীর ছেলে আব্দুল মোতালিব (১৪) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন। গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি থানাধীন জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর বাদীর ছেলে অন্যান্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষদের সাথে অবস্থানকালে আসামিগণের পরিকল্পনা ও হুকুমে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ, র‍্যাব, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। তারা শত শত সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, ককটের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও রাবার বুলেট ছোড়ে। ঘটনাস্থলে অনেক নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হন। এর মধ্যে আব্দুল মোতালিব বুকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা আব্দুল মতিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস

শাজাহান খান ৭ দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় ০৭:০২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমন্ডি থানাধীন এলাকায় আব্দুল মোতালেব (১৪) নামের এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. খোকন মিয়া আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষও ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করে। শাজাহান খানের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাসহ অন্য আসামিরা দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন শুরু করতে পুলিশ, র‍্যাব ও ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। এর পর পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকাসহ সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা-নির্যাতন চালায়। এতে শত শত মানুষ মারা যান। অনেক লোক আহত ও পঙ্গু হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বাদীর ছেলে আব্দুল মোতালিব (১৪) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হন। গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি থানাধীন জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর বাদীর ছেলে অন্যান্য ছাত্র ও সাধারণ মানুষদের সাথে অবস্থানকালে আসামিগণের পরিকল্পনা ও হুকুমে হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশ, র‍্যাব, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। তারা শত শত সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, ককটের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও রাবার বুলেট ছোড়ে। ঘটনাস্থলে অনেক নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হন। এর মধ্যে আব্দুল মোতালিব বুকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা আব্দুল মতিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।