ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

ফেনীতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবরের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:১০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 0 Views

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই আকবর হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দাগনভূঞার আমলি আদালতে একই উপজেলার মেহেদীপুর গ্রামের যুবদলের কর্মী মো. স্বপন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মো. মনছুর ভুঁইয়া, ইউসুফ, শাহীন, ইলিয়াস, মিজানুর রহমান, নাসির, জসীম উদ্দিন, আবুল কালাম ও মিলন। তারা সবাই দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা। জানা গেছে, আসামিরা প্রত্যেকে ছাত্রদল ও  যুবদলের পদ-পদবিতে রয়েছেন।

মামলার উল্লিখিত বিবরণে জানা যায়, স্বপনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আসামি ইউসুফের সম্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এসবের জেরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতঘরে হামলা চালিয়ে জখম করেন। এসময় তারা বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার লুট ও নগদ টাকা নিয়ে যান। পরে স্বপনের স্ত্রী শোর চিৎকার শুরু করলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় দাগনভূঞা থানায় মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী স্বপন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন খোন্দকার বলেন, ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে দাগনভূঞার আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন বলেন, ‘কোথাকার কোন স্বপন আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে আমি তাকে চিনি না। তবে শুনেছি স্বপন যাদের দারা নির্যাতিত হয়েছে তারাই স্বপনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। সেই মামলার বিপরীতে স্বপন আরেকটি মামলা করে। আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি, তাই দলের প্রত্যেকের দেখাশুনা করতে হয় এজন্য আমাকে মামলায় জড়িয়েছে।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

ফেনীতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবরের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

আপডেট সময় ০৪:১০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর ভাই আকবর হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দাগনভূঞার আমলি আদালতে একই উপজেলার মেহেদীপুর গ্রামের যুবদলের কর্মী মো. স্বপন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মো. মনছুর ভুঁইয়া, ইউসুফ, শাহীন, ইলিয়াস, মিজানুর রহমান, নাসির, জসীম উদ্দিন, আবুল কালাম ও মিলন। তারা সবাই দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা। জানা গেছে, আসামিরা প্রত্যেকে ছাত্রদল ও  যুবদলের পদ-পদবিতে রয়েছেন।

মামলার উল্লিখিত বিবরণে জানা যায়, স্বপনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আসামি ইউসুফের সম্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। এসবের জেরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বপনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতঘরে হামলা চালিয়ে জখম করেন। এসময় তারা বাড়িঘর ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার লুট ও নগদ টাকা নিয়ে যান। পরে স্বপনের স্ত্রী শোর চিৎকার শুরু করলে তাকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করা হয়।
এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় দাগনভূঞা থানায় মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী স্বপন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. মোশাররফ হোসেন খোন্দকার বলেন, ওই ব্যক্তি বাদী হয়ে দাগনভূঞার আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত আকবর হোসেন বলেন, ‘কোথাকার কোন স্বপন আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে আমি তাকে চিনি না। তবে শুনেছি স্বপন যাদের দারা নির্যাতিত হয়েছে তারাই স্বপনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। সেই মামলার বিপরীতে স্বপন আরেকটি মামলা করে। আমি উপজেলা বিএনপির সভাপতি, তাই দলের প্রত্যেকের দেখাশুনা করতে হয় এজন্য আমাকে মামলায় জড়িয়েছে।’