ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছে ছাত্রলীগের দুই কর্মী, তাই অনলাইন ভাইবা দিতে চায় তারা

পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগ নেতাদের ভাইবা অনলাইনে নেওয়ার গুঞ্জন

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর নাহিদ ইমন এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান হৃদয়।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই নেতার স্নাতকের চূড়ান্ত ভাইবা অনলাইনে নেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। ঐ দুই ছাত্রলীগ নেতারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর নাহিদ ইমন এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান হৃদয়। এদের মধ্যে নাইমুর নাহিদ ইমন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী এবং তৌফিক হাসান হৃদয় ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাইমুর নাহিদ ইমন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী হলেও তিনি দুই বছর ড্রপ দিয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাথে ক্লাস করছেন। অন্যদিকে তৌফিক হাসান হৃদয় এক বছর ড্রপ দিয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাথে ক্লাস করছেন।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল শনিবার ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের চূড়ান্ত ভাইবা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে নাইমুর নাহিদ ইমন এবং তৌফিক হাসান হৃদয়ও অংশগ্রহণ করার কথা। কিন্তু নাইমুর নাহিদ ইমন ও তৌফিক হাসান হৃদয় ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছেন। সে জন্য মানবিক কারণ দেখিয়ে বিভাগ তাদের ভাইবা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে এই দুই শিক্ষার্থী সহ ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের মোট ৬ জন শিক্ষার্থীর নামে বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। অন্য চারজন শিক্ষার্থী হলেন, শেহজাদ হাসান (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), শুভ (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), হাসান (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), রঞ্জু (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ)।

তবে এই বিষয়টি জানাজানি হলে বিভাগ তাদের অনলাইনে ভাইবা নেওয়া থেকে সরে এসেছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এটা সত্য। তবে কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের কাছে এই দুই শিক্ষার্থীর নামে অভিযোগ করেছেন। সে জন্য আমরা অনলাইনে ভাইবা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে এসেছি। ওদেরকে সশরীরেই ভাইবাতে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

ট্যাগস :

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী খুন

ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছে ছাত্রলীগের দুই কর্মী, তাই অনলাইন ভাইবা দিতে চায় তারা

পাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগ নেতাদের ভাইবা অনলাইনে নেওয়ার গুঞ্জন

আপডেট সময় ০৩:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই নেতার স্নাতকের চূড়ান্ত ভাইবা অনলাইনে নেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। ঐ দুই ছাত্রলীগ নেতারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুর নাহিদ ইমন এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান হৃদয়। এদের মধ্যে নাইমুর নাহিদ ইমন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী এবং তৌফিক হাসান হৃদয় ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাইমুর নাহিদ ইমন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী হলেও তিনি দুই বছর ড্রপ দিয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাথে ক্লাস করছেন। অন্যদিকে তৌফিক হাসান হৃদয় এক বছর ড্রপ দিয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাথে ক্লাস করছেন।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল শনিবার ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের চূড়ান্ত ভাইবা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে নাইমুর নাহিদ ইমন এবং তৌফিক হাসান হৃদয়ও অংশগ্রহণ করার কথা। কিন্তু নাইমুর নাহিদ ইমন ও তৌফিক হাসান হৃদয় ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছেন। সে জন্য মানবিক কারণ দেখিয়ে বিভাগ তাদের ভাইবা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে এই দুই শিক্ষার্থী সহ ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের মোট ৬ জন শিক্ষার্থীর নামে বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। অন্য চারজন শিক্ষার্থী হলেন, শেহজাদ হাসান (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), শুভ (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), হাসান (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ), রঞ্জু (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ)।

তবে এই বিষয়টি জানাজানি হলে বিভাগ তাদের অনলাইনে ভাইবা নেওয়া থেকে সরে এসেছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এটা সত্য। তবে কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের কাছে এই দুই শিক্ষার্থীর নামে অভিযোগ করেছেন। সে জন্য আমরা অনলাইনে ভাইবা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে বের হয়ে এসেছি। ওদেরকে সশরীরেই ভাইবাতে অংশগ্রহণ করতে হবে।’