ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্যাসিবাদ হাসিনা থাকলে বন্যার্তদের কাছে ত্রাণ যেত না: এ্যানি

  • মোশারফ হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 38

ফ্যাসিবাদ হাসিনা থাকলে বন্যার্তদের কাছে ত্রাণ যেত না: এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘সরকারের হাত অনেক লম্বা। সরকার যা করতে পারবে, আমরা তা পারব না। আজকে যদি ফ্যাসিবাদ হাসিনা থাকত, ত্রাণ বন্যার্তদের কাছে যেত না। অতীতে যেভাবে লুণ্ঠন হয়েছে, ডাকাতি হয়েছে, দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট হয়েছে।

ঠিক তাই হতো। কিন্তু এখন দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে। এ সরকার ইচ্ছা করলে আপনাদের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছাতে পারে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাঞ্চানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (বোর্ড স্কুল) সামনে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বন্যার্তদের মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরে অতিথিরা বন্যায় দুর্গতদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এ্যানি বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনি অত্যন্ত সজ্জন ও সম্মানিত ব্যক্তি। আন্দোলনের পর থেকে আমরা এখন পর্যন্ত আপনাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আগামী দিনে এ বৃহত্তর নোয়াখালী, তথা আমাদের এ লক্ষ্মীপুরেও আপনি ব্যাপকভাবে আমাদের বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।

সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেবেন- এ আহ্বান করি। তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে ও খালেদা জিয়ার পরামর্শে আমরা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এ বন্যার পানি বৃষ্টির নয়। এটি ঢলের পানি।

ভারত দেড় থেকে দুই কিলোমিটার বাঁধ কেটে দেওয়ায় প্রথমে ফেনীর মুহুরী নদীতে প্রবাহিত হয়েছে। পানির স্রোতে ফেনী সর্বপ্রথম ভেসে যায়। এরপর নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর হয়ে সেই পানি প্রবাহিত হয়েছে মেঘনা নদীতে। লক্ষ্মীপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল এখনো পানিতে ডুবে আছে। পানি সম্পূর্ণ নেমে যায়নি। পানি নেমে যাওয়ার মধ্য দিয়েই এখানকার মানুষ দীর্ঘদিন কঠিন অবস্থার মধ্যে থাকবে। পচা-গলা, রোগ-জীবাণু আমাদের ভীষণ পীড়া দেবে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ কেন্দ্রীয় ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী খুন

ফ্যাসিবাদ হাসিনা থাকলে বন্যার্তদের কাছে ত্রাণ যেত না: এ্যানি

আপডেট সময় ০৭:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘সরকারের হাত অনেক লম্বা। সরকার যা করতে পারবে, আমরা তা পারব না। আজকে যদি ফ্যাসিবাদ হাসিনা থাকত, ত্রাণ বন্যার্তদের কাছে যেত না। অতীতে যেভাবে লুণ্ঠন হয়েছে, ডাকাতি হয়েছে, দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট হয়েছে।

ঠিক তাই হতো। কিন্তু এখন দেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে। এ সরকার ইচ্ছা করলে আপনাদের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছাতে পারে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাঞ্চানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (বোর্ড স্কুল) সামনে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে বন্যার্তদের মাঝে উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরে অতিথিরা বন্যায় দুর্গতদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এ্যানি বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপনি অত্যন্ত সজ্জন ও সম্মানিত ব্যক্তি। আন্দোলনের পর থেকে আমরা এখন পর্যন্ত আপনাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আগামী দিনে এ বৃহত্তর নোয়াখালী, তথা আমাদের এ লক্ষ্মীপুরেও আপনি ব্যাপকভাবে আমাদের বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।

সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেবেন- এ আহ্বান করি। তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশে ও খালেদা জিয়ার পরামর্শে আমরা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এ বন্যার পানি বৃষ্টির নয়। এটি ঢলের পানি।

ভারত দেড় থেকে দুই কিলোমিটার বাঁধ কেটে দেওয়ায় প্রথমে ফেনীর মুহুরী নদীতে প্রবাহিত হয়েছে। পানির স্রোতে ফেনী সর্বপ্রথম ভেসে যায়। এরপর নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর হয়ে সেই পানি প্রবাহিত হয়েছে মেঘনা নদীতে। লক্ষ্মীপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল এখনো পানিতে ডুবে আছে। পানি সম্পূর্ণ নেমে যায়নি। পানি নেমে যাওয়ার মধ্য দিয়েই এখানকার মানুষ দীর্ঘদিন কঠিন অবস্থার মধ্যে থাকবে। পচা-গলা, রোগ-জীবাণু আমাদের ভীষণ পীড়া দেবে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, সদস্যসচিব নিজাম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ কেন্দ্রীয় ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।