ঢাকা ১১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে লুট ২৩৭৫ কোটি টাকা

প্রতি গিগায় প্রাথমিক গড় ব্যয় প্রায় ৪ টাকা বিক্রি ২৫-৩৫ টাকায়

  • লিমন হোসেন
  • আপডেট সময় ০৭:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 66

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর

বনিক র্বাতা:

মোবাইল ইন্টারনেট

প্রতি গিগায় প্রাথমিক গড় ব্যয় প্রায় ৪ টাকা বিক্রি ২৫-৩৫ টাকায়

সেলফোন অপারেটররা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) থেকে প্রতি মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ব্যান্ডউইডথ কিনছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। কোম্পানিগুলো মূলত আইআইজি থেকে স্পিড (গতি) ক্রয় করে। এসব স্পিডকে ক্যাপাসিটি আকারে বিক্রি করে গ্রাহকদের কাছে। এক এমবিপিএস গতির সংযোগে মাস শেষে ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৯২ গিগাবাইট (জিবি)। এ হিসাবে প্রতি জিবি ডাটা কিনতে অপারেটরদের ব্যয় হয় ৫-৬ পয়সা। তবে সংযোগ বিচ্ছিন্নতাসহ অন্যান্য খাতে ৩০ শতাংশ অপচয় সমন্বয় করা হলেও তা দাঁড়ায় ১ হাজার ৮১৪ জিবি। এতে প্রতি জিবি ডাটা কিনতে অপারেটরদের ব্যয় হয় সর্বনিম্ন ৭ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় অপারেটরদের অন্যান্য খরচ। আরেক মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একই ধরনের ব্যয় হয় কোম্পানিটিতেও। কোম্পানিটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও সেবা খাতে ব্যয় হয় ২৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ইন্টারকানেকশন ও রোমিং চার্জ বাবদ ব্যয় হয় ৪৮৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা, নেটওয়ার্ক অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণে ১ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা, বেতন-ভাতায় ৪৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, গাড়ি ব্যবস্থাপনায় ২২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণে ১০২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং ভবন ব্যবস্থাপনায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ কোম্পানিটি প্রত্যক্ষ সেবায় ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় করে।

দেশরুপান্ত:

আত্মীয়চক্রে আতিকের আয়েশি সাম্রাজ্য
ভাতিজা-ভাগিনাসহ আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) পরিবারিক একটি সিন্ডিকেটে পরিণত করেছিলেন সদ্য সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির ছোট-বড় সব খাত থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। লুটপাট থেকে বাদ যায়নি বস্তি উন্নয়নের টাকাও।

তাছাড়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন, নিয়োগ, বদলি ও ময়লা বাণিজ্যসহ ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন রাজধানীর সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে খরচ করেছেন জনগণের করের টাকা। বাড়তি বিল ভাউচারে আপত্তি তোলায় কর্মকর্তাকে বদলি করার মতো নজিরও স্থাপন করেছেন সাবেক মেয়র আতিকুল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য থাকার কারণে শত দুর্নীতি করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি।

দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি ও ডিএনসিসির একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অন্য সুবিধাভোগীদের মতো বেকায়দায় পড়েন মেয়র আতিকুলও। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে নিয়োগ করা হয় প্রশাসক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেয়র না থাকলেও তার লুটপাটের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে এখনো চলছে ডিএনসিসি যারা অনিয়ম-দুর্নীতির নানা নথিপত্র ধামাচাপা দেওয়ার কাজ করছেন বলে অভিযোগও উঠেছে।

গত ১৮ আগস্ট রাতে নগর ভবনে যান সাবেক মেয়র আতিকুল। এ সময় তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা প্রহরীরা ছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনতা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার খবর পেলে তিনি পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যান। সে সময়কার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) টিভি ফুটেজেও ডিএনসিসির এক কর্মকর্তাকে স্পষ্ট দেখা গেছে।

প্রথম আলো:

শেখ হাসিনার নামে ১১৯ হত্যা মামলা, তাঁর মন্ত্রীরাও আসামি

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের ১ মাস
সাবেক মন্ত্রী-উপদেষ্টা, আইজিপি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ ২৩ জন গ্রেপ্তার। ২৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল-সালমান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘাত–সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১১৯টি হত্যা মামলা হয়েছে। এর বাইরে হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে আরও ১১টি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সব মিলিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ১৩০।

৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে একের পর এক মামলা হতে থাকে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী–উপদেষ্টা, আইজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ ২৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৭৬০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪১ জন এবং ৪ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ৪১৯ জন নিহত হন।

এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১৯টি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আন্দোলনের সময় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সদস্যরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তারা হুকুমদাতা, অর্থদাতা এবং পরিকল্পনাকারী।

কালের কন্ঠ:

তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে অস্থিরতা
পোশাক শিল্পাঞ্চলে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে অস্থিরতা চলছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। এই অস্থিরতার কারণে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১৬৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কারখানা এলাকায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ পোশাক কারখানাগুলো আবার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা। অস্থিতিশীলতা দমনে পুরো শক্তি নিয়োগ করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
হিল রাকিব, পরিচালক শোভন ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে সংগঠনের আটজন সাবেক সভাপতিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংকট উত্তরণে করণীয় ঠিক করতে বৈঠক করেন।
বৈঠকে পোশাক কারখানার মালিক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, উদ্ভট সব দাবির আড়ালে শ্রমিকদের উসকে দিয়ে একটি বিশেষ শ্রেণি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

তিনি বলেন, বহিরাগতদের হামলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এখন সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশের গোয়েন্দারা কঠোর অবস্থানে থাকবেন বলেছেন।

নয়াদিগন্ত:

ভারতের বাংলাদেশ দ্বিধা : শেখ হাসিনা কী করবেন?
ভারতে শেখ হাসিনার অব্যাহত উপস্থিতি ঢাকার নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দিল্লির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ভারতের কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী দেশ নয়। এটি একটি কৌশলগত অংশীদার এবং ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘনিষ্ঠ মিত্র, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দু’টি দেশ ৪,০৯৬ কিলোমিটার (২,৫৪৫ মাইল) দীর্ঘ একটি ছিদ্রযুক্ত সীমান্ত ভাগ করে যা ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করা তুলনামূলকভাবে সহজ করে তোলে।

২০১০ সাল থেকে, ভারত অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে সাত বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ দিয়েছে। এখন হাসিনার আকস্মিক প্রস্থানে দিল্লিকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে যাতে এই লাভগুলো নষ্ট না হয়। ঢাকার প্রাক্তন ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘এটি এই অর্থে একটি ধাক্কা যে আমাদের আশপাশে যেকোনো অশান্তি সবসময়ই অবাঞ্ছিত। তবে দিল্লির ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করার ‘কোন বিকল্প নেই’ এবং ‘তারা অভ্যন্তরীণভাবে যা করবে তা আপনি নির্দেশ করতে পারবেন না।’
যাইহোক, গত ১৫ বছর ধরে হাসিনা এবং তার আওয়ামী লীগের প্রতি অটল সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের ক্ষোভ প্রশমিত করতে দিল্লির কিছুটা সময় লাগবে।

অনেক বাংলাদেশী ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভের জন্য দায়ী করেছেন ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগের মধ্যে হাসিনার দলের জয়ী তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে দিল্লির দ্রুত সমর্থন করাকে। হাসিনার পতনের সাথে, দিল্লির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিটি আরেকটি ধাক্কা খেয়েছে যেখানে বাংলাদেশ ভারতের আধিপত্য বিস্তারের যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে মালদ্বীপ এবং নেপালের সাথে যোগ দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে দিল্লি যদি একটি আঞ্চলিক শক্তিঘর হিসেবে তার মর্যাদা রক্ষা করতে চায় তবে অন্য প্রতিবেশী দেশে তার প্রভাব হারাতে পারে না- বিশেষত প্রতিদ্বন্দ্বী চীনও এই অঞ্চলে প্রভাবের জন্য বেশ তৎপর। মাত্র গত বছর, মহম্মদ মুইজ্জু মালদ্বীপে তার প্রকাশ্য ভারতবিরোধী অবস্থানের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হন।

যুগান্তর:

সারা দেশে আজ শহিদি মার্চ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিজয়ের এক মাস,কাল শুরু হবে সমন্বয়কদের বিভাগ ও জেলা সফর: মার্চে থাকবে শহিদদের ছবি, অনুপ্রেরণার উক্তি সরকারের কাছে চাওয়া নিয়ে বক্তব্য
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ১ মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিলে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

তবে এ আন্দোলন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থী-জনতার সংঘর্ষ ও নির্বিচার গুলিতে আটশর বেশি মানুষকে বিসর্জন দিতে হয়েছে প্রাণ। এর মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাদের হাজারেরও বেশি এখনো হাসপাতালের শয্যায় কাতরাছেন। এদের অনেকের হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে, কেউ কেউ হারিয়েছেন চোখ।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ১ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ সারা দেশে ‘শহিদি মার্চ’ করবে সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কেন্দ্রীয়ভাবে মার্চটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বেলা ৩টায় শুরু হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, ধানমন্ডি, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শেষ হবে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি শহিদদের স্মরণ করে ছবি, উক্তিসহ বিভিন্ন স্মারক নিয়ে ছাত্র-জনতাকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও যথেচ্ছাচারে গত ১৫ বছরে দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যে সঙ্গিন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মুক্তির আশায় রয়েছেন দেশবাসী।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি কাঠামোতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে দেশ হয়ে ওঠে সত্যিকারের কল্যাণমুখী। এরইমধ্যে এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ পদে এসেছে পরিবর্তন। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পরিবর্তন এসেছে।

২০২৪ সালের ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এরপর দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন শুরু করলে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নের শিকার হন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনকে আরও বেগবান করার জন্য ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয় এটি।

সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা নিজ নিজ জায়গা থেকে শহিদি মার্চে অংশ নেবেন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরসহ দেশের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শহিদি মার্চ পালিত হবে।

সারজিস আলম বলেন, আন্দোলনের শহিদদের ছবি থাকতে পারে। যে কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছেন, সেসব কথা প্ল্যাকার্ডে থাকতে পারে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কী চাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাছে কী চাই-এসবও থাকতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী পুনর্গঠিত হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হবে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি প্রতিরোধ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও কাজ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে আইন নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র আন্দোলনে যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের চিহ্নিত করতে আমরা একটি টিম গঠন করছি।

কাল থেকে সমন্বয়করা সারা দেশে বিভাগীয় ও জেলাভিত্তিক সফর শুরু করবেন উল্লেখ করে আবু বাকের মজুমদার আরও বলেন, ‘জন-ঐক্য তৈরি করার লক্ষ্যে এই সফর। জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে গঠন হবে আগামীর বাংলাদেশ।

মানজমিন:

আমরা তোমাদের ভুলবো না
ছেলেটি হাসপাতালের বেডে বসে আছে। মুখে হাসি। এক ফোঁটা দুঃখও নেই কোথাও। কে বলবে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে তার কথা, ‘আঙ্কেল লাগলে আবার যামু, দরকার হলে আরেকটা হাত দিমু।’ মুহূর্তে মনে হানা দেয় হুমায়ূন আহমেদের একটি গল্প। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা। যুদ্ধে পা হারায় ছেলেটি। ক্র্যাচে ভর দিয়ে বাড়ি ফিরে এসে দেখে প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে। এটা তার জীবনে তেমন কোনো ছাপ ফেলে না। সে ভাবে ‘একটি স্বাধীনতার কাছে এ ক্ষতি সামান্য।’ যদিও মা রহিমা তেমনটা ভাবতে পারেন না।

জীবন তার সুবিশাল বাহু তার দিকে প্রসারিত করেনি। রাতে তার ঘুম হয় না।
জিহাদ হাসান মাহিম। আমাদের কলিগ পিন্টু আনোয়ারের আত্মীয়। ১৯শে জুলাই একবার গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। বাবা-মা সতর্ক করেছিল তাকে। বাবা আর যাইস না। সে বলেছিল, আমরা না গেলে দেশ পরিষ্কার হবে কীভাবে! ৫ই আগস্ট সকাল থেকেই উত্তেজনা। মাকে ফাঁকি দেয়ার জন্য মাহিম বলেছিল, ডিম সিদ্ধ বসাও। মা যেন বুঝতে না পারে মোবাইলটাও বাসায় রেখে বের হয়ে যায়। সেই ডিম নিয়ে মায়ের অপেক্ষা শেষ হয়নি। মাহিম তার ঘরে ফিরতে পারেনি। কোনোদিন পারবেও না।

আবু সাঈদ, মুগ্ধদের নাম আমরা জানি। অসংখ্য শহীদের নাম আমরা কেউ জানি না। বাংলা মায়ের মাটিতে কোথাও কি তাদের কবর হয়েছে? নাকি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তাদের? ভ্যানগাড়িতে ময়লার মতো লাশ ফেলা হচ্ছে। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ক’দিন আগে। আরও ভিডিও সামনে আসছে। আসছে লোমহর্ষক সব ছবি।

৫ই আগস্ট থেকে ৫ই সেপ্টেম্বর। একদা অসম্ভব মনে হওয়া হাসিনার পতনের এক মাস হলো। রাষ্ট্র এখনো পুরোপুরি স্থির হয়নি। একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে। কেউ কেউ বলছেন, ষড়যন্ত্র। ভিনদেশি শেয়ারহোল্ডাররা চেষ্টা করছেন সবকিছু অচল করার। রাজনৈতিক দলগুলোও যথাযথ ভূমিকা রাখছে কি-না সে প্রশ্নও উঠছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

হার্ডলাইনে সরকার

♦ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স ♦ দুর্নীতির মূলোৎপাটনে নির্দেশনা ♦ বিশেষ অভিযান চলছে ♦ শিল্পকারখানার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ♦ প্রশাসনে জবাবদিহি ♦ আর্থিক খাতে কার্যকর সংস্কার
রাষ্ট্র পরিচালনায় হার্ডলাইন নিয়েছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে দুর্নীতির মূলোৎপাটনের। একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি, আইন, বিচার ও নির্বাহী- এই তিন বিভাগের সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক সংস্থাগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ব্যবসাবাণিজ্যে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির পাশাপাশি বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারেও নজর রয়েছে সরকারের। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর উপদেষ্টা পরিষদকে এ সরকারের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র মেরামতের যে সুযোগ এসেছে, তা থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রধান উপদেষ্টার এই বার্তা একইভাবে সরকারের সচিব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব স্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার তার অগ্রাধিকারের মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, দুর্নীতি নির্মূল, সমাজে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের ওপর। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযান। শুরুতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে। এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, বিশেষ অভিযানের শুরুতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জুয়েলারি শিল্পের মাফিয়া ও স্বর্ণ চোরাচালানের সিন্ডিকেটের হোতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে। এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে জুয়েলারি শিল্প সিন্ডিকেটমুক্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুধু জুয়েলারি শিল্প নয়, দেশের ব্যবসাবাণিজ্যের সব খাতকেই সিন্ডিকেটমুক্ত করার লক্ষ্য গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এই সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সরকারের নীতি-নির্ধারকরা। উপরন্তু শিল্প-কারখানায় অস্থিরতা নিরসনে শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সমকাল:

বিশৃঙ্খলা রোধে কঠোর সরকার পোশাক কারখানা খুলছে আজ
সরকারের পক্ষে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সব কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। গত কয়েক দিনের মতো গতকাল বুধবারও পোশাকশিল্প অধ্যুষিত এলাকায় বিক্ষোভ-ভাঙচুর হলে অন্তত ১৬৭ প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজধানীর উত্তরায় নিজস্ব ভবনে বৈঠকে বসেন বিজিএমইএ নেতারা। এতে সংগঠনের সাবেক ছয় সভাপতি, সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিল্প পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠকে যৌথ বাহিনী বিশৃঙ্খলা রোধে কঠোর অবস্থানের আশ্বাস দিলে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ী নেতারা।

পরে সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী থেকে আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বিশৃঙ্খলাকারীদের গ্রেপ্তার করবে তারা। পোশাক মালিকরা আশ্বস্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে সব কারখানা খোলা রাখা হবে।
এতদিন শিল্প এলাকায় সেনাবাহিনী টহল দিয়েছে। যৌথ বাহিনী হলেও ছিল না গ্রেপ্তারের ক্ষমতা।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা মতামত দেন, এতদিন যৌথ বাহিনী আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে বিরত রাখার চেষ্টা করেছে। এতে হিতে বিপরীত হয়েছে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে। বিশৃঙ্খলা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়। ব্যবসায়ী নেতারা নারীর চেয়ে পুরুষ শ্রমিক বেশি নিয়োগের দাবিকে ‘অদ্ভুত’ বলেও মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘যেভাবেই হোক কারখানা নিরাপদ রাখা হবে– যৌথ বাহিনী এমন আশ্বাস দিয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ নিজেদের মতো পরিকল্পনা করছে। শ্রমিক নেতারাও সহায়তা দেবেন। সবকিছু ইতিবাচক মনে হওয়ায় কারখানা চালু রাখা হবে।’

দৈনিক সংগ্রাম:

আগামীতে জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট দেখতে চায় বিএনপি —–তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আগামীতে জাতীয় সরকার ব্যবস্থায় দেশ পরিচালনা ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট সংবিধানে সংযুক্ত দেখতে চায়। ধারাবাহিক কর্মসূচির শেষ পর্বে গতকাল বুধবার ঢাকা বিভাগে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের পূর্বসূরীরা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। এই যুদ্ধ জয়ের মূল শক্তি ছিল, প্রশ্নহীন জাতীয় ঐক্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, স্বাধীনতার পর আমরা সেই ঐক্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারিনি। অত্যাবশ্যকীয় একটা জাতীয় সরকারের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসায় দেশ বিভক্ত হয়ে পড়েছে প্রথম দিন থেকেই। ফলে একটা বিরাট অংশ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেশ গঠন কোনো অবদান রাখতে পারেনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দেখেছি দলীয় সরকারে কিভাবে একটি দলের লোকজন বিচরণ করে সর্বত্র, আর অন্য সবার অবস্থান হয়ে পড়ে তুচ্ছ আর গৌণ। ফলে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর সেবা থেকে দেশ বঞ্চিত হয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপর জাতীয় ঐক্যের শক্তিকে ব্যবহার না করে যে সুযোগ সেদিন হাতছাড়া করা হয়েছে, আগামী দিনে আমরা সেটার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আগামীতে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা দেখতে চায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, এদেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে যারা অংশ গ্রহণ করেছেন, তারা সকলে আগামীতে দেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন, যাতে দেশ তাদের অবদানের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়।

তিনি বলেন, আমাদের আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার পরিকল্পনার কথা দেশবাসীকে জানানো প্রয়োজন মনে করছি। দেশে প্রথাগত রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন কিন্তু দেশ গঠন, উন্নয়ন ও পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে চান এমন অসংখ্য জ্ঞানী, গুণী শিক্ষক, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, চিকিৎসক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, মানবতাকর্মী রয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতে তাদের পক্ষে সংসদে সদস্য হিসাবে অবদান রাখার সুযোগ নেই। তাদের সেবা আর অবদান দেশের কাজে লাগাতে বিএনপি পৃথিবীর অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও উচ্চ কক্ষসহ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত দেখতে চায়। তিনি বলেন, আমি বিনয়ের সাথে শুধু আমাদের আগামীর পরিকল্পনা আর সদিচ্ছার কথা জানাতে পারি, কারণ আমরা জানি- দেশের মানুষের সমর্থনই কেবলমাত্র আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহয়তা করতে পারে।

তারেক রহমান বলেন, আশাকরি জনগণ নিশ্চয়ই সেই সব দল বা ব্যক্তিকে জাতীয় সরকারে সামিল দেখতে চাইবেন না, যারা পুরো দেশটাকে একটা দল আর পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল। যারা তথাকথিত উন্নয়নের নামে আমাদের প্রত্যেকের কাঁধে লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশে গড়েছে সম্পদের পাহাড়। গুম-খুন হামলা-মামলা নির্যাতনে দেশের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, চাল ডাল লবন তেল ওষুধের দাম মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে। আইন বিচার নির্বাহী বিভাগসহ রাষ্ট্রের সবগুলো স্তম্ভ ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এমন কি পালিয়ে যাবার পূর্ব মুহূর্তেও শত শত নিরীহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত করেছে বাংলাদেশের রাজধানী থেকে প্রতিটি জেলা উপজেলা, জনগণ নিশ্চয়ই সেই জালেমদের জাতীয় সরকারে অন্তর্ভুক্ত দেখতে চাইবেন না।

কালবেলা:

ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে লুট ২৩৭৫ কোটি টাকা
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি খাতের ব্যাংক আইএফআইসি। জাতীয় নির্বাচন এলেই ব্যাংকটির কার্যক্রমে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করা যেত। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র এক বছর বয়সী পাঁচ কোম্পানিকে ব্যাংকটি ঋণ দিয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে কোম্পানিগুলোর ঋণসীমা বৃদ্ধি করে ব্যাংকটি। অথচ এসব কোম্পানির নেই কোনো ওয়েবসাইট। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া প্রতিবেদনেও দেওয়া হয়নি কোনো ঠিকানা। এসব ঋণের সুবিধাভোগী হিসেবে মনে করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অডিটের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএফআইসি ব্যাংকের ফেডারেশন ও প্রিন্সিপাল শাখা পাঁচটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৩৭৫ কোটির ঋণ বিতরণ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, ব্রাইটস্টার বিজনেস লিমিটেড, অ্যালট্রন ট্রেডিং লিমিটেড, ফারইস্ট বিজনেস লিমিটেড, সানস্টার বিজনেস লিমিটেড ও কসমস কমোডিটিস।

অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, ব্যাংকটির ফেডারেশন শাখার গ্রাহক ব্রাইটস্টার বিজনেস লিমিটেড ২০২২ সালের ২৭ জুলাই কথিত ব্যবসা শুরু করেছে। একই শাখার অন্য গ্রাহক অ্যালট্রন ট্রেডিং লিমিটেড প্রায় একই সময়ে ব্যবসা শুরু করে। নামসর্বস্ব এ দুটি কোম্পানির কোনো ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ছাড়াই দ্রুততার সঙ্গে হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাইটস্টারকে হিসাব খোলার মাত্র ২০ দিনে ৮৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। অন্য কোম্পানি অ্যালট্রনকে হিসাব খোলার ২৭ দিনের মাথায় ৯৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। ঋণ অনুমোদন করার পরপরই দ্রুততার সঙ্গে ঋণের টাকা ছাড়ও করা হয়। এরপর ২০২৩ সালে আগস্ট পর্যন্ত অ্যালট্রনের ঋণ বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়ায় ৪৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে এই দুই প্রতিষ্ঠানের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০৭ কোটি টাকা।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে লুট ২৩৭৫ কোটি টাকা

প্রতি গিগায় প্রাথমিক গড় ব্যয় প্রায় ৪ টাকা বিক্রি ২৫-৩৫ টাকায়

আপডেট সময় ০৭:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর

বনিক র্বাতা:

মোবাইল ইন্টারনেট

প্রতি গিগায় প্রাথমিক গড় ব্যয় প্রায় ৪ টাকা বিক্রি ২৫-৩৫ টাকায়

সেলফোন অপারেটররা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) থেকে প্রতি মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ব্যান্ডউইডথ কিনছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়। কোম্পানিগুলো মূলত আইআইজি থেকে স্পিড (গতি) ক্রয় করে। এসব স্পিডকে ক্যাপাসিটি আকারে বিক্রি করে গ্রাহকদের কাছে। এক এমবিপিএস গতির সংযোগে মাস শেষে ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৯২ গিগাবাইট (জিবি)। এ হিসাবে প্রতি জিবি ডাটা কিনতে অপারেটরদের ব্যয় হয় ৫-৬ পয়সা। তবে সংযোগ বিচ্ছিন্নতাসহ অন্যান্য খাতে ৩০ শতাংশ অপচয় সমন্বয় করা হলেও তা দাঁড়ায় ১ হাজার ৮১৪ জিবি। এতে প্রতি জিবি ডাটা কিনতে অপারেটরদের ব্যয় হয় সর্বনিম্ন ৭ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৯ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় অপারেটরদের অন্যান্য খরচ। আরেক মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একই ধরনের ব্যয় হয় কোম্পানিটিতেও। কোম্পানিটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও সেবা খাতে ব্যয় হয় ২৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ইন্টারকানেকশন ও রোমিং চার্জ বাবদ ব্যয় হয় ৪৮৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা, নেটওয়ার্ক অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণে ১ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা, বেতন-ভাতায় ৪৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, গাড়ি ব্যবস্থাপনায় ২২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণে ১০২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং ভবন ব্যবস্থাপনায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ কোম্পানিটি প্রত্যক্ষ সেবায় ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় করে।

দেশরুপান্ত:

আত্মীয়চক্রে আতিকের আয়েশি সাম্রাজ্য
ভাতিজা-ভাগিনাসহ আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) পরিবারিক একটি সিন্ডিকেটে পরিণত করেছিলেন সদ্য সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির ছোট-বড় সব খাত থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। লুটপাট থেকে বাদ যায়নি বস্তি উন্নয়নের টাকাও।

তাছাড়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন, নিয়োগ, বদলি ও ময়লা বাণিজ্যসহ ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন রাজধানীর সেবাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটিকে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে খরচ করেছেন জনগণের করের টাকা। বাড়তি বিল ভাউচারে আপত্তি তোলায় কর্মকর্তাকে বদলি করার মতো নজিরও স্থাপন করেছেন সাবেক মেয়র আতিকুল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য থাকার কারণে শত দুর্নীতি করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি।

দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি ও ডিএনসিসির একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগের অন্য সুবিধাভোগীদের মতো বেকায়দায় পড়েন মেয়র আতিকুলও। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে নিয়োগ করা হয় প্রশাসক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেয়র না থাকলেও তার লুটপাটের সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে এখনো চলছে ডিএনসিসি যারা অনিয়ম-দুর্নীতির নানা নথিপত্র ধামাচাপা দেওয়ার কাজ করছেন বলে অভিযোগও উঠেছে।

গত ১৮ আগস্ট রাতে নগর ভবনে যান সাবেক মেয়র আতিকুল। এ সময় তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা প্রহরীরা ছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনতা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার খবর পেলে তিনি পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে যান। সে সময়কার ক্লোজ সার্কিট (সিসি) টিভি ফুটেজেও ডিএনসিসির এক কর্মকর্তাকে স্পষ্ট দেখা গেছে।

প্রথম আলো:

শেখ হাসিনার নামে ১১৯ হত্যা মামলা, তাঁর মন্ত্রীরাও আসামি

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের ১ মাস
সাবেক মন্ত্রী-উপদেষ্টা, আইজিপি ও সরকারি কর্মকর্তাসহ ২৩ জন গ্রেপ্তার। ২৫ দিনের রিমান্ডে আনিসুল-সালমান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সংঘাত–সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে ১১৯টি হত্যা মামলা হয়েছে। এর বাইরে হত্যাচেষ্টা ও অপহরণের অভিযোগে আরও ১১টি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সব মিলিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল ১৩০।

৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে একের পর এক মামলা হতে থাকে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী–উপদেষ্টা, আইজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ ২৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৭৬০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪১ জন এবং ৪ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত ৪১৯ জন নিহত হন।

এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১৯টি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আন্দোলনের সময় নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সদস্যরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তারা হুকুমদাতা, অর্থদাতা এবং পরিকল্পনাকারী।

কালের কন্ঠ:

তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে অস্থিরতা
পোশাক শিল্পাঞ্চলে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনে অস্থিরতা চলছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। এই অস্থিরতার কারণে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১৬৭টি পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কারখানা এলাকায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ পোশাক কারখানাগুলো আবার চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা। অস্থিতিশীলতা দমনে পুরো শক্তি নিয়োগ করবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
হিল রাকিব, পরিচালক শোভন ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে সংগঠনের আটজন সাবেক সভাপতিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংকট উত্তরণে করণীয় ঠিক করতে বৈঠক করেন।
বৈঠকে পোশাক কারখানার মালিক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, উদ্ভট সব দাবির আড়ালে শ্রমিকদের উসকে দিয়ে একটি বিশেষ শ্রেণি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

তিনি বলেন, বহিরাগতদের হামলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এখন সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশের গোয়েন্দারা কঠোর অবস্থানে থাকবেন বলেছেন।

নয়াদিগন্ত:

ভারতের বাংলাদেশ দ্বিধা : শেখ হাসিনা কী করবেন?
ভারতে শেখ হাসিনার অব্যাহত উপস্থিতি ঢাকার নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দিল্লির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ভারতের কাছে বাংলাদেশ শুধু প্রতিবেশী দেশ নয়। এটি একটি কৌশলগত অংশীদার এবং ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘনিষ্ঠ মিত্র, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দু’টি দেশ ৪,০৯৬ কিলোমিটার (২,৫৪৫ মাইল) দীর্ঘ একটি ছিদ্রযুক্ত সীমান্ত ভাগ করে যা ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো থেকে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করা তুলনামূলকভাবে সহজ করে তোলে।

২০১০ সাল থেকে, ভারত অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে সাত বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঋণ দিয়েছে। এখন হাসিনার আকস্মিক প্রস্থানে দিল্লিকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে যাতে এই লাভগুলো নষ্ট না হয়। ঢাকার প্রাক্তন ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘এটি এই অর্থে একটি ধাক্কা যে আমাদের আশপাশে যেকোনো অশান্তি সবসময়ই অবাঞ্ছিত। তবে দিল্লির ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করার ‘কোন বিকল্প নেই’ এবং ‘তারা অভ্যন্তরীণভাবে যা করবে তা আপনি নির্দেশ করতে পারবেন না।’
যাইহোক, গত ১৫ বছর ধরে হাসিনা এবং তার আওয়ামী লীগের প্রতি অটল সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের ক্ষোভ প্রশমিত করতে দিল্লির কিছুটা সময় লাগবে।

অনেক বাংলাদেশী ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভের জন্য দায়ী করেছেন ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগের মধ্যে হাসিনার দলের জয়ী তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে দিল্লির দ্রুত সমর্থন করাকে। হাসিনার পতনের সাথে, দিল্লির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিটি আরেকটি ধাক্কা খেয়েছে যেখানে বাংলাদেশ ভারতের আধিপত্য বিস্তারের যেকোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে মালদ্বীপ এবং নেপালের সাথে যোগ দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে দিল্লি যদি একটি আঞ্চলিক শক্তিঘর হিসেবে তার মর্যাদা রক্ষা করতে চায় তবে অন্য প্রতিবেশী দেশে তার প্রভাব হারাতে পারে না- বিশেষত প্রতিদ্বন্দ্বী চীনও এই অঞ্চলে প্রভাবের জন্য বেশ তৎপর। মাত্র গত বছর, মহম্মদ মুইজ্জু মালদ্বীপে তার প্রকাশ্য ভারতবিরোধী অবস্থানের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী হন।

যুগান্তর:

সারা দেশে আজ শহিদি মার্চ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিজয়ের এক মাস,কাল শুরু হবে সমন্বয়কদের বিভাগ ও জেলা সফর: মার্চে থাকবে শহিদদের ছবি, অনুপ্রেরণার উক্তি সরকারের কাছে চাওয়া নিয়ে বক্তব্য
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ১ মাস পূর্ণ হচ্ছে আজ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিলে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

তবে এ আন্দোলন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থী-জনতার সংঘর্ষ ও নির্বিচার গুলিতে আটশর বেশি মানুষকে বিসর্জন দিতে হয়েছে প্রাণ। এর মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ, যাদের হাজারেরও বেশি এখনো হাসপাতালের শয্যায় কাতরাছেন। এদের অনেকের হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে, কেউ কেউ হারিয়েছেন চোখ।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ১ মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ সারা দেশে ‘শহিদি মার্চ’ করবে সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কেন্দ্রীয়ভাবে মার্চটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বেলা ৩টায় শুরু হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, কলাবাগান, ধানমন্ডি, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শেষ হবে।

বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি শহিদদের স্মরণ করে ছবি, উক্তিসহ বিভিন্ন স্মারক নিয়ে ছাত্র-জনতাকে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও যথেচ্ছাচারে গত ১৫ বছরে দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যে সঙ্গিন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মুক্তির আশায় রয়েছেন দেশবাসী।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেটি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি কাঠামোতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে দেশ হয়ে ওঠে সত্যিকারের কল্যাণমুখী। এরইমধ্যে এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ পদে এসেছে পরিবর্তন। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও পরিবর্তন এসেছে।

২০২৪ সালের ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এরপর দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন শুরু করলে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নের শিকার হন শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনকে আরও বেগবান করার জন্য ৮ জুলাই সংগঠনটি ৬৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করে, যার মধ্যে ২৩ জন সমন্বয়ক ও ৪২ জন সহ-সমন্বয়ক ছিলেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয় এটি।

সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা নিজ নিজ জায়গা থেকে শহিদি মার্চে অংশ নেবেন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরসহ দেশের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শহিদি মার্চ পালিত হবে।

সারজিস আলম বলেন, আন্দোলনের শহিদদের ছবি থাকতে পারে। যে কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছেন, সেসব কথা প্ল্যাকার্ডে থাকতে পারে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কী চাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাছে কী চাই-এসবও থাকতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশব্যাপী পুনর্গঠিত হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হবে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি প্রতিরোধ। জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও কাজ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে আইন নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র আন্দোলনে যারা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের চিহ্নিত করতে আমরা একটি টিম গঠন করছি।

কাল থেকে সমন্বয়করা সারা দেশে বিভাগীয় ও জেলাভিত্তিক সফর শুরু করবেন উল্লেখ করে আবু বাকের মজুমদার আরও বলেন, ‘জন-ঐক্য তৈরি করার লক্ষ্যে এই সফর। জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে গঠন হবে আগামীর বাংলাদেশ।

মানজমিন:

আমরা তোমাদের ভুলবো না
ছেলেটি হাসপাতালের বেডে বসে আছে। মুখে হাসি। এক ফোঁটা দুঃখও নেই কোথাও। কে বলবে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে তার কথা, ‘আঙ্কেল লাগলে আবার যামু, দরকার হলে আরেকটা হাত দিমু।’ মুহূর্তে মনে হানা দেয় হুমায়ূন আহমেদের একটি গল্প। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা। যুদ্ধে পা হারায় ছেলেটি। ক্র্যাচে ভর দিয়ে বাড়ি ফিরে এসে দেখে প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে। এটা তার জীবনে তেমন কোনো ছাপ ফেলে না। সে ভাবে ‘একটি স্বাধীনতার কাছে এ ক্ষতি সামান্য।’ যদিও মা রহিমা তেমনটা ভাবতে পারেন না।

জীবন তার সুবিশাল বাহু তার দিকে প্রসারিত করেনি। রাতে তার ঘুম হয় না।
জিহাদ হাসান মাহিম। আমাদের কলিগ পিন্টু আনোয়ারের আত্মীয়। ১৯শে জুলাই একবার গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। বাবা-মা সতর্ক করেছিল তাকে। বাবা আর যাইস না। সে বলেছিল, আমরা না গেলে দেশ পরিষ্কার হবে কীভাবে! ৫ই আগস্ট সকাল থেকেই উত্তেজনা। মাকে ফাঁকি দেয়ার জন্য মাহিম বলেছিল, ডিম সিদ্ধ বসাও। মা যেন বুঝতে না পারে মোবাইলটাও বাসায় রেখে বের হয়ে যায়। সেই ডিম নিয়ে মায়ের অপেক্ষা শেষ হয়নি। মাহিম তার ঘরে ফিরতে পারেনি। কোনোদিন পারবেও না।

আবু সাঈদ, মুগ্ধদের নাম আমরা জানি। অসংখ্য শহীদের নাম আমরা কেউ জানি না। বাংলা মায়ের মাটিতে কোথাও কি তাদের কবর হয়েছে? নাকি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তাদের? ভ্যানগাড়িতে ময়লার মতো লাশ ফেলা হচ্ছে। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ক’দিন আগে। আরও ভিডিও সামনে আসছে। আসছে লোমহর্ষক সব ছবি।

৫ই আগস্ট থেকে ৫ই সেপ্টেম্বর। একদা অসম্ভব মনে হওয়া হাসিনার পতনের এক মাস হলো। রাষ্ট্র এখনো পুরোপুরি স্থির হয়নি। একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে। কেউ কেউ বলছেন, ষড়যন্ত্র। ভিনদেশি শেয়ারহোল্ডাররা চেষ্টা করছেন সবকিছু অচল করার। রাজনৈতিক দলগুলোও যথাযথ ভূমিকা রাখছে কি-না সে প্রশ্নও উঠছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

হার্ডলাইনে সরকার

♦ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স ♦ দুর্নীতির মূলোৎপাটনে নির্দেশনা ♦ বিশেষ অভিযান চলছে ♦ শিল্পকারখানার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ♦ প্রশাসনে জবাবদিহি ♦ আর্থিক খাতে কার্যকর সংস্কার
রাষ্ট্র পরিচালনায় হার্ডলাইন নিয়েছে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে দুর্নীতির মূলোৎপাটনের। একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি, আইন, বিচার ও নির্বাহী- এই তিন বিভাগের সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক সংস্থাগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ব্যবসাবাণিজ্যে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির পাশাপাশি বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারেও নজর রয়েছে সরকারের। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর উপদেষ্টা পরিষদকে এ সরকারের লক্ষ্য ও অগ্রাধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতার রক্তস্নাত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র মেরামতের যে সুযোগ এসেছে, তা থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রধান উপদেষ্টার এই বার্তা একইভাবে সরকারের সচিব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব স্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার তার অগ্রাধিকারের মধ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা, দুর্নীতি নির্মূল, সমাজে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা ও সংস্কারের ওপর। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযান। শুরুতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে। এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, বিশেষ অভিযানের শুরুতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জুয়েলারি শিল্পের মাফিয়া ও স্বর্ণ চোরাচালানের সিন্ডিকেটের হোতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে। এই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে জুয়েলারি শিল্প সিন্ডিকেটমুক্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শুধু জুয়েলারি শিল্প নয়, দেশের ব্যবসাবাণিজ্যের সব খাতকেই সিন্ডিকেটমুক্ত করার লক্ষ্য গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এই সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সরকারের নীতি-নির্ধারকরা। উপরন্তু শিল্প-কারখানায় অস্থিরতা নিরসনে শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

সমকাল:

বিশৃঙ্খলা রোধে কঠোর সরকার পোশাক কারখানা খুলছে আজ
সরকারের পক্ষে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সব কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। গত কয়েক দিনের মতো গতকাল বুধবারও পোশাকশিল্প অধ্যুষিত এলাকায় বিক্ষোভ-ভাঙচুর হলে অন্তত ১৬৭ প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজধানীর উত্তরায় নিজস্ব ভবনে বৈঠকে বসেন বিজিএমইএ নেতারা। এতে সংগঠনের সাবেক ছয় সভাপতি, সেনাবাহিনী, পুলিশ, শিল্প পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি অংশ নেন। বৈঠকে যৌথ বাহিনী বিশৃঙ্খলা রোধে কঠোর অবস্থানের আশ্বাস দিলে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ী নেতারা।

পরে সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী থেকে আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বিশৃঙ্খলাকারীদের গ্রেপ্তার করবে তারা। পোশাক মালিকরা আশ্বস্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে সব কারখানা খোলা রাখা হবে।
এতদিন শিল্প এলাকায় সেনাবাহিনী টহল দিয়েছে। যৌথ বাহিনী হলেও ছিল না গ্রেপ্তারের ক্ষমতা।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা মতামত দেন, এতদিন যৌথ বাহিনী আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে বিরত রাখার চেষ্টা করেছে। এতে হিতে বিপরীত হয়েছে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা বেড়েছে। বিশৃঙ্খলা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়। ব্যবসায়ী নেতারা নারীর চেয়ে পুরুষ শ্রমিক বেশি নিয়োগের দাবিকে ‘অদ্ভুত’ বলেও মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘যেভাবেই হোক কারখানা নিরাপদ রাখা হবে– যৌথ বাহিনী এমন আশ্বাস দিয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ নিজেদের মতো পরিকল্পনা করছে। শ্রমিক নেতারাও সহায়তা দেবেন। সবকিছু ইতিবাচক মনে হওয়ায় কারখানা চালু রাখা হবে।’

দৈনিক সংগ্রাম:

আগামীতে জাতীয় সরকার ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট দেখতে চায় বিএনপি —–তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আগামীতে জাতীয় সরকার ব্যবস্থায় দেশ পরিচালনা ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট সংবিধানে সংযুক্ত দেখতে চায়। ধারাবাহিক কর্মসূচির শেষ পর্বে গতকাল বুধবার ঢাকা বিভাগে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের পূর্বসূরীরা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। এই যুদ্ধ জয়ের মূল শক্তি ছিল, প্রশ্নহীন জাতীয় ঐক্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, স্বাধীনতার পর আমরা সেই ঐক্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারিনি। অত্যাবশ্যকীয় একটা জাতীয় সরকারের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসায় দেশ বিভক্ত হয়ে পড়েছে প্রথম দিন থেকেই। ফলে একটা বিরাট অংশ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দেশ গঠন কোনো অবদান রাখতে পারেনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দেখেছি দলীয় সরকারে কিভাবে একটি দলের লোকজন বিচরণ করে সর্বত্র, আর অন্য সবার অবস্থান হয়ে পড়ে তুচ্ছ আর গৌণ। ফলে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর সেবা থেকে দেশ বঞ্চিত হয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরপর জাতীয় ঐক্যের শক্তিকে ব্যবহার না করে যে সুযোগ সেদিন হাতছাড়া করা হয়েছে, আগামী দিনে আমরা সেটার পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আগামীতে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা দেখতে চায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, এদেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র আর ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে যারা অংশ গ্রহণ করেছেন, তারা সকলে আগামীতে দেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করবেন, যাতে দেশ তাদের অবদানের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়।

তিনি বলেন, আমাদের আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার পরিকল্পনার কথা দেশবাসীকে জানানো প্রয়োজন মনে করছি। দেশে প্রথাগত রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নন কিন্তু দেশ গঠন, উন্নয়ন ও পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে চান এমন অসংখ্য জ্ঞানী, গুণী শিক্ষক, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, চিকিৎসক, কারিগরি বিশেষজ্ঞ, মানবতাকর্মী রয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতে তাদের পক্ষে সংসদে সদস্য হিসাবে অবদান রাখার সুযোগ নেই। তাদের সেবা আর অবদান দেশের কাজে লাগাতে বিএনপি পৃথিবীর অনেক দেশের মতো আমাদের দেশেও উচ্চ কক্ষসহ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত দেখতে চায়। তিনি বলেন, আমি বিনয়ের সাথে শুধু আমাদের আগামীর পরিকল্পনা আর সদিচ্ছার কথা জানাতে পারি, কারণ আমরা জানি- দেশের মানুষের সমর্থনই কেবলমাত্র আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহয়তা করতে পারে।

তারেক রহমান বলেন, আশাকরি জনগণ নিশ্চয়ই সেই সব দল বা ব্যক্তিকে জাতীয় সরকারে সামিল দেখতে চাইবেন না, যারা পুরো দেশটাকে একটা দল আর পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল। যারা তথাকথিত উন্নয়নের নামে আমাদের প্রত্যেকের কাঁধে লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশে গড়েছে সম্পদের পাহাড়। গুম-খুন হামলা-মামলা নির্যাতনে দেশের মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস তুলেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, চাল ডাল লবন তেল ওষুধের দাম মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছে। আইন বিচার নির্বাহী বিভাগসহ রাষ্ট্রের সবগুলো স্তম্ভ ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এমন কি পালিয়ে যাবার পূর্ব মুহূর্তেও শত শত নিরীহ মানুষের রক্তে রঞ্জিত করেছে বাংলাদেশের রাজধানী থেকে প্রতিটি জেলা উপজেলা, জনগণ নিশ্চয়ই সেই জালেমদের জাতীয় সরকারে অন্তর্ভুক্ত দেখতে চাইবেন না।

কালবেলা:

ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে লুট ২৩৭৫ কোটি টাকা
১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি খাতের ব্যাংক আইএফআইসি। জাতীয় নির্বাচন এলেই ব্যাংকটির কার্যক্রমে অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করা যেত। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র এক বছর বয়সী পাঁচ কোম্পানিকে ব্যাংকটি ঋণ দিয়েছে প্রায় ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে কোম্পানিগুলোর ঋণসীমা বৃদ্ধি করে ব্যাংকটি। অথচ এসব কোম্পানির নেই কোনো ওয়েবসাইট। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকে দেওয়া প্রতিবেদনেও দেওয়া হয়নি কোনো ঠিকানা। এসব ঋণের সুবিধাভোগী হিসেবে মনে করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে।

ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অডিটের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএফআইসি ব্যাংকের ফেডারেশন ও প্রিন্সিপাল শাখা পাঁচটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৩৭৫ কোটির ঋণ বিতরণ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, ব্রাইটস্টার বিজনেস লিমিটেড, অ্যালট্রন ট্রেডিং লিমিটেড, ফারইস্ট বিজনেস লিমিটেড, সানস্টার বিজনেস লিমিটেড ও কসমস কমোডিটিস।

অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, ব্যাংকটির ফেডারেশন শাখার গ্রাহক ব্রাইটস্টার বিজনেস লিমিটেড ২০২২ সালের ২৭ জুলাই কথিত ব্যবসা শুরু করেছে। একই শাখার অন্য গ্রাহক অ্যালট্রন ট্রেডিং লিমিটেড প্রায় একই সময়ে ব্যবসা শুরু করে। নামসর্বস্ব এ দুটি কোম্পানির কোনো ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা ছাড়াই দ্রুততার সঙ্গে হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাইটস্টারকে হিসাব খোলার মাত্র ২০ দিনে ৮৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। অন্য কোম্পানি অ্যালট্রনকে হিসাব খোলার ২৭ দিনের মাথায় ৯৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়। ঋণ অনুমোদন করার পরপরই দ্রুততার সঙ্গে ঋণের টাকা ছাড়ও করা হয়। এরপর ২০২৩ সালে আগস্ট পর্যন্ত অ্যালট্রনের ঋণ বৃদ্ধি হয়ে দাঁড়ায় ৪৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে এই দুই প্রতিষ্ঠানের ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০৭ কোটি টাকা।