ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২ বিভাগ একত্রিত করে প্রজ্ঞাপন জারি Logo জন্মগতভাবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ইদ্রিস মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত Logo কর্ণফুলীতে বিষপানের ১৭ দিন পর গৃহবধূর মৃত্যু Logo মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে গড়ে উঠবে এক নতুন শহর: প্রধান উপদেষ্টা Logo জবিতে প্রথমবারের মতে মার্শাল আর্ট অনুশীলন ক্যাম্প উদ্বোধন, ছয়’শ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আবেদন Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বাড়ল Logo ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানামুখী অপপ্রয়াস চালাচ্ছে Logo টঙ্গীতে সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে তথ্য মুছলেন ছাত্রদল নেতা, দিলেন হত্যার হুমকি Logo জোটে থেকে নির্বাচন করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে: ইসি সানাউল্লাহ Logo এবার ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে ছাত্রলীগ নেতা জুলিয়াসের রিট

৫ দফা দাবিতে ডম্বুর অভিমুখে লং মার্চের রোডম্যাপ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে৷

রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় শাহবাগ থেকে রওনা করে বিভিন্ন জায়গায় পথসভা পরবর্তীতে বিকেলে বাঁধ অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে৷

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ‘পানিসন্ত্রাসে’র প্রতিবাদে ও আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোতে ভারতের ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফা’ সকল বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চ’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এই রোডম্যাপ প্রদান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ উসমান হাদী। এ সময় তারা ৫ দফা দাবি পেশ করেন। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায় আমরা শাহবাগে জমায়েত হব, আপনারা যারা লংমার্চে অংশ নিতে চান তারা ঠিক সময়ে শাহবাগ জমায়েত হবেন। আমরা ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে যাবার জন্য ১০টি ট্রাক ম্যানেজ করেছি। তবে আমাদের কেউ কেউ নিজস্ব পরিবহনে যারা কথা বলেছে। আবার কেউ চাইলে বাইকের মহড়া নিতে চাইলেও যে কেউ যেতে পারবে৷

তিনি বলেন, আমরা ১০টায় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় একটি পথসভা করব। পরে জুমার নামাজের পর কুমিল্লার চান্দিনায় পথসভা করা হবে। পরবর্তীতে বিকেল ৪টায় টাউনহলে মহাসমাবেশ করব। মহাসমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিবির বাজার সীমান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের ৫ দফা
১. অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া।
২. জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭-তে অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা। এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা।
৩. আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া।
৪. ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকা ভিত্তিক পানিবণ্টনে সকল পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. ভারতের সকল অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবীতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভূক্ত করা।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২ বিভাগ একত্রিত করে প্রজ্ঞাপন জারি

৫ দফা দাবিতে ডম্বুর অভিমুখে লং মার্চের রোডম্যাপ ঘোষণা

আপডেট সময় ০৭:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনকিলাব মঞ্চের আয়োজনে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে৷

রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় শাহবাগ থেকে রওনা করে বিভিন্ন জায়গায় পথসভা পরবর্তীতে বিকেলে বাঁধ অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে৷

আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ‘পানিসন্ত্রাসে’র প্রতিবাদে ও আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোতে ভারতের ‘অবৈধ’ ও ‘একতরফা’ সকল বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্র-জনতার লং মার্চ’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এই রোডম্যাপ প্রদান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ উসমান হাদী। এ সময় তারা ৫ দফা দাবি পেশ করেন। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার সকাল ৯টায় আমরা শাহবাগে জমায়েত হব, আপনারা যারা লংমার্চে অংশ নিতে চান তারা ঠিক সময়ে শাহবাগ জমায়েত হবেন। আমরা ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে যাবার জন্য ১০টি ট্রাক ম্যানেজ করেছি। তবে আমাদের কেউ কেউ নিজস্ব পরিবহনে যারা কথা বলেছে। আবার কেউ চাইলে বাইকের মহড়া নিতে চাইলেও যে কেউ যেতে পারবে৷

তিনি বলেন, আমরা ১০টায় যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় একটি পথসভা করব। পরে জুমার নামাজের পর কুমিল্লার চান্দিনায় পথসভা করা হবে। পরবর্তীতে বিকেল ৪টায় টাউনহলে মহাসমাবেশ করব। মহাসমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে বিবির বাজার সীমান্ত পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের ৫ দফা
১. অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া।
২. জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭-তে অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা। এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা।
৩. আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া।
৪. ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকা ভিত্তিক পানিবণ্টনে সকল পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. ভারতের সকল অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবীতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভূক্ত করা।