ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ছন্দে থাকা ব্রাজিলকে হারিয়ে ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচালো জাপান Logo শিক্ষকদের আন্দোলনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন সহ যেসব দল-সংগঠনের একাত্মতা প্রকাশ Logo মিরপুরে প্রিন্টিং কারখানায়ি ভয়াবহ আগুন, নিহত বেড়ে ১৬ Logo দেশে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৪১ Logo নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার চেয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাকে আইনি নোটিস Logo আমরণ অনশনে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা Logo বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ ২ মৃতদেহ উদ্ধার Logo নির্বাচন কমিশনের নিন্দা জানিয়ে প্রজেকশন মিটিং স্থগিত করল শিবির সমর্থিত প্যানেল Logo মহিলা জামায়াত কর্মীদের ‘পেটানোর নির্দেশ’ বিএনপির নেতার Logo জামিন হওয়ার পরই এক ক্লিকেই আদেশ চলে যাবে কারাগারে: আইন উপদেষ্টা

ভেঙে দেওয়া হলো আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে চারজন স্বতন্ত্রসহ ৬ পরিচালক নিয়োগ দিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে পর্ষদ বাতিল এবং নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আইএফআইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো আদেশে বলা হয়, আমানতকারী, ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

নতুন পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবতাদুল ইসলাম, ব্র্যাক ব্যাংকের অধ্যাপক সাজ্জাদ জহির, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাজী মো. মাহবুব কাশেম, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা ও যুগ্ম সচিব মনজুরুল হক। শেষ দুই পরিচালক সরকারের প্রতিনিধি, যেহেতু ব্যাংকটির ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বাংলাদেশ সরকার।

গত সরকারের আমলে সালমান এফ রহমান ব্যাংক খাতে লুটপাট ও নৈরাজ্যের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নদী পথে পালানোর সময় গ্রেপ্তার হন তিনি।

এদিকে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান ইতোমধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক পদ হারিয়েছেন। তিনি ঋণখেলাপি হওয়া কারণে তার পরিচালক পদে পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে তিনি ব্যাংকটির পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছেন।

এর আগে সরকার পতনের পরপর বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ বেক্সিমকোর সব পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি শাহ এ সরোয়ারের আমলে অন্যায়ভাবে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহালের দাবি তোলা হয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। এসব অপকর্মের সহযোগী ছিল সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার (বর্তমান ব্যাংকটির উপদেষ্টা)। শাহ এ সরোয়ার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছন্দে থাকা ব্রাজিলকে হারিয়ে ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচালো জাপান

ভেঙে দেওয়া হলো আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ

আপডেট সময় ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে চারজন স্বতন্ত্রসহ ৬ পরিচালক নিয়োগ দিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে পর্ষদ বাতিল এবং নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আইএফআইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো আদেশে বলা হয়, আমানতকারী, ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

নতুন পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবতাদুল ইসলাম, ব্র্যাক ব্যাংকের অধ্যাপক সাজ্জাদ জহির, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাজী মো. মাহবুব কাশেম, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা ও যুগ্ম সচিব মনজুরুল হক। শেষ দুই পরিচালক সরকারের প্রতিনিধি, যেহেতু ব্যাংকটির ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বাংলাদেশ সরকার।

গত সরকারের আমলে সালমান এফ রহমান ব্যাংক খাতে লুটপাট ও নৈরাজ্যের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ছিলেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর নদী পথে পালানোর সময় গ্রেপ্তার হন তিনি।

এদিকে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান ইতোমধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক পদ হারিয়েছেন। তিনি ঋণখেলাপি হওয়া কারণে তার পরিচালক পদে পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে তিনি ব্যাংকটির পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছেন।

এর আগে সরকার পতনের পরপর বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ বেক্সিমকোর সব পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি শাহ এ সরোয়ারের আমলে অন্যায়ভাবে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের পুনর্বহালের দাবি তোলা হয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। এসব অপকর্মের সহযোগী ছিল সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার (বর্তমান ব্যাংকটির উপদেষ্টা)। শাহ এ সরোয়ার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।