ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় পোল্টাভা শহরে একটি সামরিক স্থাপনায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব কমিউনিকেশনসের একটি ভবনে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। জেলেনস্কি জানান, হামলায় ৪১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১৮০ জনেরও বেশি। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলার সতর্কতা এবং ক্ষেপণাস্ত্র আগমনের মধ্যে সময়ের ব্যবধান এত কম ছিল যে, মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে যায়।
হামলা এবং পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। রুশ হামলা মোকাবিলায় বারবার মিত্র দেশগুলোর কাছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে আসছেন জেলেনস্কি।
এদিনও তিনি বলেছেন, যাদের এই সন্ত্রাস মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে, তাদের কাছে আমরা বারবার বলেছি, ইউক্রেনে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র দরকার। সেগুলো অন্য কোনো জায়গায় গুদামে পড়ে থাকলে লাভ নেই।
জেলেনস্কি বলেন, কিছুদিন পরে নয়, রাশিয়ার সন্ত্রাস থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এখনই প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত, একেকটি দিন বিলম্বের অর্থ আরও প্রাণহানি। পোল্টাভায় হামলার জন্য রাশিয়াকে অবশ্যই মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।