এ মর্মান্তিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি করেন শিবির সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম।
ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন, নিহত পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
২৩ অক্টোবর ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ছাত্রশিবিরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আজ ২৪ অক্টোবর সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক খোঁজখবর নেন। এ সময় সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “মনে হচ্ছে এখনো রক্তের গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে আছে। দুর্ঘটনায় আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী এ দুর্ঘটনায় কয়েক শ লোক মারা গেছে! এ ঘটনা সরকারের অব্যবস্থাপনা, ব্যর্থতা ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার।
রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মালবাহী ট্রেনটি “সিগন্যাল না মানায়” এ সংঘর্ষ হয়েছে।’ বোঝাই যাচ্ছে অদক্ষ লোক দ্বারা রেলের মতো এমন জনগুরুত্বপূর্ণ যান চালানো হচ্ছে। দেশে যোগাযোগব্যবস্থায় একের পর এক নৈরাজ্য ও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলেও সরকার জননিরাপত্তার বিষয়টিতে বরাবরই উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও নিহতদের পরিবার-পরিজনদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
দুর্ঘটনার শুরু থেকেই ছাত্রশিবিরের সর্বস্তরের জনশক্তি ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। আমরা সার্বিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।
নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশেও আমরা থাকব। বিশেষ করে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তানদের পড়ালেখায় সার্বিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করব, ইনশাআল্লাহ।
নিঃসন্দেহে এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা। আমি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা দুআ করছি, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার-পরিজনেরা ধৈর্যধারণ করতে পারেন।”