ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাকা কলেজে অনুষ্ঠিত হলো বেসিক মানবাধিকার বিষয়ক কর্মশালা Logo ছাত্রদলের সমাবেশ ঘিরে নেতাকর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৬ নির্দেশনা Logo আমীরে জামায়াতের  হার্টে ৪ ব্লক, শনিবার বাইপাস সার্জারি Logo শাহবাগ মোড়ে জুলাই যোদ্ধাদের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ Logo আওয়ামি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন Logo জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাইপাস সার্জারি আগামীকাল Logo রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করলো ভারত Logo যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি কূটনৈতিক বিজয়: প্রধান উপদেষ্টা Logo জকসু নিয়ে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে জবি রেজিস্ট্রারের দূর্ব্যবহার Logo বাংলাদেশের জন্য পালটা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছাত্রশিবির

এ মর্মান্তিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি  করেন শিবির সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম।

ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন, নিহত পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

২৩ অক্টোবর ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ছাত্রশিবিরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আজ ২৪ অক্টোবর সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক খোঁজখবর নেন। এ সময় সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “মনে হচ্ছে এখনো রক্তের গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে আছে। দুর্ঘটনায় আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী এ দুর্ঘটনায় কয়েক শ লোক মারা গেছে! এ ঘটনা সরকারের অব্যবস্থাপনা, ব্যর্থতা ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার।

রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মালবাহী ট্রেনটি “সিগন্যাল না মানায়” এ সংঘর্ষ হয়েছে।’ বোঝাই যাচ্ছে অদক্ষ লোক দ্বারা রেলের মতো এমন জনগুরুত্বপূর্ণ যান চালানো হচ্ছে। দেশে যোগাযোগব্যবস্থায় একের পর এক নৈরাজ্য ও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলেও সরকার জননিরাপত্তার বিষয়টিতে বরাবরই উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও নিহতদের পরিবার-পরিজনদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

দুর্ঘটনার শুরু থেকেই ছাত্রশিবিরের সর্বস্তরের জনশক্তি ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। আমরা সার্বিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।
নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশেও আমরা থাকব। বিশেষ করে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তানদের পড়ালেখায় সার্বিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করব, ইনশাআল্লাহ।

নিঃসন্দেহে এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা। আমি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা দুআ করছি, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার-পরিজনেরা ধৈর্যধারণ করতে পারেন।”

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা কলেজে অনুষ্ঠিত হলো বেসিক মানবাধিকার বিষয়ক কর্মশালা

ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছাত্রশিবির

আপডেট সময় ০৮:২৪:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

এ মর্মান্তিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি  করেন শিবির সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম।

ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন, নিহত পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

২৩ অক্টোবর ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ছাত্রশিবিরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। আজ ২৪ অক্টোবর সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক খোঁজখবর নেন। এ সময় সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “মনে হচ্ছে এখনো রক্তের গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে আছে। দুর্ঘটনায় আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী এ দুর্ঘটনায় কয়েক শ লোক মারা গেছে! এ ঘটনা সরকারের অব্যবস্থাপনা, ব্যর্থতা ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া দরকার।

রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘মালবাহী ট্রেনটি “সিগন্যাল না মানায়” এ সংঘর্ষ হয়েছে।’ বোঝাই যাচ্ছে অদক্ষ লোক দ্বারা রেলের মতো এমন জনগুরুত্বপূর্ণ যান চালানো হচ্ছে। দেশে যোগাযোগব্যবস্থায় একের পর এক নৈরাজ্য ও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলেও সরকার জননিরাপত্তার বিষয়টিতে বরাবরই উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও নিহতদের পরিবার-পরিজনদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

দুর্ঘটনার শুরু থেকেই ছাত্রশিবিরের সর্বস্তরের জনশক্তি ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। আমরা সার্বিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।
নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশেও আমরা থাকব। বিশেষ করে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তানদের পড়ালেখায় সার্বিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করব, ইনশাআল্লাহ।

নিঃসন্দেহে এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা। আমি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা দুআ করছি, যেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার-পরিজনেরা ধৈর্যধারণ করতে পারেন।”